Subscribe:

কিডনি ঠিক আছে তো? এই ৮ লক্ষণে সতর্ক হোন


গায়ে ঘনঘন র‌্যাশ বেরোচ্ছে? সারাদিনে প্রস্রাব হয় খুব কম? গরমেও কম ঘামেন? আপনার কিডনি ঠিকঠাক কাজ করছে তো? কারণ, কিডনির কাজই হল শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া। এককথায়, ছাকনির মতো কাজ করে কিডনি। শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে। যে পদ্ধতিতে গোটা কাজটা সম্পন্ন করে, তাকে বলা হয় হোমিওস্টেসিস। তাই কিডনি বেগরবাই করলেই শরীরে টক্সিন জমবে। কী করে বুঝবেন? নীচে উল্লিখিত এই আটটি লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন। কথা বলুন ডাক্তারের সঙ্গে।
১. ফোলা-ফোলা ভাব: কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ প্রস্রাব ও ঘাম কম হওয়া। ফলে সেই জল শরীরের গাঁটে গাঁটে জমে। অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও জল জমতে পারে। যে কারণে মুখচোখ ও শরীর ফোলাফোলা লাগে।
২. মূত্রের সমস্যা: কিডনি বিকল হলে প্রস্রাব করতে সমস্যা হয়। প্রস্রাবের সময় চাপও বোধ হয়। যদি অনেকক্ষণ ছাড়া ছাড়া প্রসাব হয় এবং প্রসাবের রং গাঢ় হয় বা যদি অস্বাভাবিক পরিমাণে প্রসাব হতে থাকে বা খুব ঘন ঘন ফ্যাকাশে রঙের প্রস্রাব হয়, ধরে নেওয়া যায় কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। রাতে ঘুমের সময় বারবার প্রস্রাব করতে ওঠাও, কিডনির সমস্যার লক্ষণ।
৩. ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ: শরীরে যখন অতিমাত্রায় টক্সিন জমে, অথচ কিডনি কাজ করতে পারে না, ত্বকে তখন ফুসকুড়ি বেরোয়। অন্যান্য চর্মরোগও দেখা যায়।
৪. ক্লান্তি চেপে বসবে: সুস্থ কিডনি থেকে EPO (এরিথ্রোপোয়েটিন) হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন অক্সিজেন বহন করতে আরবিসি বা লোহিত রক্তকণিকাকে সাহায্য করে। কিডনি ফেলিওরে এই হরমোন নিঃসরণ কমে যাওয়ায় আরবিসিতে তার প্রভাব পড়ে। অল্প পরিশ্রমই ক্লান্ত করে দেয়। মস্তিষ্ক ও পেশিকেও প্রভাবিত করে। রক্তাল্পতারও একই লক্ষণ।
৫. শ্বাসকষ্ট: কিডনির সমস্যার একটা কমন লক্ষণ। আরবিসি কমে যাওয়ার কারণে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এর ফলে শরীরে, বিশেষত ফুসফুসে টক্সিন জমতে থাকে।
৬. ধাতব স্বাদ: শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমতে থাকার কারণে খাবারের স্বাদে পরিবর্তন আসে। খাবারে রুচি লাগে না। জিভে ধাতব স্বাদ লাগে। মুখ দিয়ে দুর্গন্ধ বেরোয়।
৭. পিঠে ব্যথা: পিঠের উপরের অংশে যন্ত্রণার সঙ্গে কিডনির সম্পর্ক রয়েছে। কিডনি কাজ না-করলে, পিঠে যন্ত্রণা হতে পারে। আবার কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের কারণেও এমনটা হতে পারে।
৮. মাথা ঘোরা ও মনোনিবেশ করতে সমস্যা: শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দুটো কারণে হতে পারে। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা নয়তো কিডনি ফেলিওর। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের জোগান কমে যাওয়ার কারণেই একাগ্রতা কমে যায়। স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। মাঝেমধ্যে মাথাও ঘুরবে।
সুতরাং সারাদিনে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট জাতীয় খাবার ও জল বেশি করে খেতে হবে। প্রসাব ঠিকঠাক হচ্ছে কি না, সেদিকেও নজর রাখুন।

জেনে নিন যৌনশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কালোজিরা সেবনের পদ্ধতি


বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন: “ তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যৃ ব্যতীত সর্বরোগের মুক্তি এতে রয়েছে”।- আসুন আমরা জেনে নেই আমাদের জন্য কি কি ঔষধী গুণ আছে এই কালোজিরাতে।
তারুণ্য ধরে রাখতে মধ্যপ্রাচ্যে কালিজিরা খাওয়াটা দীর্ঘদিনের রীতি। কাজ করার শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে এই কালিজিরা। সরাসরি খাওয়ার থেকে প্রথম প্রথম ভাত বা রুটির সঙ্গে কালিজিরা খাওয়াটা অভ্যাস করুন। প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষ খাবারের সঙ্গে ‘কালিজিরা’ গ্রহণ করে আসছে। কালিজিরার তেলও আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারি। কালিজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি।
১. রোগ প্রতিরোধে কালোজিরা: কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এটি যেকোনো জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা: কালোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা: কালোজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি দেহের কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে শরীরে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে।
৪. যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে কালোজিরা: কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এটি পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি করে।
৫. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কালোজিরা: নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৬. হাঁপানী রোগ উপশমে কালোজিরা: হাঁপানী বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সমাধানে কালোজিরা দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উপশম হয়।
৭. পিঠে ব্যাথা দূর করে কালোজিরা: কালোজিরার থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া সাধারণভাবে কালোজিরা খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৮. শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে কালোজিরা: নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে।
কালোজিরার ব্যবহার
১. তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়। রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
৩. কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।
৪. চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।
৫. মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
৬. কফির সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দুরীভুত হয়।
৭. জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।
৮. কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য -শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।
৯. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
১০. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
১১. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
১২. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।
১৩. কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।
১৪. দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।
১৫. নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
১৬. কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।
১৭. প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।
১৮. প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।
১৯. কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উতকৃষ্ট ঔষধ।
হযরত কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, “প্রতিদিন ২১টি কালোজিরার ১টি পুটলি তৈরী করে পানিতে ভিজাবে এবং পুটলির পানির ফোঁটা এ নিয়মে নাশারন্দ্রে (নাশিকা, নাক) ব্যবহার করবে- “প্রথমবার ডান নাকেরছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। দ্বিতীয়বার বাম নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা এবং ডান নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা। তৃতীয়বার ডান নাকের ছিদ্রে ২ ফোঁটা ও বাম নাকের ছিদ্রে ১ ফোঁটা।”
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যখন রোগ-যন্ত্রণা খুব বেশী কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।”

