Subscribe:

হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে খুব দ্রুত যা খাবেন


হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সঠিক খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে এর থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য এমন সব খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে, যাতে থাকবে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
কারণ খাদ্যের এসব উপাদান উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাদ্য যেমন দই ইত্যাদিতে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম।
তাজা ফল যেমন আপেল, কলা আর শাকসবজি হচ্ছে পটাশিয়ামের ভালো উৎস। টমেটোতেও আছে বেশ পটাশিয়াম।
বেশি ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় দানা শস্য বা গোটা শস্য, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, শিমের বিচি, ডাল, ছোলা, লাল চালের ভাত, লাল আটা, আলু, সবুজ শাকসবজি, টমেটো, তরমুজ, দুধ ও দই ইত্যাদিতে।
১. কম চর্বিযুক্ত দুধ বা চর্বিবিহীন দুধ বা দুধজাত খাবার প্রতিদিন খেতে হবে ২ থেকে ৩ সার্ভিং। এক সার্ভিং দুধ বা দুধজাত খাবার মানে আধা পাউন্ড বা এক গ্লাস দুধ অথবা এক কাপ দই।
৩. ফল ৪ থেকে ৫ সার্ভিং প্রতিদিন। টুকরো টুকরো করে কাটা আধা কাপ ফল কিংবা মাঝারি সাইজের একটা আপেল বা অর্ধেকটা কলা অথবা আধা কাপ ফলের রস এতে হবে ফলের এক সার্ভিং। ফলের রসের চেয়ে আস্ত ফলই ভালো।
৪. শাকসবজি প্রতিদিন প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। শাকসবজির এক সার্ভিং মানে এক কাপ কাঁচা শাক বা আধা কাপ রান্না করা শাক।
৫. দানা শস্য প্রতিদিন দরকার ৭ থেকে ৮ সার্ভিং। দানা শস্যের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক স্লাইস রুটি অথবা আধাকাপ ভাত বা এক কাপ পরিমাণ গোটা দানা শস্য।
৬. বিচি জাতীয় খাবার প্রতি সপ্তাহে প্রয়োজন ৪ থেকে ৫ সার্ভিং। বিচি জাতীয় খাবারের এক সার্ভিংয়ের উদাহরণ হলো এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ বাদাম বা আধাকাপ রান্না করা শিম বা মটরশুঁটি।

এক মিনিটে দেখে নিন আপনার মোবাইলটি অরজিনাল না নকল !!


আমরা অনেকেই নামি দামি কোম্পানির মোবাইল ফোন কিনে থাকি। ভালো একটা কোম্পানির মোবাইল কিনতে মোটামুটি টাকার অংক গুনতে হয়। আর আমাদের কে ফোন গুলোর গুনগত মান কিংবা অর্জিনাল সম্পর্কে সন্ধেহ থেকেই যায়। বাজারে যে ভাবে নকল বা কপি বা মাস্টার কপি বের হচ্ছে তাতে করে ভাল ফোন চিনতে সমস্যা হয়ে যায়।
যাই হোক, এক মিনিটেই দেখে নিন আপনার সখের ফোনসেট অর্জিনাল নাকি নকল? আপনের IMEI number দিয়েই সহজেই মোরাইলের যাবতীয় তথ্য বের করা যাবে।যদি ফোনের সকল তথ্য বের হয় তা হলে সেটা হবে অর্জিনাল ফোন। আর আজে বাজে কিছু আসলে ধরে নিতে হবে এটার মাঝে ভেজাল আছে।
প্রথমে ফোনের *#06# চাপুন। দেখবেন ১৫ টি সংখার imei নাম্বার আসছে।তারপর এই লিংকে যান এখানে যান। এর উপরে যে ফাকা যায়গা দেখবেন সেখানে এই ১৫টি সংখা বসিয়ে check চাপুন। নিচের ছবিটির মতো; তারপর আপনার মোবাইলের যাবতীয় সকল তথ্য বের হবে। যদি তথ্য না আসে তাহলে আপনার মোবাইলটি অর্জিনাল নয়। আমার এ টিউনটি যদি আপনার উপকারে আসে তাহলে জানাতে ভুলবেন না। দোয়া করবেন পরবর্তিতে আপনাদের কাছে মানসম্যত টিউন দিতে পারি।

‘স্পর্শ করলেই বিষ খাব’ বাসর রাতে বরকে হুমকি বউয়ের! কেন এমন হুমকি দিলো বউ? জানলে চমকে যাবেন!


সাধারণত ফুলশয্যার রাত যে কোনও দম্পতির জীবনে সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলির একটি হয়ে থাকে। তেমনটাই ভেবেছিলেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা মুকেশ যাদবও। নিজের ফুলশয্যার রাতটি তাঁর কাছেও হয়তো চিরস্মরণীয় হয়েই থাকবে, কিন্তু সম্পূর্ণ অন্য কারণে।
দিন কয়েক আগে ২৪ বছর বয়সি মুকেশের বিয়ে হয় গ্রামেরই মেয়ে সোনাক্ষীর সঙ্গে। দুই পরিবারের বড়রা দেখাশুনো করেই বিয়ে দিয়েছিলেন দু’জনের। সোনাক্ষীকে দেখেশুনে পছন্দ হয়েছিল মুকেশেরও। আপাতদৃষ্টিতে শান্তশিষ্ট সোনাক্ষীকে বিয়ের আগে থেকেই ভালবেসে ফেলেছিলেন মুকেশ। কিন্তু নিজের পছন্দের মানুষটি সম্পর্কে তাঁর সমস্ত ধারণা বদলে যায় বিয়ের পরে ফুলশয্যার রাতে।
স্ত্রীর সঙ্গে কিছু প্রেমনিবিড় মুহূর্ত কাটাবেন, এমনটা আশা করেই মুকেশ সেদিন শয্যাকক্ষে ঢুকেছিলেন। কিন্তু সদ্যবিবাহিত স্ত্রীয়ের পাশে খাটে গিয়ে বসতেই স্ত্রী যেন আক্ষরিক অর্থেই ‘ফোঁস’ করে ওঠেন। হুমকির সুরেই নিজের স্বামীকে সোনাক্ষী বলেন, ‘তুমি আমার গায়ে হাত দেওয়ার ভেবোও না।’ বিহ্বল মুকেশ কিছু বলার চেষ্টা করতেই সোনাক্ষী বলেন, ‘তুমি আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করলেও আমি বিষ খেয়ে মরব।’
মুকেশের বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়। ফুলশয্যার রাতটি কোনোক্রমে সোনাক্ষীর সঙ্গে একঘরে কাটানোর পরদিন সকাল থেকেই নাকি সোনাক্ষীর মোবাইলে কোনও এক অজানা নম্বর থেকে এক যুবকের ফোন আসা শুরু হয়। মুকেশ এই নিয়ে প্রশ্ন করলে চেঁচামেচি করতেন সোনাক্ষী। পরিবারে অশান্তি দিনে দিনে বাড়ছিল। শেষমেশ নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান সোনাক্ষী।
মুকেশের পরিবারের লোকজন এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তাঁরা সোনাক্ষীর নামে গাজিয়াবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সংবাদমাধ্যমের তরফে মুকেশের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নববধূর আচরণে তাঁরা সকলেই বিস্মিত ও আহত হয়েছেন। তাঁদের অনুমান, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল সোনাক্ষীর। সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে তিনি মুকেশের সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, এবং দুই পরিবারের মধ্যে যাতে মিটমাট হয়ে যায়, সে ব্যাপারে চেষ্টা করছে।

