Subscribe:

আপনার জীবন বদলে দিতে পারে মনিষী জালাল উদ্দিন রুমির এই ১০টি জ্ঞানগর্ভ উক্তি


এখানে ১০টি জনপ্রিয় উক্তি তুলে ধরা হলো। এগুলো ১৩ শতকের জনপ্রিয় পার্সি কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমির উক্তি। এগুলো হতে পারে আপনার জীবনের অনেক বড় শিক্ষা।
১. তুমি সাগরে এক বিন্দু পানি নও। তুমি এক বিন্দু পানিতে গোটা এক সাগর।
শিক্ষাটা হলো- নিজের মূল্য বুঝতে হবে।
২. আমাদের মধ্যে এক অদৃশ্য শক্তি লুকিয়ে আছে। এটা যখন দুটো বিপরীতমুখী বাসনার উপলব্ধি প্রকাশ করে, তখন তা শক্তিশালী হতে থাকে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে থাকুন।
৩. গতকাল আমি চতুর ছিলাম। তাই আমি পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলে ফেলতে চাই।
শিক্ষাটা
হলো- পরিবর্তনটা আপনি আনুন।
৪. শোক করো না। তুমি যাই হারাও না কেন তা অন্য কোনো রূপে ফিরে আসবে।
শিক্ষাটা হলো- ইতিবাচক থাকুন।
৫. প্রত্যেককে বানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কাজের জন্য এবং প্রত্যেক হৃদয়ে সেই কাজটি করার আকাঙ্ক্ষাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষাটা হলো- নিজের আবেগ নিয়ে বেঁচে থাকুন।
৬. কেউ যখন কম্বলকে পেটাতে থাকে তখন সেটা কম্বলের বিরুদ্ধে নয়, ধুলোর বিরুদ্ধে।
শিক্ষাটা হলো- মনোযোগী থাকুন।
৭. আমাদের চারদিকে সৌন্দর্য ছড়িয়ে রয়েছে। সাধারণত একে বুঝতে একটি বাগানে হাঁটার প্রয়োজন অনুভব করি আমরা।
শিক্ষাটা হলো- নিজের পথ নিজেই সৃষ্টি করুন।
৮. যখন নিজের মূল্য নির্ধারণের দিনটি আসবে তখন আপনার পরিচয় ফুটিয়ে তোলাটাই বিজ্ঞানের নির্যাস।
শিক্ষাটা হলো- আপনি যেমন তেমনই থাকুন।
৯. শোক প্রকাশ হতে পারে সমবেদনার বাগান। যদি সবকিছুতে নিজের হৃদয়টাকে উদার রাখতে পারেন, বেদনা আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে।
শিক্ষাটা হলো- ভালোবাসা ও জ্ঞানের জন্য নিজের যাত্রাটাকে নিরবচ্ছিন্ন রাখুন।
১০. আমার প্রথম প্রেমের গল্প শোনামাত্র তোমাকে খুঁজতে থাকি, কিন্তু জানি না ওটা কতটা অন্ধ ছিল। প্রেম আসলে কোথাও মিলিত হয় না। সারাজীবন এটা সবকিছুতে বিরাজ করে।

ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদ, সাবধান!