নারীদের স্তন ব্যথা হয় যে ৮ কারণে


বিভিন্ন কারণে স্তন ব্যথা হয়। তা হতে পারে ‘মেনোপজ’ শুরুর আগে ও পরে। সব বয়সে নারীদের স্তন ব্যথার সমস্যা হতে পারে। স্তন ব্যথার কিছু কারণ জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক স্তন ব্যথা হওয়ার কিছু কারণ:-
স্তনের সিস্ট:
স্তনের সিস্ট একধরনের নরম তরলসমৃদ্ধ থলি। সিস্ট সব আকারের হতে পরে। এতে অনেক সময় ব্যথা হয়, আবার অনেক সময় ব্যথা নাও হতে পারে। ঋতুস্রাবের চক্রের সময় সিস্ট বড় হয় এবং মেনোপজের সময় সাধারণত কমে যায়।
কসটোকনড্রাইটিস:
এটি একধরনের আরথ্রাইটিস। এতে পাঁজর ও স্তনের হাড়ের সংযুক্তস্থলে ব্যথা হয়। তবে এই সমস্যা স্তনের সঙ্গে যুক্ত নয়। তবে এত ব্যথা হয় যে মনে হয় স্তনে ব্যথা হচ্ছে। সাধারণত প্রবীণ নারী এবং যাঁরা সঠিক অঙ্গবিন্যাসে থাকেন না, তাঁদের এই ব্যথা হয়।
ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট চেইঞ্জ:
যেসব নারী প্রিমেনোপোজাল (মেনোপজের আগে) অবস্থায় থাকেন এবং যাঁরা মেনোপজের পরে হরমোনের চিকিৎসা নেন, তাঁদের স্তনে অনেক সময় ফোলাভাব হতে পারে, লাম্প হতে পারে। এই অবস্থাকে ফাইব্রোসিস্টিক ব্রেস্ট চেইঞ্জ বলে। তবে এটি তেমন ক্ষতিকর নয়।
অন্তর্বাস:
সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হতে পারে। খুব আঁটসাঁট অথবা খুব ঢিলেঢালা অন্তর্বাস কোনোটাই স্তনের জন্য ভালো নয়। তাই সঠিক অন্তর্বাস ব্যবহার করুন।
স্তন ক্যানসার:
অধিকাংশ স্তন ক্যানসারে ব্যথা হয় না। তবে প্রদাহকারী স্তন ক্যানসার ও স্তনের টিউমার একধরনের অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। স্তনে লাম্প, ব্যথা, বোঁটা থেকে রক্তপাত, লাল ভাব ইত্যাদি দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন যেসব মা:
অনেক সময় যেসব মা বুকের দুধ খাওয়ান, তাঁদের ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা হতে পারে। অনেকক্ষণ শিশুকে বুকের দুধ না খাওয়ালে বা দুধ জমাট হয়ে থাকলে এ সমস্যা হতে পারে।
ওষুধ:
কিছু ওষুধ সেবনের কারণেও স্তনে ব্যথা হতে পারে। যেমন : বন্ধ্যত্বের চিকিৎসার জন্য কিছু ওষুধ, ওরাল হরমোনাল কনট্রাসেপটি, মেনোপজের পর এস্ট্রোজেন ও প্রোজেসটেরনের ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, এনাড্রল ইত্যাদি ওষুধের কারণে অনেক সময় স্তনে ব্যথা হয়।
স্তনে অস্ত্রোপচার:
অস্ত্রোপচার এবং স্কার টিস্যু তৈরির সময় অনেক ক্ষেত্রে স্তনে ব্যথা হয়ে থাকে।

উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যাবে কি? পুরুষ-মহিলা উলঙ্গ গোসলের ক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?


উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে তবে এটা একেবারে অনুত্তম কাজ , সুন্নতের পরিপন্থী। আল্লাহর রাসুল সা: কখনো এরকম করেনি। মোস্তাহাব ও উত্তম হল লুঙ্গি ইত্যাদি বেঁধে গোসল করা ও মেয়েরা নিচে পায়জামা বা উড়না সাদৃশ্য ও বুকে গামছা সদৃশ্য কিছু রাখবে। কেননা আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহ লজ্জাশীল ও পর্দাকারীদের পছন্দ করেন। তাই তোমাদের কেউ যখন গোসল করে তখন সে যেন পর্দা করে নেয়। (তাহতাবী)
গোসলখানায় যদি কোনো পর্দাহীনতা না হয় তাহলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে। তবে এটা না করাই উত্তম। কেননা শয়তান তখন ধোকা দেয়। এটা নিন্দনীয় কাজ। ( ফতুয়ায়ে মাহমুদিয়া ৪/৩৮৭)
(এমনিভাবে পর্দার ক্রটি না হলে খোলাস্থানেও উলঙ্গ হয়ে গোসল করা জায়েয আছে তবে এটা ঠিক নয়। সর্ব অবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা এবং গোসলের অযুতে নামায জায়েয)
পর্দার মধ্যে কাপড় খোলে গোসল করা জায়েয আছে তবে না করাই উত্তম। এমনিভাবে খোলা মাঠে পুরুষের নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত কাপড় বেঁধে বাকী অংশ খোলা রেখে গোসল করা জায়েয আছে। তাঁর নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত (যা পুরুষের সতর) কারো সামনে খোলা হারাম। (আপকে মাসায়েল : উন কা হল) দ্বিতীয় খন্ড, পৃঃ৮১)
মেয়েরা পেন্টি পরে ও পুরুষেরা জাঙ্গিয়া পরে গোসল করলে যদি কাপড়ের নিচে পানি পৌঁছে যায় এবং শরীরের ঢাকা অংশও ধোয়ে ফেলা যায়, তাহলে গোসল ছহীহ হবে। (আপকে মাসায়েল ২য় খন্ডঃ পৃঃ ৮১)
হযরত মুয়াবিয়া ইবনে হাইদা রা: বলেন রাসুল সা : বলিয়াছেন তুমি তোমার স্ত্রী ও হালালকৃত দাসি ব্যাতিত কারো সামনে নিজের সতর খুলবে না। তিনি প্রশ্ন করলেন তাহলে যখন আমরা নির্জনে একাকিত হয় তখনো কি সতর খুলব ( উলঙ্গ) হব না? রাসুল সা : বলেন তখনো আল্লাহকে লজ্জা কর। কেননা তিনি দেখছেন তোমরা কি অবস্থায় আছ। (জামে তিরমিযী, হাদিসে সহিহ ৭২৬৯)
রাসুল সা: জনৈক সাহাবীকে আদেশ দিলেন যে যখন তোমরা স্বামী স্ত্রী একত্রে সহবাস করবে তখন তোমাদের উপরে একটি লম্বা চাদর দিয়ে দুইজনের শরীর ঢেকে নিবে।