হেলিকপ্টারে ঘুরতে চান, জেনে নিন হেলিকপ্টার ভাড়া কত আর কোথায় পাওয়া যায়


সাধারণত বাংলাদেশে কয়েকটি হেলিকপ্টার কোম্পানি যাত্রী সেবা সহ আরও কিছু সেবা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকে বুকিং দিতে হবে এবং নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। এসব কোম্পানির বিসয়ে নিচে বিস্তারিত দেয়া হল।
স্কয়ার এয়ার লিমিটেড
কয়ার এয়ার লিমিটেডের যে হেলিকপ্টার আছে তাতে এক সাথে ৬ জন যাত্রী বহন করা সম্ভব। এই হেলিকপ্টারের নাম বেল-৪০৭, এতে আপনি ভ্রমণ করতে চাইলে আপনাকে প্রতি ঘন্টায় গুনতে হবে এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। এছারা স্কয়ার এয়ার লিমিটেডের ৪ জন বহনে সক্ষম রবিনসন আর-৬৬ এর ভাড়া কিছুটা কম এটা ৭৫ হাজার প্রতি ঘন্টা। এছারা আপনাকে আরো কিছু বাড়তি খরচ দিতে হবে তা হচ্ছে প্রতি ঘন্টায় ভুমিতে অপেক্ষার জন্য আপনাকে দিতে হবে ৬ হাজার টাকা আর ভুমি থেকে উড্ডয়নের পর প্রতি ঘন্টায় আপনাকে দিতে হবে ২ হাজার টাকা ইনস্যুরেন্স ফি।
যোগাযোগ ঠিকানা- স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, স্কয়ার সেন্টার, ৪৮ মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা। ফোন : ০১৭১৩১৮৫৩৫২
সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্
সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্ দুই ভাগে সেবা দিয়ে থাকে। সাধারন এবং শুটিং/লিফলেট। সাধারণ কাজের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া প্রতি ঘণ্টা ৫৫ হাজার টাকা। আর সিনেমার শুটিং, লিফলেট বিতরণসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কাজের জন্য ভাড়া ৩০ শতাংশ বেশি দিতে হয়। এই কম্পানি থেকে ন্যূনতম ৩০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টার ভাড়া নেওয়া যায়। জ্বালানি খরচ, ইনস্যুরেন্সসহ বাকি সব কিছু কম্পানিই বহন করে থাকে তবে ভুমিতে অপেক্ষার জন্য আপনাকে প্রতি ঘন্টায় দিতে হবে ৫ হাজার টাকা আর মট টাকার উপর ১৫৫ ভ্যাট।
যোগাযোগ ঠিকানা- সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইনস্ লিমিটেড, টাওয়ার হেমলেট, ১৬ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ফোন : ০২ ৯৮৮০৪৯৬
ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড
রতি ঘণ্টার জন্য গুনতে হবে এক লাখ টাকা দিয়ে আপনি ৬ আসনের ইসি ১৩০বি-৪ হেলিকপ্টার ভাড়া পাবেন ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড থেকে। ভুমিতে অপেক্ষার জন্য প্রতি ঘন্টায় আপনাকে দিতে হবে ৫ হাজার টাকা এবং মোট ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট।
আরও পড়ুন: ডিম ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক হলেন কনস্টেবল!
যোগাযোগ ঠিকানা-ইমপ্রেস অ্যাভিয়েশন লিমিটেড, ৪০ শহীদ তাজউদ্দীন সরণি, তেজগাঁও, ঢাকা। ফোন: ০১৭২৯২৫৪৯৯৬
সিকদার গ্রুপ
এদের রয়েছে ৩ টি হেলিকপ্টার, রয়েছে ৭ এবং ৩ সিটের ভাড়া নেয়ার সুবিধা। ভাড়া সাত সিটের ঘণ্টায় এক লাখ ১৫ হাজার টাকা। তিন সিটের ঘণ্টায় ৭২ হাজার টাকা। ভুমিতে অপেক্ষা করাতে হলে প্রতি ঘন্টায় ৭ হাজার টাকা এবং সাথে ভ্যাট।
যোগাযোগ ঠিকানা- সিকদার গ্রুপ, রাজ ভবন, দ্বিতীয় তলা, ২৯ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা। ফোন : ৯৫৫০২৭১
এসব কোম্পানির বাইরেও আরো কিছু কোম্পানি বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার ভাড়া দিচ্ছে এরা হচ্ছে-
পিএইচপি গ্রুপ, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল, বিআরবি কেব্ল্, মেঘনা গ্রুপ, ইয়াং ইয়াং (আরিয়ান) গ্রুপ, এমএস বাংলাদেশ প্রভৃতি।
তবে আপনি হেলিকপ্টার ভাড়া নিতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতেই হবে আর এসব নিয়ম সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একই। নিচে নিয়ম দেয়া হল-
বুকিং দেয়ার সময় হেলিকপ্টার চার্জের ৫০ ভাগ পরিশোধ করতে হয়। বাকি টাকা দিয়ে দিতে হবে হেলিকপ্টার উড্ডয়নের আগে। হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ৪৮ ঘণ্টা আগে আপনি কোথায় কেনো যাচ্ছেন তা সিভিল এভিয়েশনকে জানাতে হয়। কারণ হেলিকপ্টারের নির্দিষ্ট কোনো রুট নেই। এ কারণে কোনো হেলিকপ্টার আকাশে উড্ডয়ন করলে টাওয়ারকে প্রস্তুত রাখতে হয়, যাতে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এক্ষেত্রে অবসস কারো জরুরি হলে ৫, ১০, ১৫ মিনিট এমনকি এক ঘণ্টার মধ্যেও সিভিল এভিয়েশান অমুমতি দিয়ে থাকে।

স্ক্যান্ডালে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের যে নামী দশ তারকা!