ফেসবুক। শহর-গ্রাম সবখানেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। আর বিপুল মানুষের পছন্দের মাধ্যমটিকে ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে রাজধানীসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি চক্র সক্রিয় আছে জানিয়েছে পুলিশ।
ফেসবুক আইডি হ্যাক করে অর্থ আদায় করা প্রতারক চক্রের সদস্য আজাদ হোসেন। গেল ১৫ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগ।
গোয়েন্দাসূত্র জানায়, ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে ও বেশকিছু ডোমেইন ব্যবহার করে এসব প্রতারক চক্র অপকর্ম করে আসছে। তারা এসব ডোমেইনে ফ্রি ওয়েব ফিশিং সাইট খুলে লাইক বাড়ানো এবং চটকদার ভিডিও দেখানোর কথা বলে প্রতারণা করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ইনবক্সে মেসেজ পাঠায়। তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে আইডি ও পাসওয়ার্ড খোয়াচ্ছেন অনেকেই। পরবর্তীতে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রতারক চক্র অ্যাকাউন্টগুলো তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ আলীমুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা সাধারণত তাদেরই ফেসবুক আইডি হ্যাক করার চেষ্টা করেন, যাদের আইডির তথ্যে সহজে পাওয়া যায়। অর্থাৎ যেটির প্রাইভেসি পাবলিক করা। এরা সাধারণত এই প্রাইভেসি পাবলিক করে রাখা ফেসবুক আইডির মালিকদের খুঁজে বের করে তাদের র‌্যানডমলি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান। যারা তাদের এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেন তারাই মূলত এই চক্রের শিকারে পরিণত হন।’
গোয়েন্দা তথ্যমতে, পরে ওই প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিকাশ নম্বরে টাকা দেয়ার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট ফেরত দেবে বলে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের আসল মালিকদের ব্ল্যাকমেইল করে। কিংবা আসল ফেসবুক মালিকের অ্যাকাউন্টের বিভিন্ন বন্ধুকে তিনি বিপদে পড়েছেন বলে সহানুভূতি চেয়ে টাকা বিকাশ করে দিতে বলে।
মূলত মানসিক চাপ প্রয়োগ করে ফেসবুকের প্রতারক চক্রের সদস্যরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিকাশ বা অন্যান্য আরো টাকা লেনদেনের মাধ্যম ব্যবহার করে টাকা হাতিয়ে নেবার চেষ্টা চালায়। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াই এদের মূল লক্ষ্য।
ফেসবুক প্রতারণায় জড়িতদের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ফেসবুকে প্রতারণায় বেশকিছু চক্র জড়িত। এদের ব্যাপারে আমরা অনেক অভিযোগও পেয়েছি। সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে এরকম একটি সক্রিয় চক্রের এক সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতারও করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যেককে এই প্রতারণার বিষয়ে আরো সচেতন ও সাবধানী হতে হবে। কেননা যেকোনো দুর্ঘটনা বা বিপদ এড়াতে সবার আগে প্রয়োজন ব্যক্তি সচেতনতা। সেই সঙ্গে ফেসবুক ব্যবহারেও সচেতন হোন। অপরিচিত কারো কাছ থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলে আগে যাচাই করে পরে তাকে আপনার বন্ধু তালিকায় যোগ করুন। অপরিচিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে ফেসবুকে মেসেজ পেলে তা পড়ার আগে সতর্ক থাকবেন। এ ধরনের যে কোনো প্রতারক চক্রের সন্ধান পেলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করুন। – rtvonline

ঢাকায় নামবে ৪ হাজার চীনা ইলেকট্রিক বাস