থাইরয়েডের রোগীদের যে ৬ টি কাজ কখনোই করা উচিত নয়


থাইরয়েড হচ্ছে হরমোন উৎপাদনকারী প্রজাপতির আকৃতির ছোট গ্রন্থি যা শরীরের বিপাক এবং প্রতিটা কোষ, কলা এবং অঙ্গের কাজের উপর প্রভাব বিস্তার করে। এটি ঘাড়ের নীচের ও মধ্যবর্তী স্থানে থাকে। পুরুষের চেয়ে নারীরাই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন বেশি। থাইরয়েডের সাধারণ সমস্যাগুলো হচ্ছে – হাইপারথাইরয়ডিজম, হাইপোথাইরয়ডিজম, থাইরয়ডিটিস, থাইরয়েড নডিউল ইত্যাদি। অনেক থাইরয়েডের সমস্যাই জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। যদি চিকিৎসা করা না হয় তাহলে থাইরয়েডের সমস্যা আপনার বিপাককে প্রভাবিত করবে এবং আপনার কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, অষ্টিওপোরোসিস এবং বন্ধ্যাত্ব এর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বেশীরভাগ থাইরয়েডের সমস্যাই সারা জীবন থাকে, যা আপনি খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন চিকিৎসা গ্রহণ, খাবার এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে। থাইরয়েডের সমস্যা আছে যাদের তাদের যে কাজগুলো করা ঠিক নয় সেগুলো জেনে নিই চলুন।
১। স্ট্রেস
থাইরয়েডের রোগীদের জন্য স্ট্রেস বা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরী। বস্তুত অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে থাইরয়েডের সমস্যা বৃদ্ধি বা প্রকাশিত হতে পারে। স্ট্রেসে ভুগলে শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসৃত হয় যা থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে হস্তক্ষেপ করে।
২। ধূমপান
থাইরয়েডের রোগীদের জন্য ধূমপান করা এবং পরোক্ষ ধূমপানের সংস্পর্শ ক্ষতিকর। সিগারেটের ধোঁয়ায় সায়ানাইড থাকে যা অ্যান্টিথাইরয়েড এজেন্ট রূপে কাজ করে। এই যৌগটি সরাসরি আয়োডিন গ্রহণ এবং হরমোনের সংশ্লেষণে বাধা দেয়। এছাড়াও ধোঁয়ার অন্যান্য উপাদানও থাইরয়েডের কাজের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যায় আক্রান্তদের টোব্যাকো থেকে দূরে থাকা উচিত থাইরয়েডের লক্ষণের বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য।
৩। ঔষধ গ্রহণে অবহেলা এবং নিয়মিত চেকআপ না করা
থাইরয়েডের সমস্যা নিরাময়ের জন্য নিয়মিত ঔষধ সেবন করা জরুরী। ভালো অনুভব করলেও নিজে নিজে ঔষধ গ্রহণ করা বন্ধ করে দেয়া ঠিক নয়। নিজে নিজে ভুল মাত্রার ঔষধ গ্রহণ করাও থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন (TSH) ব্লাড টেস্ট নামক রক্ত পরীক্ষাটি বছরে ১/২ বার করানো উচিত।
৪। সকালে কফির সাথে থাইরক্সিন ট্যাবলেট গ্রহণ করা
থাইরক্সিন ট্যাবলেট সকালে খালি পেটে গ্রহণ করলে ভালোভাবে শোষিত হয়। নাস্তা গ্রহণের ৩০-৬০ মিনিট আগে থাইরক্সিন ট্যাবলেট সেবন করুন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘন্টা আগে গ্রহণ করতে পারেন এই ঔষধ। মনে রাখবেন ফাইবারযুক্ত ও দুধের তৈরি খাবারের সাথে, প্রোবায়োটিকের সাথে, ক্যালসিয়াম ফরটিফায়েড ফ্রুট জুস, ক্যালসিয়াম, আয়রন বা অন্য কোন খনিজের সাপ্লিমেন্ট এবং কফির মত পানীয়ের সাথে থাইরেডের ঔষধ গ্রহণ করা ঠিক নয়। সবচেয়ে ভালো উপায়টি হচ্ছে ১ গ্লাস পানির সাথে এই ঔষধ গ্রহণ করা। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বা চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ঔষধ গ্রহণ করা উচিত।
৫। কাঁচা ক্রুসিফেরি সবজি খাওয়া
অতিরিক্ত কাঁচা ক্রুসিফেরি সবজি খাওয়া থাইরয়েডের রোগীদের জন্য খারাপ, বিশেষ করে যাদের আয়োডিনের ঘাটতি আছে তাদের ক্ষেত্রে। এ ধরণের সবজিগুলোতে গ্লুকোসায়ানোলেডস নামক যৌগ থাকে যা থাইরয়েড হরমোন সংশ্লেষণে হস্তক্ষেপ করে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, পালংশাক, এবং মিষ্টি আলু এ ধরণের কয়েকটি সবজি যা কাঁচা খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী থাইরয়েডের রোগীদের।
৬। সয়া খাদ্য
যদি আপনার থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে ক্রুসিফেরি পরিবারের সবজির মত সয়া খাদ্য খাওয়ার বিষয়েও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সয়া পণ্যে ফাইটোইস্ট্রোজেন এবং গয়ট্রোজেনিক উপাদান থাকে যা থাইরয়েডের কাজে এবং থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের শোষণে হস্তক্ষেপ করে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা আছে যাদের তাদের সয়া সাপ্লিমেন্ট, জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড সয়া খাদ্য, সয়া চিজ, সয়াবিন তেল, সয়া আইসক্রিম এবং সয়া বার্গার খাওয়া উচিত নয়।
সূত্র: টপ টেন হোম রেমেডিস
সম্পাদনা: কে এন দেয়া
বিভাগ: লাইফ স্বাস্থ্য
ট্যাগ: থাইরয়েডের সমস্যা জীবনযাত্রা সুস্থ থাকুন

“ভুল করে” আবিষ্কৃত হলো নারীদের “আনন্দের” যে উপকরণ


দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক উদ্ভাবন আমরা ব্যবহার করি যা কিনা ভুল করে বা দুর্ঘটনাবশত আবিষ্কৃত হয়েছিল। এমন ভুল করে তৈরি করা উদ্ভাবনের মাঝে যুক্ত হলো আরেকটি জিনিস। “ভ্যাজাইনাল প্রেশার ইনডিউসার” তৈরি করা হয়েছিল যৌনাঙ্গে ব্যথা এবং যৌন উত্তেজনার মাঝে সম্পর্ক আছে কিনা তা দেখা জন্য। এর পাশাপাশি এটাও দেখার জন্য যে নারীরা ভ্যাজাইনাল প্রেশার এবং পেইনের প্রতি সহ্যক্ষমতা তৈরি করতে পারেন কিনা। কিন্তু গবেষণা চলাকালীন সময়ে দেখা যায়, এই ডিভাইসটি নারীদের যৌনতৃপ্তি দিতে সক্ষম।
জার্নাল অফ সেক্স অ্যান্ড ম্যারিটাল থেরাপিতে বর্ণনা করা হয়, এই ডিভাইসে থাকে একটি বেলুন যা যোনিতে প্রবেশ করানো হয় এবং এরপর শরীরের তাপমাত্রার পানি দিয়ে একে ফুলিয়ে তোলা হয়, যাতে ভ্যাজাইনাল ওয়ালে চাপ পড়ে। ৪২ জন সুস্থ, গড়ে ২৪ বছর বয়সী নারীর ওপর এই পরীক্ষা করা হয়। তাদের শরীরে এই ডিভাইস প্রবেশ করানোর পর তা ফুলিয়ে তোলা হয়। এর চাপ অস্বস্তিকর মনে হলে একটি বোতাম টিপলে তা আবার পূর্বের অবস্থায় চলে যায়।
“ভ্যাজাইনাল প্রেশার ইনডিউসার”
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তাদেরকে বেশকিছু ফিল্ম দেখতে দেওয়া হয়। এর মাঝে কিছু ছিলো পর্নোগ্রাফিক, কিছু ছিল খুবই সাধারণ ফিল্ম। নারীরা জানান, পর্নোগ্রাফিক মুভি দেখার সময়ে এই ডিভাইসের চাপ তাদের মাঝে বেশি পরিমানে যৌনতৃপ্তি তৈরি করে।
যৌনক্রিয়ার সময়ে প্রায় ৩০ শতাংশ নারী ব্যথা পান বলে দেখা যায়। অন্যদিকে মাত্র ৭ শতাংশ পুরুষে তা দেখা যায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর নাম হলো ডিসপ্যারেউনিয়া, শারীরিক এবং মানসিক বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে এর পেছনে। এই ব্যাপারটাই মূলত গবেষণাটির কেন্দ্র। যদিও গবেষণা থেকে অপ্রত্যাশিত কিছু ফলাফল পাওয়া গেছে, কিন্তু এটা সন্দেহাতিতভাবে বলা যায় যে যৌনক্রিয়ার সময়ে ব্যথার ব্যাপারে গবেষকদের আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে তা।

এড়িয়ে যাবেন না, জানুন বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিৎ!