সারা বিশ্বেই তারকাদের নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায় প্রায়সময়ই। এমন স্ক্যান্ডাল হলিউড-বলিউড-ঢালিউড সর্বত্রই চলছে। সেই সব তারকারা কিন্তু ঘটনা লুকিয়ে রাখতে চাইলেও পারেননি। তেমনি সারাবিশ্বের মতই বাংলাদেশের মডেল, অভিনেত্রী, কণ্ঠশিল্পীদের বেশকিছু ভিডিও স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। সেই ভিডিওগুলো নিয়ে হয়েছে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। তবে স্ক্যান্ডালগুলো আবার কোনোটা মিথ্যাও। কিন্তু সত্য হোক আর মিথ্যা, ভিডিওগুলো নিয়ে সারা দেশেই আলোচনা হয়েছে। কেউ মনে করছেন সত্য আবার কেউ বা মনে করেছেন মিথ্যা। আর এজন্য তারকারা সমালোচিত হয়েছেন বেশি। যদিও সেক্স স্ক্যান্ডাল প্রকাশের পর প্রায় তারকাই ভিডিওটি তার নয় বলে দাবি করেছেন। কিন্তু কেনো তারকাদের নাম দিয়ে এসব ভিডিও প্রকাশ করা হয় ইন্টারনেটে তার কোন উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না।
মাহিয়া মাহি: ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে তার সেক্স ভিডিওর স্ক্যান্ডলও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তবে ভিডিওটি আপলোড করার কয়েক ঘণ্টা পরে সে ভিডিও আবার সরিয়েও ফেলা হয়। ভিডিওর মেয়েটি মাহি এবং মাহি নয় – দু ধরনের বক্তব্যই শুনতে পাওয়া গিয়েছিল সে সময়।
সাদিয়া জাহান প্রভা: সময়টা ২০১০ সাল। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা তখন দেশের শীর্ষ মডেল ও অভিনেত্রী। ঠিক সেই সময়েই তার একটি ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছাড়েন তার সেই সময়ের হবু বর রাজীব। মুহূর্তেই তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। রাজীব এবং প্রভার বিয়ে পারিবারিকভাবেই চূড়ান্ত হয়েছিল। সব ঠিকঠাক চলছিল। তাই অনেকটা দাম্পত্য জীবনের মতোই ছিল তাদের সম্পর্ক। কিন্তু এর মাঝে অভিনেতা অপূর্বর সাথে প্রভার মন দেয়া-নেওয়া হলে প্রভা পালিয়ে অপূর্বকে বিয়ে করে বসেন। এরপরই প্রতিহিংসার বশে রাজীব তার হবু স্ত্রী প্রভার একান্ত সময়ের কিছু ফুটেজ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। প্রভার পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে তুমুল বির্তকে জড়িয়ে পড়েন প্রভা। অপূর্বের সঙ্গেও সংসার ভেঙে যায়। ক্যারিয়ারে ধস নামে। দীর্ঘ ২ বছর মিডিয়া থেকে আড়ালে ছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে প্রভা আবারও মানসিকভাবে শক্ত থেকে মিডিয়াতে নিয়মিত কাজ করছেন। এই ব্যাপারটিও সবাই ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন।
কণ্ঠশিল্পী মিলা: জনপ্রিয় পপ শিল্পী মিলা’র ক্যারিয়ার শুরু হয় গানের মাধ্যমেই। পরে অবশ্য বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনেও মডেলিং করেন এই পপ তারকা। কিন্তু ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই তার নাম চলে আসে ভিডিও স্ক্যান্ডালের তালিকায়। ইন্টারনেটে ‘মিলা’ নামে একটি আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ৩৩ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওটিতে মাতাল অবস্থায় থাকা তরুণীকে দেখা যায়। এ ঘটনার কয়েকমাস পর মিলা এ বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি দাবি করেন, প্রকাশিত ভিডিও চিত্রের মেয়েটি তিনি নন। এটি আসলেই মিলা কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে স্ক্যান্ডাল থেকে রক্ষা পাননি তিনি। কিছুদিন আগে তিনি বিয়ে করে এখন সংসার নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি: ভিডিও স্ক্যান্ডালের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় মডেল অভিনেতা তিন্নি-হিল্লোল জুটি। একটি হোটেল রুমে তরুণ-তরুণীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও ফুটেজ দুজনের নামে ছেড়ে দেওয়া হয় বাজারে। ভিডিওটির পাত্র-পাত্রী হিসেবে চলে আসে এ জুটির নাম। এই ভিডিওটির সত্যতা মেলেনি। কিন্তু সমালোচনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি তুখোড় এই তারকা-জুটির। তিন্নিকে এখন শোবিজে দেখা যায় না বললেই চলে।
নোভা: অভিনেত্রী নোভার নামও জড়িয়ে পরে ভিডিও স্ক্যান্ডালে। ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময়ে একটি ভিডিও ফুটেজ বিতর্কে ফেলে দেয় এই তারকাকে। ২০১০ সালে তার নামে একটি অর্ধ বিবসনা ফুটেজ ছড়িয়ে পরে। যা এ তারকাকে স্ক্যান্ডালের তালিকায় ফেলে দেয়। যদিও ফুটেজটির মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আনিকা কবির শখ: জনপ্রিয় মডেল আনিকা কবির শখের নামে একটি ভিডিও ফুটেজ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে ২০১১ সালের মাঝামাঝিতে। ভিডিও ক্লিপটি প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথেই এটি নানাভাবে ছড়িয়ে পরে সর্বত্র। ভিডিওতে বিবসনা নারীটি আসলেই শখ কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর শখের ক্যারিয়ার ইমেজে দর্শকদের নেতিবাচক বার্তা পৌঁছায়।
বিদ্যা সিনহা মীম: লাক্স সুপারস্টার জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম বেশ ক্লিন ইমেজ নিয়েই মিডিয়ায় ছিলেন। কিন্তু এতে বাঁধা হয়ে উঠে একটি আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ। গত বছর এক বিদেশি ক্রিকেটারের সাথে আপত্তিকর দৃশ্যের একটি ফুটেজ প্রকাশ হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে এটা আসলেই বিদ্যা সিনহা মিম কিনা তা নিয়েও অনেকে সংশয় প্রকাশ করেন। এটা শুধুই গুজব বলে দাবি করেন অনেকে। যদিও ভিডিওটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায় না।
আঁখি আলমগীর: ২০১৬ সালের দিকে ইউটিউবে প্রকাশিত হয় কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের সেক্স ভিডিও। ভিডিওটি নিয়ে চলে তর্ক বিতর্ক। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি অাঁখি।
পড়শী: বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী পড়শীও রেহাই পায়নি এই সাইবার ক্রাইম থেকে। ভিডিও স্ক্যান্ডালের শিকার হতে হয়েছে তাকেও। পড়শীর নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। যদিও ভিডিওর মেয়েটির পরিচয় জানা যায়নি।
সাবিলা নূর: সর্বশেষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এজন্যই কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন বেড়াতে। এমনটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এদিকে হঠাৎ করেই সম্প্রতি সাবিলার স্ক্যান্ডাল ভিডিও ভাইরাল হয় অনলাইনে। সাবিলা দাবি করেছেন, সেটি ফেইক। অন্য কারো ভিডিও সাবিলার নামে চালিয়ে দিয়েছে কেউ। সাবিলা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বোনের বাসায় আছেন। সেখানে সাবিলার মা-বাবাও আছেন তার সাথে। এই ভিডিওটিই হচ্ছে বাংলাদেশের সর্বশেষ ভিডিও। যা সাবিলার না হলেও তার ক্যারিয়ারে বেশ প্রভাব ফেলেছে। সূত্রঃ প্রিয়.কম

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের আগে যার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন সানি লিওন


সানি লিওনের ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে নেই এমন সিনেমা নেই বললেই চলে, আর অভিনয় জগতে এখনও তাঁর প্রধান পরিচয় সেক্স সিম্বল হিসেবে। বর্তমানে পর্ন-দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে বলিউডে মূল ধারার সিনেমায় অভিনয় করে নায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন তিনি
নানা ফিল্মে সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি পুরোদস্তুর পেশাদার অভিনেত্রী। ফলে নিজের শারীরিক নিরাপত্তার বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিৎ না হয়ে তিনি কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতেই রাজি নন। এবং সহ-অভিনেতাটি যতই স্বনামধন্য তারকা হোন না কেন, সানি নিজের এই অভ্যাস থেকে বিন্দুমাত্র সরতে প্রস্তুত নন।
সম্প্রতি একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে সানির এই অভ্যাসের কথাই ফলাও করে আলোচিত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ‘জিসম টু’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সম্মতি জানানোর পরে প্রোডাকশন হাউজকে ইমেল মারফৎ সানি জানিয়েছিলেন, তিনি সহ-অভিনেতা রণদীপ হুডা এবং অরুণোদয় সিংহের ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চান।
আসলে সিনেমায় রণদীপ ও অরুণোদয়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয়ের কথা ছিল সানির। তার আগে সানি নিশ্চিৎ হয়ে নিতে চেয়েছিলেন যে, এই দুই বলিউড তারকা কোনওরকম যৌন রোগে আক্রান্ত নন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই রিপোর্ট সানিকে দেখানো হয়েছিল কি না, তা সিনেমার প্রোডাকশন হাউজের তরফে জানানো হয়নি।