ফিটনেসবিহীন বাস সরিয়ে ঢাকায় আধুনিক সুবিধা সংবলিত চার হাজার ইলেকট্রিক বাস সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে চায়না সাংহাই টেকনোলজি।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ভবনের সভাকক্ষে এফবিসিসিআই ও চীনের অল-চায়না ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের (এসিএফআইসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ব্যবসায়িক বৈঠকে এ প্রস্তাব উঠে আসে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মি. হুয়া লি বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি বাস দেবো। এতে ঢাকার সড়কে সুবিধা হলে চার হাজার বাস প্যাকেজ আকারে বাংলাদেশকে দেওয়া হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, চায়না প্রতিষ্ঠানটি যে বাসের কথা বলছে সেটি আধুনিক সুবিধা সংযুক্ত। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বাস সার্ভিস চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রথমবারের মতো কোনো চীনা মন্ত্রী বিনিয়োগের স্থান খুঁজতে বাংলাদেশ সফর করেছেন জানিয়ে মাতলুব আহমাদ বলেন, চায়না কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে পাওয়ার জেনারেশন, ডিস্ট্রিবিউশন, এগ্রো, ফুড প্রসেসিংয়ে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশেষ করে ডেইরি ফার্মে বড় ধরনের সম্ভাবনা দেখিয়েছে তারা। এসব বিষয়ে আমরা তাদের দূতাবাসকে জানিয়েছি এবং তারা রাজি যেকোনো সহায়তায়।
এছাড়া চীনের সঙ্গে কাজের অগ্রগতি নিয়ে কমিটি করা হবে এবং এই কমিটি সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রতি মাসে জানাবে।
চায়না চেম্বারের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মি. চ্যুয়ান ঝেঝু’র নেতৃত্বে চীনের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল এ ব্যবসায়িক আলোচনায় অংশ নেয়।
এসময় বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের রাষ্ট্রদূত মি. মা মিং চিয়াং এবং এফবিসিসিআই মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদসহ উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বাংলাদেশ সফরে চট্টগ্রাম এবং খুলনায় দুটি বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। এ দুটি প্রকল্প, যার একেকটির ক্ষমতাই এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল তৈরির প্রকল্পেও অর্থ সহায়তা দিচ্ছে চীন। এছাড়া একটি সার কারখানা, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট’ নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে চীনা অর্থ সাহায্যে।
সফরে দুদেশের মধ্যে ২৬টি নানা ধরনের চুক্তি এবং সমঝোতা হয়। যার মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের ১৩টা চুক্তি হয়েছে। এই ১৩টি চুক্তিতে প্রায় এক হাজার তিনশো ষাট কোটি ডলার ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা

জেনে নিন ব্রেন টিউমার কি ? কেন হয় ও কাদের ক্ষেত্রে হওয়ার প্রবণতা বেশি


টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোনো জায়গায় বা অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এবং এই টিউমারটি যখন ব্রেনের ভেতরে হয় তখন সেটাকে আমরা বলি ব্রেন টিউমার।
এর লক্ষণগুলো:- ব্রেন টিউমারের লক্ষণ একেক সময় একেক রকম হতে পারে। এর প্রধান বা স্বাভাবিক লক্ষণ হচ্ছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং দৃষ্টিশক্তি ক্রমশ কমে যাওয়ার এই তিনটিকে আমরা সব টিউমারের ক্ষেত্রে ধরতে পারি।
এ ছাড়াও অনেক সময় রোগীর অন্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে। যেমন: রোগীর খিঁচুনি হতে পারে অথবা শরীরের যে কোনো একদিকের হাত বা পা দুর্বল হয়ে যায় অথবা তার মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎ তার আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা দেবে।