ফলত, বিয়ে করে আপশোস করার চেয়ে পাত্র/পাত্রীর স্বাস্থ্য কেমন, সেটাও খতিয়ে দেখে। এক্ষেত্রে পাত্র/পাত্রীর বাড়ির লোকেরও তৎপরতা প্রয়োজন। বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত জেনে নেওয়া যাক
১. যৌনসংক্রমণ আছে কি না
– অর্থাৎ সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজ়িজ় (STD) । এখনকার ছেলেমেয়েরা সেক্সের ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে। বিয়ের আগেই অনেক রকম অভিজ্ঞতা হয় তাদের। শুধু তাই নয়। অধিকাংশেরই একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে লিপ্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।
ফলে কার শরীরে কোনও সংক্রমণ আছে, কেউ তা যাচাই করে দেখে না। এদিকে যথাযথ সময় বিয়েটাও করে নেয়। ফলত পাত্র/পাত্রী HIV, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো যৌনরোগে আক্রান্ত কি না বলা কঠিন। তাছাড়া, কেউ এই নিয়ে মুখ খোলে না। একমাত্র মেডিক্যাল টেস্ট করালেই গোপন সংক্রমণ ধরা পড়তে পারে।
২. শুক্রাণু পরীক্ষা
– বিয়ের পর সব দম্পতিই সন্তান নিতে চান। কিন্তু অনেকসময় সন্তান ধারণে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে। এর কারণ হতে পারে স্বামী-স্ত্রী দু-জনেই। স্ত্রীর শরীর অনেকসময় সন্তান ধারণের উপযুক্ত পরিস্থিতিতে থাকে না বলে সন্তান আসে না। কিন্তু সেটা আগে থেকে জানা যায় না। তবে পুরুষের অক্ষমতা কিন্তু মালুম হয় শুক্রাণু পরীক্ষা করালেই।
৩. ব্লাড গ্রুপ
– পাত্র/পাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানাও খুব জরুরি। কারণ নেগেটিভ ও পজ়িটিভ ব্লাড গ্রুপের নারীপুরুষের বিয়ে হলে পরবর্তীকালে সন্তান ধারণে ঘটতে পারে বিপত্তি। তবে এই শঙ্কাটি দেখা দেয় দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে। অনেকসময় গর্ভেই সন্তান মারা যায়। কিংবা জন্মের পর তার মারাত্মকরকম জন্ডিস হয়। মস্তিষ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় এটি রোধ করার পদ্ধতি আছে। সন্তান জন্মানোর সময় মায়ের শরীরে অ্যান্টিবডি ইঞ্জেকশন দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমতে পারে।
৪. মানসিকরোগ পরীক্ষা
– সাধারণ মেডিক্যাল পরীক্ষায় সাইকোলজিক্যাল সমস্যা ধরা পড়ে না। কিন্তু সত্যি বলতে কী, কোনও ব্যক্তিকে বিয়ে করার আগে সে স্বাভাবিক কি না জানা খুব দরকার। অর্থাৎ, দেখা দরকার তার কোনও মানসিক সমস্যা আছে কি না। এটি খতিয়ে দেখার জন্য পাত্র/পাত্রীর আচার ব্যবহার লক্ষ্য করতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব ও অফিসের লোকজনের থেকে খোঁজখবর নিতে হবে। বিয়ের সময় পাত্র/পাত্রীর বাড়ির লোক তাঁদের ছেলেমেয়ে সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলে না। কিন্তু বিয়ের পর ধরা পড়ে আসল রূপ। সুতরাং, পাত্র/পাত্রীর মানসিক সমস্যা আছে কি না সেটা দেখা খুব জরুরি। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।
৫. পাত্র/পাত্রীর ওরিয়েন্টেশন
– অনেক সময় ছেলে বা মেয়ের ওরিয়েন্টেশনের বিষয়টা চেপে যায় বাড়ির লোক। ছেলে বা মেয়ে সমকামী হলে, তাকে সমাজের কটাক্ষ থেকে বাঁচাতে, সমস্ত সত্য গোপন করে, স্বাভাবিক মতে তাদের বিয়ে দেয় বাড়ির লোক। উদ্দেশ্য একটাই, লোকের মুখ বন্ধ করা। এতে হয় ঠিক উলটো।
যে মেয়েটি কিংবা যে ছেলেটির সঙ্গে বিয়ে হয়, প্রথম রাতেই সে সবটা জেনে যায়। শুরু হয় অশান্তি। বিষয়টি আত্মহত্যা কিংবা কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। তাই সাবধান। এ ক্ষেত্রেও সাইকোলজিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যে পাত্র/পাত্রীকে বিয়ে করতে চলেছেন, তা যদি সম্বন্ধ করে হয়, এই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিন। অবহেলা করবেন না।

সাইফের প্রথম বিয়েতে যা বলেছিল ১০ বছরের কারিনা!


বলিউডে ১৯৯১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ খুবই গুঞ্জনমুখর। কারণ নায়িকা অমৃতা সিংহ বিয়ে করেছেন। মিঠুন থেকে অমিতাভ, অনিল কপূর, সঞ্জয় দত্তের মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করা অমৃতা তখন খ্যাতির শীর্ষে। এই বিবাহের কিছুদিন আগেই রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কে ছেদ টেনেছেন অমৃতা।
এই সম্পর্কে বিচ্ছেদের দিন কয়েকের মধ্যে রবি শাস্ত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মনমরা অমৃতার জীবনে তখন শূন্যতা বিরাজ করছে। নব্য কিশোর সাইফ আলি খান তখন ঘুরঘুর করছেন বলিউডে। এ রকমই সময়ে একদিন ফিল্মের সেটে পরিচয় অমৃতার সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই অমৃতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সাইফ আলি। একদিন আচমকাই অমৃতার বাড়িতে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাবও দেন। কিন্তু কিন্তু করেও অমৃতা তার থেকে ১২ বছরের ছোট সাইফের প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কিন্তু অমৃতার শর্ত ছিল বিয়ে করতে হবে। সেই শর্ত মেনে বাড়ির হাজারো অমত সত্ত্বেও সাইফ বিয়ে করেছিলেন অমৃতাকে।
১৯৯১ সালেই মুম্বাইয়ে অমৃতা-সাইফের বিয়ের রিসেপশন হয় যেখানে অনুপস্থিত ছিলেন শর্মিলা। তার সঙ্গে রাজ কাপূরের পরিবারের অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। তাই অমৃতা সিংহের বিয়ের রিসেপশনে উপস্থিত থাকাটা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা বুঝতে পারছিলেন না রাজ কাপূরের বড় ছেলে রণধীর কপূর। কিন্তু, রণধীরের স্ত্রী ববিতা তার অনেক দিন আগে থেকেই আলাদা থাকতেন।
তাই তিনি দুই মেয়ে কারিশ্মা এবং কারিনা কাপূরের হাত ধরে হাজির হয়ে যান অমৃতা-সাইফের বিয়ের রিসেপশনে। কারিশ্মা তখন ১৬ বছরে পা দিয়েছেন এবং কারিনা কাপূরের বয়স ছিল ১০। বিয়েকে ঘিরে এমন পার্টির মেজাজ কারিনার মতো মেয়ের কাছে নতুন কিছু নয়। খালি সে অবাক হয়ে দেখছিল সামনে দাঁড়ানো স্যুট-কোর্ট-টাই পরা সাইফকে, আর নববধূর সাজে সজ্জিতা অমৃতাকে।
সাইফ ও অমৃতাকে এত সুন্দর দেখাচ্ছিল যে ১০ বছরের কারিনা কাপূরও চোখ ফেরাতে পারছিলেন না। কাপূর খানদানের চল অনুযায়ী বয়সে খানিকটা বড়দের আঙ্কল-আন্টি বলার চল। কারিনা একটা গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে সাইফ ও অমৃতার হাতে দেন এবং ‘হ্যাপি ম্যারেড লাইফ আঙ্কল অ্যান্ড আন্টি’ বলে অভিনন্দনও জানিয়ে আসেন।
১৯৯১ সালের এই ঘটনার পরে অনেকটা সময়ই পার হয়ে গিয়েছিল। সাইফ আলি খান তখন বলিউডের শীর্ষ নায়কের মধ্যে একজন। ছোকরা মার্কা চেহারায় সাইফ আলি বলিউডে দাগই কাটতে পারেননি। ২০০১ সালে ফারহান আখতার ‘দিল চাহতা হ্যায়’ থেকে সাইফ আলি খানের ফিল্মি ক্যারিয়ারকে এক নয়া দিশা দেখিয়েছিলেন। বদলে যাওয়া সাইফের সঙ্গে ‘তশন’ ছবিতে অভিনয় করেন কারিনা কাপূর। সে সময় শাহিদ কাপূরের সঙ্গে তার একটার পর একটা ছবি ফ্লপ করছিল। এর জেরে শাহিদ-কারিনার প্রেমের সম্পর্কও ভেঙে যায়। আর এই সময়ই ‘তশন’-এর সেটে সাইফের সঙ্গে মোলাকাত কারিনার।
১৯৯১ সালে যে ১০ বছরের মেয়ে ২০ বছরের সাইফ আলি খানকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, ২০০৮ সালে তখন দু’জনেই যৌবনে। যদিও সাইফ দুই সন্তানের পিতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। সাইফেরও এই ছবির কিছুদিন আগে অমৃতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। ফলে ‘তশন’-এর সেটে জিরো ফিগারের কারিনা এবং সাইফের প্রেমের ডানা মেলেছিল দুরন্ত গতিতে।
যার পরিণতিতে আজ সাইফ-কারিনার সন্তান তৈমুরের জন্ম। ছোট্টবেলার এক মুগ্ধতা আজ পূর্ণতা পেয়েছে এক অসামান্য প্রেমের সম্পর্কে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, এক কালে যে ১০ বছরের মেয়েটা সাইফ-অমৃতাকে ‘হ্যালো আঙ্কল-আন্টি’ বলে গোলাপ উপহার দিয়েছিলেন আজ তিনিই সাইফের সন্তানের মা।