বাংলাদেশি কোন টাকা তৈরি করতে কত খরচ জেনে নিন


অর্থনীতির প্রধান বাহন টাকা। এই টাকা তৈরি করতেও প্রয়োজন টাকা। মানুষের হাতে হাতে ঘোরে কাগজের তৈরি এ পণ্যটি। ব্যবহারকারীদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় টাকা ছেঁড়ে, পোড়ে কিংবা রং পরিবর্তন করে। ফলে একসময় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব টাকা পুড়িয়ে ফেলে। এরপর নতুন করে সে টাকা ছাপতে সরকারকে খরচ করতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ১ টাকার একটি কয়েন তৈরি করতে ৯৫ পয়সা খরচ হয়। ২ টাকা কয়েনে ১ টাকা ২০ পয়সা খরচ হয়। আর ৫ টাকার একটি কয়েন তৈরিতে খরচ পড়ে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। কয়েনের মান বেশি হলে সে তুলনায় খরচ অনেক কম পড়ে। বাজারে প্রচলিত সবচেয়ে বড় নোট ১ হাজার টাকা। এই মূল্যমানের একটি নোট ছাপাতে প্রায় ৭ টাকা খরচ হয়। ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ৬ টাকার মতো। ১০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে সাড়ে ৪ টাকা।
এছাড়া ৫০ টাকা ও ২০ টাকার একটি নোট ছাপাতে আড়াই টাকা, ১০ টাকার নোট ছাপাতে ২ টাকা ২০ পয়সা এবং ৫ টাকার নোট ছাপাতে খরচ হয় ২ টাকার মতো। আর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই সবচেয়ে ছোট কাগুজে নোটে পরিণত হওয়া ২ টাকার নোট ছাপানোতে খরচ পড়ে দেড় টাকা।
কাগুজে নোটগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টাঁকশাল বা দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড থেকে ছাপানো হয়। এই টাঁকশাল গাজীপুরে অবস্থিত। তবে নোট ছাপানোর যাবতীয় উপকরণ কাগজ, কালি, রঙ, নিরাপত্তা সুতা ইত্যাদি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জানান, ব্যবহারকারীদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় টাকা ছেঁড়ে, পোড়ে কিংবা রঙ পরিবর্তন করে। ফলে এক সময় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব টাকা পুড়িয়ে ফেলে। এরপর নতুন করে সে টাকা ছাপতে সরকারকে খরচ করতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মূল্যবান মুদ্রার বান্ডিলে পিন কিংবা সুতা লাগানো হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত এই পদ্ধতি অবলম্বন করায় রাষ্ট্রের অনেক টাকা গচ্চা যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবছরই টাকা তৈরিতে খরচ বাড়ছে। এর অধিকাংশ কাঁচামালই আমদানি করতে হয়। কাঁচামালের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। একই সঙ্গে অন্যান্য খরচও বাড়ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে অপচয় হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকা । বহনকারীরা একটু সচেতন হলেও আমাদের অনেক টাকা বেঁচে যায়।’অর্থনীতির প্রধান বাহন টাকা। এই টাকা তৈরি করতেও প্রয়োজন টাকা। মানুষের হাতে হাতে ঘোরে কাগজের তৈরি এ পণ্যটি। ব্যবহারকারীদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় টাকা ছেঁড়ে, পোড়ে কিংবা রং পরিবর্তন করে। ফলে একসময় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব টাকা পুড়িয়ে ফেলে। এরপর নতুন করে সে টাকা ছাপতে সরকারকে খরচ করতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ১ টাকার একটি কয়েন তৈরি করতে ৯৫ পয়সা খরচ হয়। ২ টাকা কয়েনে ১ টাকা ২০ পয়সা খরচ হয়। আর ৫ টাকার একটি কয়েন তৈরিতে খরচ পড়ে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। কয়েনের মান বেশি হলে সে তুলনায় খরচ অনেক কম পড়ে। বাজারে প্রচলিত সবচেয়ে বড় নোট ১ হাজার টাকা। এই মূল্যমানের একটি নোট ছাপাতে প্রায় ৭ টাকা খরচ হয়। ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে ৬ টাকার মতো। ১০০ টাকার নোট ছাপাতে খরচ পড়ে সাড়ে ৪ টাকা।
এছাড়া ৫০ টাকা ও ২০ টাকার একটি নোট ছাপাতে আড়াই টাকা, ১০ টাকার নোট ছাপাতে ২ টাকা ২০ পয়সা এবং ৫ টাকার নোট ছাপাতে খরচ হয় ২ টাকার মতো। আর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই সবচেয়ে ছোট কাগুজে নোটে পরিণত হওয়া ২ টাকার নোট ছাপানোতে খরচ পড়ে দেড় টাকা।
কাগুজে নোটগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টাঁকশাল বা দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড থেকে ছাপানো হয়। এই টাঁকশাল গাজীপুরে অবস্থিত। তবে নোট ছাপানোর যাবতীয় উপকরণ কাগজ, কালি, রঙ, নিরাপত্তা সুতা ইত্যাদি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা জানান, ব্যবহারকারীদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় টাকা ছেঁড়ে, পোড়ে কিংবা রঙ পরিবর্তন করে। ফলে এক সময় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সেসব টাকা পুড়িয়ে ফেলে। এরপর নতুন করে সে টাকা ছাপতে সরকারকে খরচ করতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মূল্যবান মুদ্রার বান্ডিলে পিন কিংবা সুতা লাগানো হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত এই পদ্ধতি অবলম্বন করায় রাষ্ট্রের অনেক টাকা গচ্চা যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবছরই টাকা তৈরিতে খরচ বাড়ছে। এর অধিকাংশ কাঁচামালই আমদানি করতে হয়। কাঁচামালের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। একই সঙ্গে অন্যান্য খরচও বাড়ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার কারণে অপচয় হচ্ছে দেশের কোটি কোটি টাকা । বহনকারীরা একটু সচেতন হলেও আমাদের অনেক টাকা বেঁচে যায়।’

এই বছরই এনগেজমেন্ট সোনাক্ষীর, কিন্তু পাত্র কে? জানলে অবাক হবেন!


বলিউডের বিভিন্ন মহলে এখন সোনাক্ষীকে নিয়ে জোর আলোচনা। শোনা যাচ্ছে যে এই বছরই এনগেজমেন্টটা সেরে ফেলবেন এই নায়িকা। এমনিতে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে বরাবরই গোপন রেখেছেন সোনাক্ষী। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী মাসে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠানটি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পাত্রটি কে?
বহুদিনের বন্ধু বান্টি সচদেবকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন সোনাক্ষী বলে গুজব। যদিও দু’জনের কেউই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি কখনও কিন্তু বেশ অনেকদিন ধরেই বান্টি ও সোনাক্ষীকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন পার্টি ও অনুষ্ঠানে। এর আগে বহুদিন সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ডেটিং করেছেন বান্টি। সোনাক্ষীর এনডর্সমেন্ট ডিল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়।
ওদিকে একটা সময় অর্জুন কপূরকে ডেট করছিলেন সোনাক্ষী বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আপাতত জল্পনা এটাই যে প্রেমটা তিনি বান্টির সঙ্গেই করছেন এবং এই বছরই সম্পর্ককে মজবুত করবেন এনগেজমেন্টের মাধ্যমে। বান্টি অবশ্য এর আগে বিয়ে করেছিলেন অম্বিকা চৌহানকে। চার বছর পরে সেই বিয়ে ভেঙে যায়।
তার পরে বহু নায়িকার সঙ্গেই বান্টিকে জড়িয়ে গসিপ ছড়ায় বলিউডে। সুস্মিতা সেন ছাড়াও দিয়া মির্জার সঙ্গে তিনি এক সময় ডেটিং করতেন বলে শোনা গিয়েছিল। ওই সময়েই নেহা ধুপিয়ার সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়। এর পরেই নাকি দিয়া বান্টির সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন। বান্টি আবার সমীরা রেড্ডিকেও মাঝখানে ডেটিং করেছেন বলে শোনা গিয়েছে। সব মিলিয়ে বান্টিকে গসিপ কিং বলাই যায়।
সত্যিই কি এই রকম একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেবেন সোনাক্ষী? নাকি বান্টির সম্পর্কে যা যা শোনা যায় তার অনেকটাই সত্যি নয়? তবে একটা কথা ঠিক, সোনাক্ষী তাঁর পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করবেন না। আর যে-সে মানুষের হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়ার পাত্র নন শত্রুঘ্ন সিংহ। -এবেলা

কেন অভিষেককে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া? জানলে চমকে উঠবেন…


ঐশ্বরিয়া বিশ্বসুন্দরী তো বটেই; পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম আকাঙ্খিত নারীদের একজন। ঐশ্বরিয়ার স্রেফ উপস্থিতি একটি সিনেমা হিট করে দিতে পারে! অন্যদিকে বিগ বি. অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চন বাবার ধারেকাছেও যেতে পারেননি। অভিনেতা হিসেবে তাকে সফল বলা কঠিন। তাহলে এমন একজনকে কেন বিয়ে করলেন ঐশ্বরিয়া?
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক লেভেলে ঐশ্বর্য বেশি জনপ্রিয় হলেও ভারতে কিন্তু ‘বচ্চন’ মানেই শেষ কথা। কিন্তু কথা হচ্ছে অভিষেক বচ্চন তো অন্য কাউকে বিয়ে করলেও সমান জনপ্রিয়তা পেতেন‚ তাহলে উনি হঠাৎ বয়েসে দুই বছরের বড় অ্যাশকে কেন বিয়ে করলেন? আসলে অভিষেক এবং অ্যাশের যখন দেখা হয় তখন দুজনেই সবে নিজেদের আগের সম্পর্ক থেকে বেরিয়েছেন। সালমান খানের সঙ্গে ঐশ্বর্যের সম্পর্ক ভাঙার পর উনি সেই সময় বেশ বিষণ্ণ। অন্যদিকে কারিশমার সঙ্গে বিয়ে অবধি ঠিক হয়ে গিয়েছিল অভিষেকের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। ফলে উনিও ওই সময় বেশ মনমরা।
তাই বলে ভাববেন না দুজনের ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট ‘হয়। অ্যাশ-অভি অনেক আগে থেকেই একে অপরকে চেনেন। কিন্তু ২০০৫ সালে ‘বান্টি অঔর বাবলি ‘ছবির গান ‘কজরা রে ‘করতে গিয়ে অভিষেক নাকি বুঝতে পারেন উনি ঐশ্বর্যের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু উনি সেই কথা জানান নি। এর পরের দুই বছরে তারা দুজনে একসঙ্গে তিনটে ছবিতে অভিনয় করেন ‘গুরু ‘‚ ‘উমরাও জান ‘এবং ‘ধূম ২’। ফলে দুজনে একে অপরের সঙ্গে অনেকেটা সময় কাটানোর সুযোগ পান। এর মধ্যে ঐশ্বর্যও অভিষেকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করেন। অবশেষে টরেন্টোতে ‘গুরু ‘ছবির প্রেমিয়ারের পর নিউ ইয়র্কে অভিষেক ঐশ্বর্য্যকে হাঁটু গেড়ে বসে আংটি দিয়ে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে প্রপোজ করেন।
অ্যাশ সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রপোজালে সম্মতি দেন। শুনলে আশ্চর্য হবেন অভিষেক কিন্তু অ্যাশকে কোন দামি হীরের আংটি দেন নি এই সময়। উনি ‘গুরু ‘ছবিতে ব্যবহৃত একটা সাধারণ আংটি দিয়ে প্রপোজ করেছিলেন। অবশেষে ২০ এপ্রিল ২০০৭ সালে বিয়ে করেন তারা। অন্য যে কোন দম্পতির মতো তাদের জীবনেও ভালো খারপ দুটোই এসেছে। কিন্তু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা দিয়ে তারা তা কাটিয়ে উঠেছেন। যেমন ধরুণ অভিষেক ‘কর্ভা চৌথ’ প্রথায় বিশ্বাস করেন না। কিন্তু যেহেতু ঐশ্বর্য এই প্রথা মানেন তাই অভিষেক প্রতি বছর যেখানেই থাকুন না কেন এইদিন স্ত্রীর সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেন। আবার শোনা যায় ঐশ্বর্য শুধুমাত্র অভিষেকের মতামতকে সম্মান জানাতে ‘জাজবা ‘ছবি দিয়ে আবার ক্যম ব্যাক করেন।