অনেক ক্ষেত্রে হরমোনের নিঃসরণের আধিক্য বা ঘাটতি দেখা দিতে পারে। যা ব্রেন টিউমারের রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়।
ব্রেন টিউমার কেন হয়:- ব্রেন টিউমারের কারণ এখন পর্যন্ত অজানা। খারাপ টিউমার শরীরের অন্য জায়গা থেকে ক্যান্সারের রূপ নিয়ে ব্রেনের মধ্যে চলে যায়। বংশগত কারণেও ব্রেন টিউমার হতে পারে।
কাদের ক্ষেত্রে হওয়ার প্রবণতা বেশি? বাংলাদেশে এর প্রকোপ কেমন:- কিছু টিউমার আছে ছোটদের বেশি হয়, আবার কিছু টিউমার আছে যা ৬০ বছরের ওপরে গেলে বেশি হয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে সব ধরনের টিউমারের প্রতিক্রিয়া এক রকম নয়। একেক ক্ষেত্রে টিউমারটি একেক রকমভাবে প্রকাশ পায়। যার ফলে আমরা ওভাবে বলতে পারব না কাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়।
এক কথায় বলতে পারি, যে কোনো বয়সের, যে কোনো পুরুষ বা মহিলার টিউমার হতে পারে। একেক ধরনের টিউমার শিশু বা মহিলা বা বয়স্কদের ক্ষেত্রে একেক রকমের হতে পারে।
এটা সত্যি দুঃখজনক যে, বাংলাদেশে ক্রমশ আমরা এর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে দেখছি। তবে সঠিক পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে নেই।
ব্রেন টিউমার কি সারানো সম্ভব:- ব্রেন টিউমার মানেই ক্যান্সার এটা ভুল ধারণা। কিছু কিছু টিউমার আছে যা খারাপ টিউমার বা ক্যান্সার টিউমার, কিন্তু অনেক টিউমারই আছে যেগুলো সম্পূর্ণভাবে আরোগ্যযোগ্য।
কিছু কিছু টিউমার আছে চিকিৎসা করালে সম্পুর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর কিছু আছে যা থেকে আপৎ হতে পারে।
ব্রেন টিউমার কীভাবে চিহ্নিত করা হয়? এর জন্য কী ধরনের পরীক্ষা করা হয়:- যে কোনো রোগ নির্ণয়ের প্রথম পদ্ধতিই হচ্ছে তাকে ক্লিনিকে আনা, পর্যবেক্ষণে রাখা।
রোগীর বিশেষ শারীরিক পরীক্ষা করা যেটাকে আমরা বলি নিউরোলজিক্যাল বিশ্লেষণ। রোগীর বর্ণনা থেকে এবং রোগের লক্ষণ দেখে ধারণা করা যায়।
মাথার নরমাল প্লেন এক্স-রে পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা কিছু ধারণা করতে পারি কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি নয়। পদ্ধতি হচ্ছে সিটি-স্ক্যান এবং আরও ভালো হচ্ছে এম.আর.আই।
ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীর পরিণতি কী:- সাধারণভাবে আমরা টিউমারকে ২ ভাগে ভাগ করি। ১. ভালো টিউমার, ২. খারাপ টিউমার।
ভালো টিউমার যদি সঠিকভাবে অপারেশন করে সম্পূর্ণ বের করা যায় তাহলে রোগী স¤পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে। আর যদি ক্যান্সার টিউমার হয় তবে তারও রকমবেদ আছে।
কিছু কিছু খারাপ টিউমার আছে যা হলে রোগী কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকতে পারে। আর কিছু কিছু টিউমার আছে যা এতই খারাপ যে, রোগী ৬ মাস থেকে ১ বছরের বেশি বেঁচে থাকে না।
ব্রেন টিউমার চিকিৎসায় কী কী পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়:- যে কোনো টিউমারের চিকিৎসা হচ্ছে সার্জারি বা অপারেশন। অপারেশন করে রোগীর টিউমারকে বের করে, বায়োপসি করে প্রকৃতি নির্ণয় করে পরবর্তী চিকিৎসা করা হয়। তবে এখন হোমিও ট্রিটমেন্টও এ ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে।
কী কী ধরনের মুখে খাওয়ার ওষুধ আছে:- ব্রেন টিউমারে মুখে খাওয়ার ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা কোনোভাবেই সম্ভব নয় তবে রোগের লক্ষণগুলোর চিকিৎসা ওষুধ দ্বারা করা সম্ভব।
টিউমারের জন্য যেসব লক্ষণ যেমন মাথাব্যথা ও বমি হওয়া এইসব লক্ষণের চিকিৎসায় আমরা ওষুধ দিয়ে করতে পারব। তাও সাময়িকভাবে।
টিউমার যখন আস্তে আস্তে বড় হবে টিউমারের লক্ষণগুলো আরও বেশি প্রকট হয়ে ধরা পড়বে; যার ফলে ওষুধ দিয়ে শুধু সাময়িকভাবে তার লক্ষণগুলোকে কিছুদিন কমিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু ওষুধের চিকিৎসা টিউমারের জন্য নয়।