প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার পরকীয়া…


বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সাথে প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ঐ শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষকের নাম গোলাম রব্বানী, সহকারী শিক্ষিকার নাম সুমিত্রা রানী।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার হাজরানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুমিতা রানীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর। বেশ কিছু দিন বিদ্যালয়ের বাথ রুমে ওই দুই শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় একাধিক ছাত্রী প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর হাতে ইভটিজিং এর শিকার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
গত ১৮ জুলাই ওই দুই শিক্ষককে অনৈক কাজের সময় হাতে নাতে ধরে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি প্রধান শিক্ষক।
বুধবার (২৬ জুলাই) প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিদ্যালয়টির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ওই দুই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে বিস্তারিত শুনে তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী ও সহকারী শিক্ষিকা সুমিত্রা রানীকে এ ঘটনায় সাময়িক ভাবে বরখাস্থ করা হয়। সেই সাথে ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার জাকিরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে উপস্থিত জনতার হাত থেকে মুক্তি পান প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী।
অভিভাবক আব্দুল মান্নান ও লেবু খা জানান, ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে নিরাপদ নয়। তাই মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। তারাও প্রধান শিক্ষকের শাস্তিসহ অপসারন দাবি করেন।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ধরিত্রী রানী বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায় সময় শিক্ষিকাসহ অনেক ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত করেছেন। বিদ্যালয়ের বার্থ রুমে বেশ কিছু দিন আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা সুমিত্রা রানী। তার আচরণে ছাত্রী শিক্ষিকা কেউ নিরাপদ নন। তিনি প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবি করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তে সন্দেহাতীত ভাবে সত্য প্রমানিত হওয়ায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অবৈধ সম্পর্কে শীর্ষে যেসব দেশ


বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠলেই সবাই পশ্চিমা বিশ্বের দিকে ইঙ্গিত করেন। এই ধারণা কিছুটা হলেও ভুল। কারণ বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের শীর্ষে এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। দেশটির ৫৬ শতাংশ বিবাহিত দম্পতিই অবৈধ সম্পর্ক রাখেন। যুক্তরাজ্যের দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক সমীক্ষায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তালিকার কথা জানিয়েছে।
তালিকার শীর্ষ দেশ থাইল্যান্ড হলেও অপর নয়টি দেশ ইউরোপের। শীর্ষ দশে যুক্তরাজ্য থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র নেই। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে সমীক্ষাটি চালায় দ্য রিচেস্ট ও ম্যাচ ডটকম।
সমীক্ষার শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান না হওয়া বিষয়ে রিচেস্ট ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে মানব ক্লোনিং, আত্মহত্যা ও বহুগামিতার চেয়েও খারাপ মনে করেন। তাই যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় প্রতারণা। অবৈধ সম্পর্কের তালিকা নিম্নক্রম অনুসারে শীর্ষ দশটি দেশের তালিকা ও তালিকায় স্থান হওয়ার কারণ দেওয়া হলো।
১০. ফিনল্যান্ড : ৩৬ শতাংশ: ২০১০ সালের পর থেকে ফিনল্যান্ডে বিবাহিতদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার দ্রুত বাড়ছে। অনেকের মতে, ফিনল্যান্ডে অনেক সময় অবৈধ সম্পর্ককে অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা হয়। অনেক সময় সামাজিকভাবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ম্যাচ ডটকমের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচজন পুরুষের অন্তত একজনের সঙ্গে ১০ নারীর সম্পর্ক দেখা যায়। নারীদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার এর চেয়েও বেশি।
৯. যুক্তরাজ্য : ৩৬ শতাংশ: যুক্তরাজ্যে অবৈধ সম্পর্কের হার ফিনল্যান্ডের সমান। তবে যুক্তরাজ্যবাসীর মধ্যে সম্পর্কের কারণে অনুশোচনা দেখা যায়। অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করা অর্ধেক ব্যক্তি এজন্য অনুশোচনায় ভোগেন। এই অনুশোচনা বোধের হার ফরাসিদের দ্বিগুণ। অনেকে মনে করেন, সমীক্ষায় রাজপরিবারকে যুক্ত হলে যুক্তরাজ্যের অবস্থান আরো ওপরে হতো।
৮. স্পেন : ৩৯ শতাংশ: ঐতিহ্যগতভাবেই স্পেনে ক্যাথলিক প্রভাব বেশি। তাই সামাজিকভাবে অবৈধ সম্পর্ককে খারাপ দৃষ্টিতেই দেখা হয়। তবে বিবাহবিচ্ছেদের হার এখানে ৬০ শতাংশ। বিচ্ছেদের আগেই অন্য সম্পর্কে যুক্ত হওয়ার কারণেই অবৈধ সম্পর্কের হার বেশি হতে পারে।
৭. বেলজিয়াম : ৪০ শতাংশ: বেলজিয়ামের সঙ্গে ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মানুষের চিন্তাধারায়ও মিল পাওয়া যায়। দেশটিতে বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে অনলাইট ডেটিং সাইটের বেশ জনপ্রিয়তা দেখা যায়। দেশটির একটি শীর্ষ ডেটিং সাইটে এই সংখ্যা ১০ লাখ। অর্থাৎ, দেশের জনসংখ্যার ১০ শতাংশই অবৈধ সম্পর্কে যুক্ত।
৬. নরওয়ে : ৪১ শতাংশ: নরওয়ের আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের হার পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্মকালে অনলাইনে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাহকের সংখ্যা ৭৮ শতাংশ বেড়ে যায়। কিন্তু শীতকালে নরওয়েবাসী অবৈধ সম্পর্কের চেয়ে নিজের বাড়িতে থাকাকেই প্রাধান্য দেন।
৫. ফ্রান্স : ৪৩ শতাংশ: বিশ্বের অনেক দেশেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে অতটা খারাপ ধরা হয় না। ফ্রান্সের কথাই ধরা যাক। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক তরুণীর সম্পর্ক প্রকাশ পেলে বিশ্বজুড়েই তা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। তবে ফ্রান্সে বিষয়টি ততটা আলোচিত হয়নি। তবে ফ্রান্সের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এখানে ‘ফিফটি শেডস অব গ্রে’র মতো অতিমাত্রায় রগরগে চলচ্চিত্রকেও ১২ বছর বা তদূর্ধ্বদের জন্য উপযুক্ত ঘোষণা করেছে।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফরাসিদের প্রথম না হওয়াকে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। অধিকাংশ ফরাসি মনে করে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থাকা খারাপ কিছু নয়। ৬৩ শতাংশ ফরাসি মনে করেন, সম্পর্কের বিষয়ে সৎ না থেকেও একজনকে ভালোবাসা সম্ভব। অবৈধ সম্পর্কের বিষয় স্বীকার করে অনুশোচনা করার হার মাত্র ২৮ শতাংশ।
৪. জার্মানি : ৪৫ শতাংশ: বিবাহিত সম্পর্ককে ফরাসিদের চেয়ে গুরুত্ব দেন জার্মানরা। তবে তাদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কের হারও বেশি। অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করা ৪০ শতাংশ পুরুষ এ জন্য অনুশোচনা করেন। জার্মান নারীদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪৩ শতাংশ।
৩. ইতালি : ৪৫ শতাংশ: ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রীই অবৈধ সম্পর্কের জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচিত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে অবৈধ সম্পর্কের জন্য আলোচিত ক্যাসানোভা কাহিনীও ইতালিরই। সেই দেশের মানুষ বিশ্বতালিকায় বৈধ সম্পর্কে তৃতীয় হওয়া অতি অস্বাভাবিক কিছু নয়। কিন্তু ইতালিতে বিবাহ বিচ্ছেদের হার বেশ কম। অর্থাৎ, অনেক ক্ষেত্রেই অবৈধ সম্পর্ককে সামাজিকভাবে মেনে নেওয়া হয়।
২. ডেনমার্ক : ৪৬ শতাংশ: দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপের বিবাহবহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের রাজধানী হিসেবে পরিচিত ছিল ডেনমার্কের কোপেনহেগেন। তবে, সম্প্রতি শহরটি এই গৌরব (?) হারিয়েছে। ডেনমার্কের অনলাইন ডেটিংয়ে বিবাহিত নারীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।
১. থাইল্যান্ড : ৫৬ শতাংশ: থাইল্যান্ডের ব্যাংককে রেড লাইট ডিস্ট্রিক্টের (যৌনপল্লী) সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির অর্থনীতির একটি বড় আয় আসে এই খাত থেকে। থাই বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার হার বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫৬ শতাংশ। থাইল্যান্ডের অনেক সমাজে পুরুষের সঙ্গে স্ত্রী ব্যতীত সম্পর্ককে খারাপ চোখে দেখা হয় না। এ ছাড়া ধনীদের মধ্যে মিয়া নোয়িস নামক একটি প্রথার মাধ্যমে স্ত্রী ব্যতীত অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্ককে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে।