নিজের মেয়ের সঙ্গেও ! কিভাবে এটা করতে পারলেন শক্তি কাপুর


নিজের মেয়ের সঙ্গেও ! কিভাবে এটা করতে পারলেন শক্তি কাপুর – শ্রদ্ধা ফারহানের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছিলই বলিউডে। কিন্তু সেই গুঞ্জন বরাবরই উড়িয়ে দিয়েছে দুজনে। বলি তারকাদের অনেকেরই বক্তব্য যে তারা সম্পর্কে ছিল বহুদিন ধরে। যথেষ্টই ক্লোজ ছিল দুজনের সম্পর্ক। রক অন ২ সিনেমার পর থেকেই তাদের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছিল বলেই অনেকের দাবি৷
একসঙ্গে ফ্ল্যাটেও থাকতেন দুজনে। কিন্তু সেই মাখো-মাখো সম্পর্কে বাধ সাধল স্বয়ং শ্রদ্ধার বাবা শক্তি কাপুর। সূত্রের খবর তার বাবা নাকি মেয়ে শ্রদ্ধাকে ফারহানের বাড়ির কাছ সরিয়ে নিয়ে এসেছে। প্রথম থেকেই ফারহানকে পছন্দ ছিল না শক্তি কাপুররের।


অনেক সমস্যার পরেও সম্পর্ক চালাচ্চিলেন দুজনে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা! ব্যাপারটা শক্তি কাপুরের নজরে আসার পরই মেয়ের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ করলেন তিনি। সরিয়ে দিলেন প্রেমিকের কাছ থেকে। বলিউডে গসিপ একেবারেই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেনি শ্রদ্ধা।

দেশে আসছে নতুন যে কোম্পানির সিম


গত কয়েকবছর দরেই গুঞ্জন ছিল দেশে ৭ম মোবাইল অপারেটর হিসেবে ভোডাফোন বাজারে আসছে। তবে সেই গুঞ্জনের আর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে এবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) আগামী স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) নিলামের সময় নতুন একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানি আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ।
গত বছরেই রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড একীভূত হয়েছে। তাদের এই একীভূত হওয়া এবং অন্য একটি মোবাইল অপারেটর অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে চালু আছে মাত্র চারটি।
এছাড়া দেশের সবচেয়ে পুরোনো মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল গত আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এমনকি সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরীকে গত ১ জুলাই গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, এখন গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংকের মোট মার্কেট শেয়ার ৯৭.৩ শতাংশ। আর অবশিষ্ট ২.৭ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের। দেশে সর্বশেষ ২০০৫ সালে এয়ারটেলকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলছেন, অন্তত একটি নতুন মোবাইল ফোন অপারেটরকে আগামী স্পেকট্রাম নিলামে অংশগ্রহণের প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, আমরা নতুন একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি জানান, পরবর্তী স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠিত হবে আগামী তিন মাসের মধ্যেই। এ সময়ের মধ্যেই নতুন অপারেটর আসতে পারে।
তবে টেলিকম বিশেষজ্ঞ আবু সাঈদ খান বলছেন, বাংলাদেশে নতুন মোবাইল ফোন অপারেটরকে বিনিয়োগ করানোর বিষয়টি সহজ হবে না। এ খাতের ভবিষ্যৎ-বাণী করা সহজ নয়। তবে এজন্য রেগুলেটরকে অবশ্যই নতুন বিনিয়োগে আকর্ষণ করানোর জন্য কাজ করতে হবে। নতুন অপারেটর আসার ক্ষেত্রে রেগুলেটর যদি কোনো ইনসেন্টিভ দেয় তাহলে হয়তো এ পথ সুগম হবে।

৭ দিন খালি পেটে রসুন-মধু খেলে কী হয়? জেনে নিন !


কেবল মাত্র খাবার হিসেবে নয়, বহুকাল আগে থেকে রসুন garlic ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি জাতিই রসুনকে বিভিন্ন অসুখ থেকে নিরায়মের জন্য ব্যবহার করে আসছে।
আবার বিভিন্ন দেশে রোগ নিরামকারী উপাদান হিসেবে মধু honey ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০ শতকের মাঝামাঝি এসে একে অ্যান্টিবায়োটিকের সাথে তুলনা করা হয়। মধুকে সংক্রমণ প্রতিরোধী উপাদান হিসেবে ধরা হয়। এই দুটো চমৎকার জিনিস যখন একসাথে হয় তখন এর গুণ বেড়ে যায় আরো বেশি।
রসুন ও মধুর মিশ্রণ বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, ঠান্ডা, জ্বর, কফ ইত্যাদি সারাতে বেশ ভালো কাজ করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কেবল সাতদিন রসুন ও মধুর মিশ্রণ খেলে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে অনেকটাই রক্ষা করা যায়।
জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট রাইস আর্থ জানিয়েছে মধু ও রসুনের এই মিশ্রণটি তৈরির প্রণালি।

উপাদান –

১/ একটি মাঝারি আকৃতির বয়াম
২/ মধু
৩/ তিন থেকে চারটি রসুন। (খোসা ছড়িইয়ে কোয়াগুলো বের করুন।)

প্রণালি –

প্রথমে বয়ামের মধ্যে রসুনের কোয়াগুলো নিন। এরপর এর মধ্যে মধু ঢালুন। বয়ামের মুখ বন্ধ করে মিশ্রণটি ফ্রিজের মধ্যে সংরক্ষণ করুন।
প্রতিদিন খালি পেটে মিশ্রণটি আধা চা চামচ করে খান। ঠাণ্ডাজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দিনে ছয়বার আধা চা চামচ করে এটি খেতে পারেন। এটি সংক্রমণ দূর করতে কাজ করবে।

টাঙ্গাইলের সালমা খাতুনের বেতন ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা !


