Subscribe:

মাত্র ১০ হাজার টাকায় হেলিকপ্টারে ভ্রমন করা যায়; জেনে নিন কোথায় পাবেন?


তরুণ ব্যবসায়ী আরিয়ান আহমেদ তার নববধূ তানিয়া আহমেদের ২৫তম জন্মদিনে চমকে দেওয়ার জন্য একটু ভিন্ন আয়োজন করলেন। জন্মদিনের সকালে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি শাহজালাল বিমানবন্দরে চলে গেলেন। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল একটি হেলিকপ্টার; যার সামনে লেখা ‘হ্যাপি বার্থডে তানিয়া’। এর পরের ১০ মিনিট যেন ঘোরেই কেটে গেল তানিয়া-আরিয়ান দম্পতির। হেলিকপ্টার তাদের নামিয়ে দিল বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। আর ১০ মিনিটের এই হেলিকপ্টারের আনন্দ ভ্রমণের জন্য তাদের খরচ হলো মাত্র ১০ হাজার টাকা।
 একসময় শুধু উচ্চবিত্তরা দ্রুত গন্তব্যে যেতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতেন। কিন্তু এখন প্রয়োজন ছাড়াও আনন্দ ভ্রমণের জন্য অনেকে এ বাহনটি ব্যবহার করছেন। ফলে মধ্যবিত্তের হেলিকপ্টারে আকাশে বেড়ানোর স্বপ্ন এখন বাস্তব ঘটনা।
সাধারণত ঘণ্টাব্যাপী রিজার্ভ হেলিকপ্টারের ভাড়া ১ লাখের কম নয়। কিন্তু প্রিয়জনকে নিয়ে কেউ চাইলে ঢাকার কাছাকাছি থেকে আধ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ঘুরে আসতে মাত্র ১০ হাজার টাকায়ই এ স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।
হেলিকপ্টার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানান, যানজটের ঝামেলা এড়াতে এবং দ্রুত ঢাকার বাইরে মিটিংয়ে যেতে অনেক ব্যবসায়ী এখন হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কিংবা সেলিব্রেটিরাও ঢাকার বাইরে যেতে বেছে নেন হেলিকপ্টার। শুটিংয়ের কাজে তারকারা প্রায়ই হেলিকপ্টারে কক্সবাজার, গাজীপুর যাতায়াত করছেন। এ ছাড়া গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও চট্টগ্রামে বিদেশি ক্রেতাদের নিয়ে কারখানা ভ্রমণের জন্য হেলিকপ্টারের ওপর নির্ভর করেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফ্লাই হেলিকপ্টার বিডির সিইও এম আর হক বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে যাত্রীরা আধ ঘণ্টার জন্য নির্দিষ্ট কিছু গন্তব্যে মাত্র ১০ হাজার টাকায় হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
তিনি জানান, সপ্তাহে কখনো পরপর দু-তিন বার তারা ফ্লাই করেন। আবার অনেকে রিজার্ভে ঘোরেন। তিনি বলেন, মূলত তাদের মূল টার্গেট মধ্যবিত্ত শ্রেণির যাত্রী।
হেলিকপ্টার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা আরও জানান, সাধারণত বিয়ে বাড়ির বরযাত্রী, ভিআইপি যাত্রী বহনে হেলিকপ্টারের রিজার্ভ বেশি হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ানো, লিফলেট বিতরণ, রোগী বহন, শুটিং, বাণিজ্যিক কাজে ঢাকার বাইরে গমন, লাশ বহনসহ বিভিন্ন কাজে এখন হেলিকপ্টারের ব্যবহার হচ্ছে। তবে হেলিকপ্টারের ব্যবসা বৃদ্ধি পেলেও এর রক্ষণাবেক্ষণ বেশ ব্যয়বহুল।
তারা জানান, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে তাদের হেলিকপ্টার ওড়াতে হয়। শুধু এই বিমানবন্দর থেকে ওড়ানোর অনুমতি থাকায় তারা প্রায়ই ঝামেলায় পড়েন। এয়ারফোর্সের প্রশিক্ষণ থাকাকালে তারা হেলিকপ্টার ওড়াতে পারেন না। এ ছাড়া ভিআইপি এলে তাদের অপেক্ষা করতে হয়। এজন্য হেলিকপ্টারের জন্য আলাদা একটি হেলিপ্যাড দাবি করেন তারা।
তারা জানান, সাধারণত প্রতিরক্ষাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারের পাইলট হিসেবে কাজ করেন। আর জ্বালানি তেল, রক্ষণাবেক্ষণ, পাইলটসহ একটি হেলিকপ্টারের পেছনে মাসে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা খরচ হয়।
বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা যায়, দেশে হেলিকপ্টার ব্যবসার সঙ্গে বর্তমানে জড়িত ৯টি কোম্পানি। তাদের ১৮টি হেলিকপ্টার যাত্রী বহন করছে।
এর মধ্যে আছে বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস লিমিটেড। তাদের বেল-৪০৭ মডেলের হেলিকপ্টারে প্রতি ঘণ্টার ভ্রমণমূল্য ১ লাখ টাকা আর রবিনসন আর-৪৪ মডেলের হেলিকপ্টারে প্রতি ঘণ্টার মূল্য ৬০ হাজার টাকা। স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের বেল-৪০৭ হেলিকপ্টারে প্রতি ঘণ্টার ভ্রমণমূল্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা আর রবিনসন আর-৬৬-এর প্রতি ঘণ্টার ভ্রমণমূল্য ৭৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করতে হবে।
সিকদার গ্রুপের বেল-৪০৭-এর ঘণ্টাপ্রতি ভ্রমণমূল্য ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, রবিনসন আর-৪-এর ৭২ হাজার টাকা। এ ছাড়া হেলিকপ্টার ব্যবসার সঙ্গে আরও জড়িত আছে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস, ইমপ্রেস এভিয়েশন লিমিটেড, পারটেক্স এভিয়েশন, বিআরবি এয়ার লিমিটেড। প্রতিটি কোম্পানির নির্দিষ্ট ভ্রমণমূল্যের সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত করতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষ এ যানগুলোয় ৩ থেকে ৬টি করে সিট থাকে।
বেবিচকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসা শুরুর আগে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে। বেসরকারিভাবে হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য বেবিচকের কিছু নীতিমালা আছে। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেগুলো তদারকি করে বেবিচক। হেলিকপ্টার কোম্পানিগুলোকে এগুলো মেনে চলতে হয়। অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল ও স্থগিত করার ব্যবস্থা আছে।
নিয়ম অনুযায়ী হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ার কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে বেবিচকের অনুমতি নিতে হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলেন, এই ব্যবসার মধ্যে নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা উচিত। কারণ এগুলোর পর্যবেক্ষণে ফ্লাইট অপারেশন ইন্সপেক্টর আছেন মাত্র একজন। বিশেষ করে ১৬ অক্টোবর কক্সবাজারের উখিয়ায় মেঘনা এভিয়েশনের আর সিক্স সিক্স হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর জানা যায় যে, হেলিকপ্টারটির সেই রুটে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। এ ছাড়া নজরদারির অভাবে বেশকিছু হেলিকপ্টার রাতে চালানোর অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও আইন ভঙ্গ করছে। এতে এই ব্যবসায় নজরদারির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দেশে ১৯৯৯ সালে বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার সেবা চালু করে সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস।
২০০৮ সাল পর্যন্ত মাত্র ২টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ সেবা প্রদান করত। বর্তমানে লাইসেন্স পাওয়ার অপেক্ষায় আছে আরও বেশ কয়েকটি কোম্পানি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড পর মানুষের শরীরে যা ঘটে? জানলে অবাক হবেন !