কাতারে স্ত্রীর বিশেষ অঙ্গ সুপার গ্লু দিয়ে সিলগালা করলেন পাষণ্ড স্বামী!


ব্যাসায়িক ভ্রমণে কয়েকদিনের জন্য বিদেশ যাবেন স্বামী। এই সুযোগে অন্যের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হতে পারে এই সন্দেহে স্ত্রীর গোপনাঙ্গ ‘সুপার গ্লু আঠা’ দিয়ে সিল করে দিয়েছেন কাতারের এক ব্যক্তি। দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দোহা ট্রিবিউন এই খবর প্রকাশ করেছে।
এই ঘটনায় মারাত্নক অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নারী। পরে তাকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর ৩৩ বছরের ওই স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
তিনি বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে বলেন- ফেসবুকে ১২ বছরের চাচাতো ভাইয়ের একটি পোস্ট দেখে ধারণা হয়েছিল যে, তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী ওই চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে ব্যাভিচারে লিপ্ত হতে পারে তাই তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
বিচারকের কাছে তিনি ফেসবুকের একটি সেলফি পোস্টও দেখিয়েছেন যেখানে তার স্ত্রীর পা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এবং ইসলামী আইন অনুযায়ী ঢাকা নেই। স্ত্রীকে ইসলাম সম্মতভাবে চলার নির্দেশ দিয়েও কোন কাজ না হওয়ায় তিনি আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে জানিয়েছেন বিচারককে।
স্ত্রীর প্রজনন অঙ্গ ধ্বংস করা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দোহা আদালতের বিচারক মুহাম্মদ বিন সাদেনের মতে, ‘এই অমানবিক কাণ্ডের মাধ্যমে স্বামী তার স্ত্রীর ওপর অন্যায় করেছে। যদিও তার উদ্দেশ্য ছিল ‘সৎকর্ম’ করা। কিন্তু তিনি যেটা করেছেন সেটা অদ্ভুত ও অমানবিক’।
এছাড়াও রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন যে, আদালতে তার স্বামী যে সমস্ত সাক্ষী ও সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন সেখান থেকে বলা যায় ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে এই ঘটনায় স্ত্রীর আচারণও যথাযথ ছিল না। ভাবিষ্যতে এই ধরণের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে স্ত্রীকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে এবং এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে স্ত্রীকে ১০০ দোররা (চাবুক) মারা হবে বলে সতর্ক করেছেন।
স্বামীকে ৪০ রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে স্ত্রীর ওপর এই ধরণের অমানবিক কর্মকাণ্ড করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ড বেড়াতে গিয়ে ভুলেও করবেন না যে দশটি কাজ


এশিয়ার সবচেয়ে সস্তা এবং আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলোর একটি থাইল্যান্ড। যেখানে গিয়ে প্রচুর অভিজ্ঞতা উপভোগের সুযোগ রয়েছে। ফলে জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে ২০তম এই দেশটি এশিয়ার শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। দেশটিতে প্রতি বছর ১ কোটি ৬০ লাখ বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করতে যান।
তবে সুন্দর এই দেশটি ভ্রমণের সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যাতে ভ্রমণ উপভোগের সময় আপনি কোনো অযাচিত সমস্যায় না পড়েন।
থাইল্যান্ড ভ্রমণে গিয়ে করতে মানা এমন দশটি কাজের তালিকা দেওয়া হলো এখানে।
১. কাঁটা চামচ থেকে খাবেন না
থাই টেবিল ম্যানারস মতে, খাবার খেতে চামচ দিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে নয়। কাঁটা চামচ দিয়ে খাবার মুখে তুলে খাওয়াকে সাদা হাতীর দেশ থাইল্যান্ডে নিম্নরুচির পরিচায়ক মনে করা হয়।
২. শরীর ঢেকে রাখা
দেশটির মন্দির এবং আশ্রমগুলো ভ্রমণের সময় আপনাকে পায়ের হাঁটু এবং হাতের কনুই পর্যন্ত কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে। ট্যাঙ্ক টপস, শর্টস, শর্ট স্কার্ট বা টিউব টপস পরা থেকে বিরত থাকুন এসব স্থানে ভ্রমণের সময়।
সুতরাং থাইল্যান্ড ভ্রমণে গেলে সঙ্গে অবশ্যই পুরো শরীর ঢেকে রাখার মতো পোশাক নিয়ে যাবেন।
৩. পরামর্শ শুনুন, কিন্তু খুব বেশি আমলে নিবেন না
যদি আপনার টুক টুক ড্রাইভার আপনাকে বিশেষ কোনো ফ্যাশন বা অলঙ্কারের দোকানে নিয়ে যেতে চায় তাহলে সেখানে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। কারণ সে হয়তো সেসব দোকান কমিশন পাচ্ছে বলেই তাদেরকে খদ্দের যোগাড় করে দিতে চাইছে।
৪. নারীরা সন্ন্যাসীদের কাছে ঘেঁষবেন না
থাইল্যান্ডে সন্ন্যাসীদেরকে প্রচুর সম্মান করা হয়। তাদের কাছে নারীদের ঘেঁষার অনুমতি নেই। এমনকি প্রকৃতপক্ষে, সন্ন্যাসীদেরও নারীদের স্পর্শ করা নিষেধ। কোনো সন্ন্যাসী যদি কোনো নারীকে কিছু দিতে চান তাহলে তাকে তা মাটিতে রেখে দিতে হয়। একইভাবে কোনো সন্ন্যাসীও কোনো নারীর হাত থেকে সরাসরি কোনো কিছু গ্রহণ করতে পারেন না। বাসে উঠলে কখনোই কোনো সন্ন্যাসীর পাশের সিটে বসবেন না। তেমনি সন্ন্যাসীদের জন্যও নারীদের পাশে বসা নিষেধ।
৫. জুতা পরার নিয়ম
কারো প্রবেশ করতে গেলে অবশ্যই জুতা খুলে প্রবেশ করতে হবে। আর মন্দিরে গেলে তো অবশ্যই জুতা খুলতে হবে। আর এ কারণেই পর্যটকদের জন্য স্যান্ডেলকেই সবচেয়ে বেশি উপযোগী জুতা হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ স্যান্ডেল খোলা সহজ এবং তা পরে দীর্ঘ পথও পাড়ি দেওয়া যায়।
৬. আপনার পা নিয়ে সাবধান থাকুন
দেহের সবচেয়ে নোংরা অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় পা। আর এ কারণেই কারো দিকে আপনার পা তাক করা থাকলে তার প্রতি অসম্মান জ্ঞাপন করা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর কখনোই দরজা খোলা রেখে পা উঁচিয়ে রাখবেন না। বা কোনো সন্ন্যাসী বা বুদ্ধের ছবির দিকে পা তাক করেন রাখবেন না।
৭. রাজপরিবারের প্রতি অসম্মান দেখাবেন না
থাইল্যান্ডে রাজা এবং রাজপরিবারের উচ্চ সম্মান দেখানো হয়। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কিছু বলতে যাবেন না যেন। অথবা রাজপরিবারের সদস্যদের ছবিযুক্ত থাই কয়েন মাটিতে পড়ে গেলে তা পা দিয়ে মাড়িয়ে দেবেন না।
৮. বুদ্ধের ছবি তুলে দেশটির বাইরে নিয়ে আসবেন না
বিশেষ অনুমতি ছাড়া বুদ্ধমুর্তির কোনো ছবি দেশটির বাইরে নিয়ে আসা যায় না। আর বুদ্ধমুর্তির সঙ্গে সেলফি বা কোনো ছবিও তুলতে যাবেন না। এতে বুদ্ধকে অসম্মান করা হয়।
৯. মাথা ঠাণ্ডা রাখুন
থাইল্যান্ডের মানুষেরা উত্তপ্ত বিতর্ক পছন্দ করেন না। ফলে দরকষাকষি করতে গিয়ে গলার স্বর উঁচুতে তুলবেন না যেন।
১০. রাতে বাঁশি বা গান বাজাবেন না
থাইল্যান্ডের মানুষেরা মনে করেন রাতে উচ্চ স্বরে শিস দিলে, বাঁশি বা গান বাজালে অশুভ আত্মাদের আগমন ঘটে। আর তাদের বিশ্বাস এই অশুভ আত্মারা মন্দ ভাগ্য বয়ে আনে। সুতরাং রাতে ভ্রমণে বের হলে বাঁশি বা গান কিছুই বাজাবেন না। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