টাঙ্গাইলের এমপিওভুক্ত এক হাইস্কুলের সহকারি গ্রন্থাগারিকের বেতন সাড়ে তিন কোটি টাকা। অবিশ্বাস্য হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ভুলে ঘটেছে এমন ঘটনা। সালমা খাতুন নামের এই গ্রন্থাগারিক টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের মাটিকাটা এম এল হাইস্কুলে চাকরি করেন। ওই গ্রন্থাগারিকের প্রকৃত বেতন ৮ হাজার টাকা। তার জানুয়ারি মাসের বেতন হিসেবে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
চলতি মাসে অর্থ ছাড় করার শেষ পর্যায়ে বিষয়টি নজরে আসে অধিদপ্তরের। তবে এমপিও’র টাকা বরাদ্দে অসঙ্গতির ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি মাসে কমপক্ষে এমন আরো ৬টি ঘটনা ঘটেছে।
একটি চক্র পরে এ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভগি করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য টাঙ্গাইলের ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা বলছে অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর এলিয়াস হোসেন বলেন, সার্ভার থেকে আমরা তথ্য নিয়ে দেখেছি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ঘরে সে অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখেছে। আবার এরিয়ারে কত অ্যামাউন্ট হবে সেটার একটা কলাম ছিলো, সেখানেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লিখে দিয়েছে। ‘যেহেতু ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ছিলো ৩৪০৩৮৪৭৮ অর্থাৎ আট ডিজিট থাকার কারণে এটা কোটি টাকা হয়ে গেছে। মূলত অসাবধানতার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।’
এলিয়াস হোসেন আরো বলেন, ব্যাংক যখন আমাদের জানিয়েছে যে এত টাকা এরিয়ার আসল, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকে চিঠি দিয়ে বন্ধ করিয়েছি। এখন তদন্ত প্রক্রিয়া শেষের দিকে, আমরা এখন সার্ভারের রিপোর্টগুলোসহ একটা রিপোর্ট জমা দিব। এরপর টাকা ফেরত নেওয়ারও চিঠি প্রশাসন দিচ্ছে।
এ ঘটনার পর কম্পিউটার সফটওয়ারের বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

যে স্বপ্নগুলি দেখলে বুঝবেন আপনার মৃত্যু আসন্ন


আব্রাহাম লিঙ্কন তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে স্বপ্নে নিজেকে কফিনে শায়িত থাকতে দেখেছিলেন। জুলিয়াস সিজার বা ক্যালিগুলাও তাঁদের আসন্ন মৃত্যুর প্রতীকী আভাস পেয়েছিলেন তাঁদের স্বপ্নে।
ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন কি সত্যিই নিকট ভবিষ্যতের কোনও আভাস দেয়? বিজ্ঞানমনস্ক কিংবা যুক্তিনির্ভর মানুষরা এই প্রশ্নের উত্তরে বলবেন, না, দেয় না। কিন্তু এ কথা‌ও ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে, অনেক ক্ষেত্রে স্বপ্নে দেখা ঘটনা কয়েক দিনের মধ্যেই আশ্চর্যজনকভাবে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এম‌নকী, এমন‌ বিশ্বাসও প্রচলিত রয়েছে যে, স্বপ্নে অনেক সময়ে আভাসিত হয় আসন্ন মৃত্যুর পূর্বাভাসও। রামায়ণে বর্ণিত হয়েছে যে, রাজা দশরথের মৃত্যুর এক রাত্রি আগে ভরত পিতা দশরথকে তাঁর স্বপ্নে যমরাজের দিকে হেঁটে যেতে দেখেছিলেন। স্পষ্টতই এই স্বপ্ন ছিল দশরথের মৃত্যুর ইঙ্গিত। শুধু মহাকাব্য নয়, বাস্তবেও এই জাতীয় ঘটনার নজির রয়েছে। আব্রাহাম
লিঙ্কন তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে স্বপ্নে নিজেকে কফিনে শায়িত থাকতে দেখেছিলেন। জুলিয়াস সিজার বা ক্যালিগুলাও তাঁদের আসন্ন মৃত্যুর প্রতীকী আভাস পেয়েছিলেন তাঁদের স্বপ্নে। অলৌকিকতা নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন, কোনও ব্যক্তির আসন্ন মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ যেমন তাঁর দেহে বা মনে ধরা পড়ে তেমনই ধরা পড়ে স্বপ্নেও। বলা হচ্ছে, স্বপ্নে নিহিত বিশেষ কিছু‌ প্রতীকই নিজের অথবা কোনও আত্মীয়-বন্ধুর নিকটাগত মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। কীরকম? আসুন, জেনে নিই—
সাপ: স্বপ্নে সাপ-দর্শন পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতেই অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। স্বপ্নে দৃষ্ট সাপ আসন্ন মৃত্যুর প্রতীক, এমনটাই বিশ্বাস।
কালো বিড়াল: কালো জাদু বা ডাইনি বিদ্যার চর্চা করেন যাঁরা তাঁদের কাছে কালো বিড়াল বিশেষ তাৎপর্যবাহী। তাঁরা মনে করেন, স্বপ্নে কালো বিড়াল দেখার অর্থ— কোনও ঘোরতর অমঙ্গল ঘটতে চলেছে জীবনে। এমনকী মৃত্যুও সেই অমঙ্গলের সীমানাভুক্ত হতে পারে।
দাঁত পড়ে যাওয়া: অনেকের মতে স্বপ্নে দাঁত পড়ে যেতে দেখা, কোনও নিকটজনের আসন্ন মৃত্যুর দ্যোতক।
দাঁড়কাক: দাঁড়কাক বা অন্য কোনও কালো পাখি যদি স্বপ্নে আবির্ভূত হয়, তাহলে তা নিকটাগত মৃত্যুর লক্ষণ বলে ধরতে হবে।
ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা: যদি স্বপ্নে কোনও ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা করতে দেখা যায় নিজেকে, তাহলে তা নিজের অথবা কোনও নিকটজনের ম়ৃত্যুর পূর্বাভাস বলে ধরতে হবে।
কোনও ডুবন্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো: বলা হয়, স্বপ্নে কোনও ব্যক্তিকে নিশ্চিৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালে জলের অশুভ শক্তির ক্রোধ গিয়ে পড়ে রক্ষাকারী ব্যক্তির উপর। ফলে এবার তারা সেই ব্যক্তিকেই মৃত্যুর দিকে টেনে নেয়।
নাচ-গানে উচ্ছল আনন্দোৎসব: কেউ যদি স্বপ্নে নিজেকে নাচে-গানে উচ্ছল কোনও উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেখে, তাহলে শীঘ্রই সেই ব্যক্তি খুন হবে বলে মনে করা হয়।-এবেলা

দ্বিতীয় বউ নিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন বাসর ঘরে বসে আছে প্রথম স্ত্রী।অতঃপর যা হল…


দ্বিতীয় বউ নিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন বাসর ঘরে বসে আছে প্রথম স্ত্রী – প্রথমে প্রেম করে গোপনে বিয়ে। এরপর ২৪ ঘণ্টা ব্যবধানে পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে। দ্বিতীয় বউ নিয়ে বাড়িতে এসে দেখেন বাসর ঘরে বসে আছে প্রথম স্ত্রী। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে স্বামী। তারপর দুই স্ত্রীই স্বামীর অধিকার দাবিতে অবস্থান নেয় বরের বাড়িতে। এভাবে গেল ছয়দিন। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ইনাম সাফুল্লি গ্রামে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, শাহিনুর মিয়া নামে এক যুবকের সাথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার দাতপাড়া গ্রামের মৃত: আব্দুল ছালামের কন্যা ছালমার (২৬) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের সম্পর্ক শাহিনের পরিবার মেনে না নিয়ে তার বিয়ে ঠিক করে ৩ অক্টোবর। অন্যদিকে শাহীন তার প্রেমিকা ছালমাকে গত ২ অক্টোবর কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু বিষয়টি তার পরিবার মেনে না নেয়ায় নির্ধারিত তারিখ ৩ অক্টোবর শনিবার শাহিন তার পরিবার ও পাড়া-প্রতিবেশীকে সাথে নিয়ে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরের রাথুরা গ্রামের আব্দুল আলীমের কন্যা রোনা আক্তারকে (১৮) বিয়ে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে পাকুটিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী আবু বক্করের অফিসে ৪ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয় এ বিয়েতে।
ইতোমধ্যে শাহিনুর বিয়ে করছে এমন খবর জানতে পেরে মাত্র একদিন আগে বিয়ে করা স্ত্রী মির্জাপুরের আব্দুল ছালামের কন্যা ছালমা স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে শাহীনের বাড়িতে ওঠে। আর শাহিন নতুন স্ত্রীকে নিয়ে এসে দেখে বাসরঘরে বসে আছে তার প্রথম স্ত্রী ছালমা।
ঘটনা জানাজানি হলে মুহূর্তেই গ্রামের মানুষ জড়ো হয় বিয়ে বাড়িতে। আনন্দ রূপ নেই বিষাদে। অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামী শাহীনুর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুরো সাটুরিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে শাহীনুর তার প্রেমিকা ছালমাকেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অনড় থাকায়, তার পরিবার প্রথম স্ত্রীকেই মেনে নেয়। তাই দ্বিতীয় স্ত্রী রোনা আক্তারকে দেন-মোহরের চার লাখ টাকা দিয়ে তালাক দিতে গতকাল বুধবার সন্ধায় গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে পাকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, সাফুল্লির স্থানীয় ইউপি সদস্য আমীর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য পাত্তা মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমান দ্বিতীয় স্ত্রীর দেন মোহরের চার লাখ টাকা ফেরত দিয়ে তাকে তালাক দেয়ার রায় দেন।
দ্বিতীয় স্ত্রী রোনার ভগ্নিপতি উজ্জল হোসেন জানান, শাহীন ২ অক্টোবর ছালমাকে বিয়ের কথা গোপন রেখে পরদিন ৩ অক্টোবর আমার শালিকা রোনাকে বিয়ে করে তার নিজ বাড়িতে নেয়। এরপর আমরা জানতে পারি কার আরেক স্ত্রী বাসর ঘরে বসে আছে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে রোনাকে ৪ লাখ টাকা দিয়ে তালাক করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি এক লাখ টাকা স্থানীয় মাতবর ও আওয়ামীলীগ নেতারা ভাগবাটোয়ারা করেছে।
ইনাম সাফুল্লি গ্রামের পাত্তা মেম্বার ও ইউপি সদস্য আমীর আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দ্বিতীয় স্ত্রীর ৪ লাখ টাকা আজ বৃহস্পতিবার সকালে রোনার পরিবারকে দিয়ে দিয়েছে। তবে ১ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারার কথা অস্বীকার করেন তারা।