মৃত্যু এক চিরন্তন সত্য। মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই তো জীবন শেষ। মৃত্যু নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক শঙ্কা কাজ করে স্বাভাবিকভাবেই; কিন্তু মৃত্যু ঘটবেই, একে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায়ও তাই নেই। মৃত্যুর পর নশ্বর দেহতে কিছু পরিবর্তন ঘটে প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গেই।
জানলে অবাক হবেন, মানুষ মারা যাওয়ার পরও তার কিছুদিন পর্যন্ত হাতের নখ ও চুল বৃদ্ধি পায় বলে মনে হয়! এ তো গেল অন্য কথা, তবে আজীবন বয়ে বেড়ানো শরীর মৃত্যুর পর প্রকৃতির সঙ্গেই মিশে যায় ধীরে ধীরে। মেন্টাল ফ্লস নামের একটি ওয়েবসাইটে মৃত্যুর পর নশ্বর মানবদেহের পর্যায়ভিত্তিক পরিণতির বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
১. মৃত্যুর পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এটি ঘটবে সেকেন্ডের ব্যবধানে।
২. শরীরের তাপমাত্রা শীতল হয়ে যাবে।
৩. অক্সিজেনের অভাবে কোষগুলোর মৃত্যু ঘটতে আরম্ভ করবে। সে সঙ্গে কোষগুলোয় ভাঙন ধরবে, যা পচন প্রক্রিয়ার আগ পর্যন্ত চলবে। এটি ঘটবে মিনিটের ব্যবধানে।
৪. শরীর প্রসারিত হওয়ার কারণে পেশির মধ্যে
ক্যালসিয়াম তৈরি হতে থাকে। এটি ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত হয়। এটি ঘটবে ঘণ্টার ব্যবধানে।
৫. পেশিগুলো শিথিল হয়ে যায়।
৬. ত্বক শুষ্ক, সংকুচিত দেখায়। এর কারণে চুল ও নখ বড় হয়ে যাবে বলে মনে হবে।
৭. মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে রক্তে টান পড়বে। এতে করে শরীরের চামড়ায় কালশিটে পড়া বা অনেকটা দাগের মতো দেখা যাবে।
৮. শরীরের এনজাইমগুলো নিজেদের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো হজম করতে শুরু করে, প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি। এটি ঘটবে দিনের ব্যবধানে।
৯. পচনশীল দেহের থেকে পিউট্রিসিন বা ক্যাডাভেরিন নামের রাসায়নিক উপাদান নির্গত হওয়ার কারণে দুর্গন্ধ তৈরি হবে।
১০. এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ শরীর খেয়ে ফেলতে থাকবে। সপ্তাহের ব্যবধানে এটি ঘটতে শুরু করবে।
১১. শরীর বেগুনি থেকে কালো হয়ে যাবে, কারণ ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে শরীরের বিয়োজন অব্যাহত থাকবে।
১২. চুল ঝরতে শুরু করে।
১৩. চার মাসের মধ্যে বাকি রইবে শুধু কঙ্কাল, বাকি সবটাই মিশে যাবে মাটির সাথে ।