সংসারে চরম অশান্তি, এবার বিচ্ছেদের পথে অজয়-কাজল!


প্রায় ১৮ বছরের দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন তাদের। দুই সন্তানও রয়েছে। ছোট ছোট সমস্যা যে আসেনি তেমন নয়। তবে মোটের ওপর ভাল আছেন কাজল ও অজয় দেবগণ। অন্তত বলি মহলের তেমনই ধারণা।
বলিউডের প্রথম সারির দম্পতিদের তালিকাতেও তাদের নাম ভাবা হয়। কিন্তু ইদানিং কাজল-অজয়ের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে চরম অশান্তি হচ্ছে। দাম্পত্য জীবনে সব ঠিক আছে তো? বিষয়টা ঠিক কী?
সম্প্রতি ডেকান ক্রনিকেলকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কাজল বলেন, ”আমার সততার জন্য আমাকে অনেক দাম দিতে হয়। আর এ নিয়ে প্রায় রোজই অজয়ের সঙ্গে অশান্তি হয় আমার।”
কাজল জানিয়েছেন, তিনি একেবারেই ডিপ্লোম্যাটিক ভাবে কারও সঙ্গে মিশতে পারেন না। এমনকী কেউ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও পরে পার্টিতে দেখা হলে কাজল হেসে কথা বলেন। আর এতেই নাকি রেগে যান অজয়। বাড়িতে তার সঙ্গে অশান্তি চরমে পৌঁছায়!
কাজলের কথায়, ”আমি কোনও কিছু মনে রাখি না। কেউ মিথ্যা বললেনও তা ভুলে গিয়ে ভাল ব্যবহারের চেষ্টা করি। আর এতেই রেগে যায় অজয়।”
বলি মহলের প্রশ্ন, কাজল-অজয়ের মধ্যে এই সমস্যাগুলোই কি ভবিষ্যতে বড় আকার ধারণ করতে পারে? যদিও কাজল সে বিষয়ে ওই সাক্ষাত্কারে মুখ খোলোননি। তবে প্রশ্নটা ঘুরছে বলি মহলের অন্দরে।

শাহরুখের মেয়েকে আবারো হয়রানি, ভীষণ চটেছেন এবার কাজল


সালমানের ফিল্ম ‘টিউবলাইট’-এর স্ক্রিনিং এর সময় পাপারাজ্জিদের মাঝে আটকে পড়েছিলেন শাহরুখ কন্যা সুহানা। তাঁর ছবি তোলার জন্য তাঁকে ঘিরে ফেলেছিল অসংখ্য ক্যামেরা। শেষপ‌র্যন্ত নাকি বাবা শাহরুখকে ফোন করে তাকে উদ্ধার করতে বলে সুহানা। খুব অস্ৱস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন খোদ শাহরুখ।
পাপারাজ্জিদের অনুরোধ করে কিং খান বলেন, ‘আমি জানি, আপনাদের এটাই পেশা, কিন্তু বাচ্চাদের ছবি তোলার সময় একটু সচেতন থাকুন, কারণ তারা ছোট, তারা এখনও ক্যামেরা ফেস করতে শেখে নি, তারা জানে না কীভাবে সাংবাদিকদের সামলাতে হয়। তাই সেবিষয়ে একটু খেয়াল রাখুন। ’
এবার সেই একই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী কাজলও। ভারতের গণমাধ্যম মিড-‌ডে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজল বলেন, ‘চিত্র সাংবাদিকরা তাঁদের মতো তারকাদের ছেলেমেয়েদের ‌যেভাবে হয়রানি করেন, সেটা ঠিক নয়, তাঁদের এবিষয়ে দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় প‌র্যন্ত বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখতে পারি। তবে আমি চেষ্টা করেছি, আমার ছেলে মেয়েকে এবিষয়গুলি শেখাতে, ‌যাতে তারা সাংবাদিকদের সামলাতে পারে। কারণ তারা জন্ম থেকেই তারকা। ‘
এদিন সুহানা খানের সঙ্গে ‌যে ধরণের ঘটনা ঘটেছিল সেবিষয়েও মুখ খোলেন কাজল। বলেন, এটা ‌যদি নাইসা কিংবা ‌যুগের সঙ্গে ঘটতো তাহলে আমি তো ভীষণ রেগে ‌যেতাম। এটা একেবারেই ঠিক নয়। পাপারাজ্জিরা আজকাল স্টেজে প‌র্যন্ত পৌঁছে ‌যাচ্ছে তারকাদের ছেলেমেয়েদের ছবি তোলার জন্য। আমরা তারকারা এটা সামলাতে পারি, কিন্তু ওই টুকু কিশোরী কী করে পারবে? তারা এখনও এসব শেখেনি।

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে পড়াবেন পূর্ণিমা


এবার শিক্ষক হচ্ছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। চলচ্চিত্রে কিংবা পর্দার গল্প নয়। বাস্তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াবেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। নিজেকে অনেকটাই অনিয়মিত করে ফেলেছেন বড় পর্দায়। ছোটপর্দাতেও আসা যাওয়া কিংবা স্থায়ীত্ব নেই। তবে এবার তাকে শিক্ষক হিসেবে পেতে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির ব্যাসিক কোর্সের শিক্ষার্থীরা।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির ফিল্ম-টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগে অভিনয় বিষয়ে ক্লাস নেবেন পূর্ণিমা। আজ সোমবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সাক্ষর করেছেন পূর্ণিমা। পূর্ণিমা ছাড়াও, অভিনেতা ফেরদৌস, গাজী রাকায়েত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, নাট্যকার আনন জামান।
জানা গেছে, গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালিন শিক্ষকতা করেন নির্মাতা জাকির হীসেন রাজু।
জানা গেছে, গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে খণ্ডকালিন শিক্ষকতা করেন নির্মাতা জাকির হীসেন রাজু। তিনি প্রস্তাব দেন ইউনিভার্সিটিতে কিছু ব্যাসিক কোর্স চালু করতে, কেননা ইন্ডাস্ট্রি শিল্পী সংকট রয়েছে। এই প্রস্তাবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কয়েকটি কোর্স চালুর উদ্যোগ নেয়। আর এই কোর্সের অধীনে ক্লাস নেবেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাসহ অন্যান্যরা।
আজ রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এ বিষয়ে নির্মাতা জাকির হোসেন রাজুর মধুমতি থিয়েটারের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম-টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগের সাথে একটি চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। ফিল্ম-টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগের পক্ষে সাক্ষর করেন বিভাগটির চেয়ারম্যান ড. মো. আফজাল হোসেন খান ও মধুমতি থিয়েটারের পক্ষে সাক্ষর করেন নির্মাতা রাজু।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ২০০৩ সালে ফিল্ম-টেলিভিশন ও ডিজিটাল মিডিয়া বিভাগ চালু হয়। এর প্রতিষ্ঠাকালিন চেয়ারম্যান ছিলেন দেশবরেণ্য নাট্যকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