ষষ্ঠবারের মতো বিয়ে করতে গিয়ে ঘটে গেল বিপত্তি!


চুপিচুপি পাঁচটি বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন মুম্বাইয়ের এক ব্যক্তি। কাক-পক্ষীতেও টের পায়নি। আত্মীয় পরিজনরা একেবারেই অন্ধকারে ছিলেন। দিব্যি পাঁচ স্ত্রীকে নিয়ে পাঁচটি সংসার পেতেছিলেন তিনি।
তবে, ষষ্ঠবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। ৩২ বয়সি ওই ব্যক্তির হাতে পড়ল হাতকড়া। মুমব্রা থেকে আটক করা হয় তাকে। রোববার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
থানে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা) ও ৩৪ (ইচ্ছাকৃত ক্ষতি) নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও
পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে খবর। পুলিশ জানায়, মুমব্রার এক পরিবার বাড়ির মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র খুঁজছিল। এই খবর পেয়ে সেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিযুক্ত।
জানান, একটি জনপ্রিয় কোম্পানিতে তিনি চাকরি করেন। তার একটি নিজস্ব ট্রাভেল এজেন্সিও রয়েছে। পাত্রকে পছন্দও হয়ে যায় পরিবারের। গত বছর ডিসেম্বরে বাগদান পর্ব সেরে ফেলেন তারা। কিন্তু আর্থিক কারণে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছিলেন কনের বাড়ির লোকজনেরা। আর তাতেই প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যান মহিলা।
এক ব্যক্তি ফোনে কনের পরিবারকে অভিযুক্তের আসল পরিচয় ফাঁস করেন। জানান, তার আরও পাঁচ স্ত্রী রয়েছে। এই খবর সত্যি কিনা জানতে হবু জামাইকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু প্রতারক তা অস্বীকার করেন। তবে প্রতারকের মুখোশে বেশিদিন নিজেকে গোপন রাখতে পারেননি। গত ২২ জুলাই চারজন মহিলা নিজেদের ওই ব্যক্তির স্ত্রী বলে দাবি করেন।
গোটা ঘটনায় হতবাক মুমব্রার পরিবার। গত শুক্রবার ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। তার ভিত্তিতেই সেদিনই তাকে আটক করা হয়। কীভাবে আইনের চোখে ধুলো দিয়ে দিনের পর দিন পাঁচ স্ত্রী নিয়ে সংসার করছিলেন তিনি, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সালমান-সামিরার দাম্পত্য কলহের জন্য দায়ী ছিল কে?


প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। লাশ উদ্ধারের পর ধারণা করা হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
কিন্তু পরিবারের দাবি, তাকে খুন করা হয়েছে। তার মৃত্যু নিয়ে এই রহস্যের জট দুই দশক পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত খোলেনি।
সালমান শাহের পরিবারের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা ও সামিরার বর্তমান স্বামী মোস্তাক ওয়াইজ। তিনি সালমান শাহের বাল্যবন্ধুও। সালমানের মৃত্যুর তিন বছর পর মোস্তাক ওয়াইজ বিয়ে করেন সামিরাকে। সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি সামিরা ও তার স্বামী মোস্তাক।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই দম্পতি বর্তমানে থাইল্যাণ্ডে অবস্থান করছেন। কিন্তু থাইল্যান্ড নয়, সামিরা ও তার স্বামী বর্তমানে বাংলাদেশেই বাস করছেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সরাসরি কথা হয় মোস্তাক ওয়াইজের। এসময় তিনি জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূরকে নিয়ে মন্তব্য করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি রূপালী আলোকে বলেন, ‘সালমান-সামিরার দাম্পত্য কলহের জন্য দায়ী শাবনূর।সালমান-সামিরার মধ্যে শাবনূর তৃতীয় ব্যক্তি। তিনিও একটি রোল প্লে করেছেন। বিভিন্ন সময় তাকে নিয়ে ঝগড়া করতেন সালমান-সামিরা।’
সামিরা-মোস্তাকের ঘরে দুই মেয়ে এক ছেলে রয়েছে। বর্তমানে তাদের নিয়ে সংসার করছেন তারা।

যা লেখা ছিল সালমান শাহের সেই সুইসাইড নোটে !


১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় নায়কের বাসায় পাওয়া যায় সেই সময়ের বাংলা ছবির সবচেয়ে বড় সুপারস্টার সালমান শাহের মৃতদেহ। সেই সময়ে সালমানের বাসা থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট বা আত্মহত্যার চিঠি উদ্ধার করে।
চিঠিতে লেখা আছে, ‘আমি চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার, পিতা-কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ১৪৬/৫, গ্রিনরোড, ঢাকা-১২১৫ ওরফে সালমান শাহ এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে আজ অথবা আজকের পরে যেকোনো দিন মৃত্যু হলে তার জন্য কেউ দায়ী থাকবে না। স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে আমি আত্মহত্যা করছি।’
এই চিঠিতে কারও স্বাক্ষর ছিল না। তবে সিআইডির হস্তবিশারদেরা পরীক্ষা করে বলেছেন, এটা সালমান শাহের হাতের লেখা। তবে, সালমানের মা নীলা চৌধুরী এই চিঠি নিয়ে গুরুতর সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ওকে ইমন নামেই ডাকতাম। অথচ চিঠিতে ইমন নামের কোনো অস্তিত্ব নেই। ও থাকে ইস্কাটনের বাসায়। কিন্তু ঠিকানা লেখা আছে আমাদের বাসার। সালমান শাহ নামটিও ঠিকানার পরে লেখা।’
চিঠির ভাষার আনুষ্ঠানিক ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলে নীলা চৌধুরী আরও বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করার আগে এ রকম মামলা লেখার স্টাইলে এত গুছিয়ে বাবার নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে চিঠি লেখে বলে আমার জানা নেই। এখানেই আমার ঘোরতর সন্দেহ।’
ঘটনাটি রহস্যময় হতে থাকে। ওই ঘটনায় সালমানের বাবা কমর উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করলেও পরবর্তী সময়ে মা নীলা চৌধুরী সালমানের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন।
সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘পরিকল্পিত খুন’ দাবি করে গত বছর গণমাধ্যমকে তার মা বলেন, ‘সালমানের শরীরে কোনো ক্ষতচিহ্ন ছিল না, যাকে আত্মহত্যা বলা যায়। খালি ইনজেকশন পুশ করে এবং জেসকিন ইনজেকশন দিয়ে, গলায় চাপ দিয়ে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই প্রমাণ পুলিশ ঘটনার পরপরই পেয়েছিল। কিন্তু আজ সব উধাও হয়ে গেছে!’-এমটিনিউজ