অপারেশনের মাধ্যমে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা:- অপারেশনের মাধ্যমে ব্রেনটা খুলে ব্রেনের যে লোকেশনে টিউমারটা আছে সম্ভব হলে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে টিউমারটাকে সরিয়ে আনা হয়।
ক্যান্সার টিউমারের ক্ষেত্রে আমরা যতটুকু সম্ভব বের করে দিই। যতখানি বের করা যায় রোগীর উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যার মাধ্যমে ব্রেন টিউমার বের করার জন্য মগজ বা ব্রেন খুলতে হয় না। রেডিও সার্জারির মাধ্যমে ছোট ছোট টিউমার যেমন – ২ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার বা ১ ইঞ্চির ছোট যেগুলো হয় সেগুলো ছোট বা নষ্ট করে দেয়া হয়।
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় রঞ্জনরশ্মির ভূমিকা:- রঞ্জন-রশ্মি টিউমারটিকে আপাত ছোট করে দেয় বা টিউমারের কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। আর রঞ্জনরশ্মি বলতে আমরা বুঝি অপারেশন করার পর রেডিওথেরাপি দেয়াকে।
যা আমরা দিই অপারেশন করার পর যদি দেখা যায় যে টিউমারি ক্যান্সার টিউমার বা খারাপ টিউমার। সে ক্ষেত্রে রোগীকে আগে থেকেই বলে দেয়া হয় সার্জারি করলে সম্পূর্ণভাবে এটি ভালো হবে না এবং অপারেশন করার পরেও রঞ্জনরশ্মি বা রেডিওথেরাপি মাধ্যমে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
টিউমারটি বের করে দেয়ার পর ওই এলাকায় রেডিওথেরাপি দেয়া হয় যেন টিউমারটির ক্ষমতা কমে যায়।
আমাদের দেশে বর্তমানে ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা:- বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং অধিকাংশ টিউমারের চিকিৎসা বাংলাদেশে করা সম্ভব।
বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে নিউরো সার্জারি বা ব্রেন টিউমার সার্জারি অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যদিও কিছু কিছু আধুনিক ব্যবস্থা এখানো আমাদের দেশে আসেনি। যেমন- রেডিওসার্জারি আমাদের নেই, গামা-নাইফ সার্জারি নেই। বাকি যেগুলো আছে সেগুলোতে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি।
ব্রেন টিউমারের চিকিৎসায় বাংলাদেশের অবস্থা :- সার্বিকভাবে বলতে গেলে এখনো অনেক লোকজন আসলে জানে না যে, বাংলাদেশে কী কী নিউরোসার্জারি বা ব্রেন টিউমার সার্জার হয়।
এমনকি আমাদের অনেক চিকিৎসকেরও ভুল ধারণা আছে। বাংলাদেশে ভালো ভালো ব্রেন টিউমারের সার্জারি হচ্ছে এটা যেমন জানতে হবে তেমনই রোগীদেরও জানাতে হবে আমাদের দেশে সব ধরনের সার্জারি সম্ভব।
বাংলাদেশে এখন অনেক উন্নত হয়েছে, যার ফলে পাঁচ বছর আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো সার্জারি হচ্ছে এবং সফলতার হার অনেক বেড়েছে।
উন্নত বিশ্বে বর্তমানে ব্রেন টিউমার চিকিৎসায় কী ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে? বাংলাদেশে এর সম্ভাবনা কতটুকু:- উন্নত বিশ্ব বলতে আমাদের পাশের দেশও প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমাদের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে বলতে পারেন। ভারতে যেমন- রেডিওসার্জারি, গামা-নাইফ সার্জারি আছে যা আমাদের দেশে এখানা শুরু হয়নি।
হয়ত বেশিদিন লাগবে না শুরু করতে। এই দুটি দিক ছাড়া বাকি সব সার্জারি আমাদের এখন দেশেই সম্ভব। এই সব সার্জারি আশপাশের দেশের তুলনায় মনে হয় ভালোই হয়।
হয়ত আমরা এখন যে অপারেশন করি সেটা ৫ বছর আগে সম্ভব ছিল না। এগুলো এখন হচ্ছে এবং আস্তে আস্তে প্রযুক্তিগুলো আমাদের দেশে আসছে ।
‘খরচ খুব বেশি’ রোগীদের এই ধারণাটা পরিষ্কার নয়, যখন মনে করবে যে এই সার্জারি বা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা ভালো হচ্ছে তখন রোগী স্বাভাবিকভাবে চলে আসবে।