সুখে থাকতে হলে যে কথা কখনোই স্ত্রীকে বলবেন না


স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক বন্ধুর মতো হবে। একজন আরেকজনকে সব কথা অকপটে বলতে পারবেন। হিসাব করে তো স্ত্রীকে কেউ কথা বলেন না। তবু কিছু কথা না বলাই ভালো। যা আপনার দাম্পত্যে ঝামেলা সৃষ্টি করবে। আপনি হয়তো হেসেই একটা বলেন, তুমি অমুকের বউয়ের মতো না? শ্রাবণের ঝরঝর হয়তো ঝরল না, কিন্তু মনের মধ্যে যে অভিমানের এভারেস্ট হয়ে গেল, সে খবর আপনার অগোচরে থেকে গেল। একজন মানুষকে অহেতুক এই কষ্ট দেবেনই বা কেন? তাহলে উপায়? জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার মনে করেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধার ব্যাপার পুরো বিষয়টিতে। ইচ্ছে করে যে এটি করেন, তা-ও নয়। কেউ কেউ অন্যকে ছোট করে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে একধরনের বিকৃত আনন্দ পান। নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেও ছোট হতে হয়। এটা অনেকে বুঝতে পারেন। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা দাম্পত্যে জরুরি।
কেউ কেউ অন্যকে ছোট করে, খোঁচা দিয়ে কথা বলে একধরনের বিকৃত আনন্দ পান। নিজের স্ত্রীকে ছোট করলে নিজেকেও ছোট হতে হয়। এটা
অনেকে বুঝতে পারেন। ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার ভারসাম্য থাকা দাম্পত্যে জরুরি।
তোমাকে কেমন জানি দেখাচ্ছে, সুন্দর করে সাজতে পারো না—এ ধরনের কথা স্ত্রী কেন, ছেলেদের বললেও মনে কষ্ট পাবেন তাঁরা। বিশেষ করে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করলে স্ত্রীকে অপমান করা হয়। বাহ্যিক সৌন্দর্য সবকিছু নয়, মনের সৌন্দর্য খুঁজে দেখার চেষ্টা করুন। এ ধরনের পোশাক কেন পরেছ, তোমাকে একদম মানাচ্ছে না। এগুলো বলবেন না।
খাওয়া নিয়ে কোনো কথা নয়
না বুঝে বা বুঝেই স্ত্রীর খাবার খাওয়া নিয়ে স্বামী দু-চারটা কথা বলেন অনেক সময়। সাধারণ আদবকেতার মধ্যে এটি পড়ে। কোনো মানুষকে তাঁর খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ বেশি খান, কেউ কম—একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সেটা মাথায় রাখতে হবে। স্ত্রীর প্রতি সচেতন থাকলে বুঝিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে বলবেন। কোনোভাবেই যেন ব্যঙ্গ না হয়।
সারা দিন কী করছ, কিছু তো করতে পারো না
অনেক স্বামীর মুখে এ ধরনের কথা শোনা যায়। গৃহিণী তো বটেই, নিস্তার মেলে না কর্মজীবী নারীরও। সহযোগিতা না করে ঘরে ফিরে কোনো কোনো স্বামী বলেন, অন্যের বউ সবই সামলায়। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। তোমার মায়ের মতো হয়েছ।
এগুলো বলা মানে হলো, আপনার মনমানসিকতা কতটা নিচু, তার প্রকাশ করে।
আমার মায়ের মতো করো
ধরেন, একদিন শখ করে স্ত্রী ইলিশ মাছ রান্না করলেন। খেতে খেতে আপনি বললেন, আমার মায়ের মতো হয়নি। মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়ো। সাধারণত স্ত্রীরা এ ধরনের কথা মেনে নিতে পারেন না। শাশুড়ির সঙ্গে নিজের তুলনা করলে গুরুত্ব কমে যাচ্ছে কি না, এ ধরনের একটা জটিলতা তৈরি হয় তাঁর মধ্যে। তাই স্বামীকে মনে রাখতে হবে, যাঁর প্রশংসা তাঁর সামনে তাঁকে করুন। কাউকে ছোট করে নয়।
সাবেক প্রেমিকা বা স্ত্রী এই কাজ করত
সংসারে শান্তি চাইলে কখনোই সাবেক প্রেমিকা বা স্ত্রীর কথা মনে করিয়ে দেবেন না তাঁকে। অভিমানের বাষ্প এমন রূপ নেবে যে নিজেই নিশ্বাস নিতে পারবেন না। স্বস্তি চাইলে সব ভুলে যান। সূত্র: হাফিংটনপোস্ট, ফ্যামিলি ম্যাগাজিন, প্রথম আলো।

আমার তো কোনো বোন নেই, এই পিচ্চি তুই আমার ছোট বোন’


১৯৯৪ সালে ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সালমান শাহ-এর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাবনুর। প্রথম ছবিতেই ব্যাপক সফলতা পায় এই জুটি। সালমান-শাবনুর জুটির সফলতার দিকে তাকিয়ে পরিচালক প্রযোজকরা একের পর এক ছবিতে নিতে থাকেন তাদের। সালমান অভিনীত ২৭টি ছবির ভেতরে ১৪টি ছবিতেই সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
এভাবেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে সবচেয়ে সফল জুটি হিসেবে পরিচিতি পায় সালমান-শাবনুর। এ বিষয়ে জানতে চাইতেই সালমান বন্দনায় মেতে উঠলেন তিনি। বললেন, ‌’সালমান শাহ অনেক ভাল মানুষ ছিলো।অনেক বড় মনের মানুষ ছিলো। ভালÂ একজন কো আর্টিস্ট ছিলো।সালমান শাহ আজ বেঁচে থাকলে আমাদের জুটিটা আরো অনেক জনপ্রিয়তা পেত।হয় তো উত্তম-সুচিত্রা জুটির মতোই হতো।’
কেমন ছিলো সালমানের সঙ্গে প্রথম ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা। প্রশ্ন শুনে অনেকটা স্মৃতিকাতর
হয়ে পড়লেন তিনি। বললেন, ‘সালমানের সাথে আমার প্রথম ছবি তুমি আমার।তখন তো সালমান মৌসুমী আপুর সাথে অভিনয় করতো। শুটিংয়ের সময় মাঝে মাঝে দেখতাম।
আমি তো তখন অনেক ছোট ছিলাম।এতকিছু বুঝতাম না।তাই প্রথম অভিনয় করার অনুভূতি বলাটা মুশকিল। পরিচালক আমাকে শুটিং করতে বলেছে জাস্ট শুটিং করেছি। এতকিছু ভাবি নি। এরপর একের পর এক ছবিতে ওর সঙ্গে অভিনয় করলাম।
অনেকগুলো ছবি করার পর আমি বুঝতে শুরু করলাম, মানে ম্যাচিউরড হলাম। নিজেদের বোঝাপড়াটাও বাড়লো।ও কোন বিষয়টা কীভাবে ডেলিভারি দিচ্ছে আর আমি কোনটা কীভাবে ডেলিভারি দিচ্ছি সেটা নিয়ে ভাবতাম।নিজেকে ঝালাই করে নিতাম। সালমানের ব্যাপারে আমি একটা কথায় বলবো, ন্যাচারাল অ্যাক্টিং যেটা বলে সেটা সালমানের ভেতর ছিলো।
নিজেদের ভেতরকার সম্পর্ক নিয়ে শাবনুর বলেন, ‘সালমান শাহ আমার খুবই প্রিয় ছিলো। সে আমাকে পিচ্চি বলে ডাকতো।আমি তো তখন অনেক ছোট ছিলাম। সালমান বলতো এই পিচ্চি এদিক আয়, আমার তো কোনো বোন নেই। এই পিচ্চি তুই আমার ছোট বোন।এগুলো এখন খুব মিস করি।’
শুটিংয়ের ফাঁকে সালমানের সঙ্গে দুষ্টুমীও কম করতেন না শাবনুর। স্মরণ করলেন সেসব মধুর স্মৃতিও- ‘আমি ও সালমান দুজনেই শুটিং করার সময় দুষ্টুমী করতাম। শুধু আমার সঙ্গেই নয়, সবার সঙ্গেই ও খুব বন্ধুভাবাপন্ন ছিলো, অনেক নম্র ছিলো, আর্টিস্ট ডিরেক্টরদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হবে তা বুঝতো, তাদের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে পারতো। ও অনেক মজার মানুষ ছিলো।
দেখা গেছে যে, মজা করতে করতে কখন যে শুটিং শেষ হয়ে গেছে তা বুঝতেই পারতাম না।ও যেমন হাস্যোজ্বল ছিলো, তেমনি অনেক চঞ্চলও ছিলো। চটপটে ছিলো বলে খুব দ্রুত কাজ করতে পারতো। আমি ওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারতাম না। ও আমাকে মাঝে মাঝেই তাড়া করতো।’