হাবিব রাগ কমাও,তুমি সিঙ্গেল নওঃ তিশা


গায়ক ও সংগীত পরিচালক হাবিব ওয়াহিদকে রাগ কমাতে বললেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা। হাবিবের দেওয়া ফেসবুক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল সোমবার হাবিব ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘সিঙ্গেল লাইফ ইজ দ্য বেস্ট।’ মন্তব্যের ঘরে তিশা লেখেন, ‘ইউ আর নট সিঙ্গেল, এভরিওয়ান নোজ।’
সম্প্রতি হাবিব ওয়াহিদের দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তানজিন তিশার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে চলে আসে। রেহান যখন তাঁর সাবেক স্বামীর সঙ্গে তানজিন তিশার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেন, তখন হাবিব কনসার্ট করতে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। দেশের বাইরে থাকলেও হাবিব ফেসবুকে বলেছিলেন, তিশার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা একান্তই ব্যক্তিগত। এতে তাঁদের দুজনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অনেকের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায়।
গতকাল একাকী জীবন নিয়ে হাবিবের ফেসবুকে এমন পোস্ট প্রকাশের পর তাঁকে বেশ সমালোচনায় পড়তে হয়। ২০১৬ সালের ১৯ জানুয়ারি হাবিব ও রেহানের (হাবিবের দ্বিতীয় স্ত্রী) মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ঘর ভাঙা নিয়ে মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশার দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে দেন রেহান চৌধুরী। বিষয়টি বেশ কিছু দিন আগে শোবিজ ও মিউজিক অঙ্গনে বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। যাঁর দিকে ঘর ভাঙার অভিযোগের আঙুল, সেই তানজিন তিশা হাবিবের এ স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘সিঙ্গেল লাইফ বাবা?’ হাবিবও এর উত্তর দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘সরি?’ এরপর তিশা লিখেছেন, ‘রাগ কমাও। সবাই জানে তুমি সিঙ্গেল নও।’
হাবিব ও তানজিন তিশার ফেসবুকের স্ক্রিনশর্ট
হাবিবের সেই পোস্টে তির্যক মন্তব্যও আসতে থাকে। কেউ আবার হাবিবের পোস্টে এমন মন্তব্য দেখে তা মুছে ফেলার অনুরোধও করেন। এখন অবশ্য হাবিবের ওয়ালের সেই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে না।
হাবিব এই স্ট্যাটাসের বিপরীতে লিখেছেন, ‘ভাইয়া, এটা শুধুই আমার ধারণা। এবং আমার এই ধারণা আমি আপনার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আর তা হলো, সিঙ্গেল না থাকলেই অনেক সময় বোঝা যায় সিঙ্গেল থাকাই সবচেয়ে ভালো!’
২০১১ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের মেয়ে রেহান চৌধুরীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাবিব ওয়াহিদের। এরপর পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে ২০১২ সালে ২৪ ডিসেম্বর তাঁদের ঘর আলোকিত করে আসে একমাত্র সন্তান আলিম। হাবিব এরও আগে ২০০৩ সালে প্রথম লুবায়না নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তাঁর।

গত দেড় বছর ধরে নিজেকে বদলাতে চেষ্টা করছিলেন এ নায়ক


প্রতিদিন ভোরে ঘুম ভেঙেই নামাজ পড়ছেন অনন্ত জলিল। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, আর সময় পেলেই হাদিসের বই অনন্তর হাতে, গাড়িতেও যাত্রাপথে পড়ছেন ইসলামী বই। অফিসের কাজের বিরতিতে কুরআনও পড়ছেন। আর সুযোগ পেলেই ছুটে যাচ্ছেন ধানমন্ডি ৩২ এর তাকওয়া মসজিদে। এ মসজিদের খতিব মাওলানা উসামার সঙ্গে গত একবছর ধরেই সময় দিচ্ছেন অনন্ত জলিল।
গত ২৯ জুলাই থেকে টানা তিনদিনের জন্য এ মসজিদে তাবলীগে জামাতে অংশ নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকেও ইসলামি পোশাকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করেছেন তিনি। প্রকাশ করেছেন মসজিদের ভেতর তারা নানা কর্মকাণ্ড। গত ২৯ জুলাই তিনি তাকওয়া মসজিদে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। দুপুরের খাবার থেকে শুরু করে রাতের আহারও সারেন শিশুদের সঙ্গেই। এমন একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে।
কিন্তু কেন এই পরিবর্তন?
অনন্ত জলিলের ব্যক্তিগত সহকারি কায়সার আহমেদ বাবু বললেন, “বিগত দেড় বছর ধরেই ওনার মধ্যে এ ধরণের চেষ্টা দেখেছি আমরা। মূলত, গত ছয়মাস ধরেই তার মধ্যে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। মূলত হজ্ব থেকে ফেরার পরই। তিনি এখন যেটা করছেন তা হলো, ব্যবসার পাশাপাশি মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। এখন তিনি ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদের ইমামের তত্বাবধানে আছেন। সর্বশেষ গত তিনদিনও তিনি তাবলীগে ছিলেন।”
ঢাকাই চলচ্চিত্র যখন দর্শক খরায় ভুগছিলো তখন অনন্ত জলিল নতুনত্বের চমক আর ব্যয়বহুল চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে হলমুখী করেছিলেন দর্শকদের। শাকিব খান ছাড়া যখন ঢালিউড অচল তখন হঠাৎ আবির্ভাব ঘটে অনন্তর। একের পর এক আলোচিত ও সমালোচিত চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও নির্মাণ করে তিনি দর্শকের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছান। ২০১০ থেকে এ পর্যন্ত চারটি চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন অনন্ত। সবকটিতেই নায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। নিজেকে টমক্রুজের প্রতিদ্বন্দ্বীও ঘোষণা করেন এ নায়ক। তবে কি সাধের চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেবেন অনন্ত? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ভক্তদের মনে।
অনন্তর মুখপাত্র বাবু বললেন, “তার মানে এই নয়, তিনি চলচ্চিত্র ছেড়ে দেবেন। উনি আসলে যে ধরণের মুভিগুলো করেন তার মধ্যে কোনো না কোনো মেসেজ থাকে, পরের ছবিতেও তাই থাকছে। আগামী বছর আমরা আমাদের পরের ছবিটা শুরু করবো, এটাই এখন ওনার প্ল্যান।”
“তার প্রতিজ্ঞা ব্যবসায়ী হিসেবে চিত্রনায়ক হিসেবে তার যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি তা দিয়েই তিনি ইসলাম প্রচারে ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে মানুষের জন্য ভূমিকা রাখবেন।” যোগ করেন বাবু।
তিনি জানান, কিছুদিনের মধ্যেই সাতদিনের জন্য ইসলামের দাওয়াত নিয়ে দেশ ঘুরবেন অনন্ত জলিল। তবে, দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
পেশাগত জীবনে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৩টি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ এ বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো। এ ছাড়াও সাভারের হেমায়েতপুরের ধল্লা গ্রামে সাড়ে ২৮ বিঘার উপর একটি বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন অনন্ত জলিল। তিনি ঢাকার হেমায়েতপুরে অবস্থিত বায়তুস শাহ জামে মসজিদের নির্মাণকাজেও অবদান রাখেন।

রুনা লায়লার যত জানা-অজানা। যা হয়তো আপনি কোনদিনও জানতেন না!



বাংলাদেশের খ্যাতনামা গায়িকা রুনা লায়লা। তিনি বাংলাদেশে চলচ্চিত্র, পপ ও আধুনিক সঙ্গীতের জন্য বিখ্যাত। তবে দেশের বাইরে গজল গায়িকা হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে তার সুনাম আছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই তিনি চলচ্চিত্রের গায়িকা হিসাবে কাজ শুরু করেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতীয় এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের অনেক গানে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। রুনা লায়লা বাংলা, উর্দু, পাঞ্জাবি, হিন্দী, সিন্ধি, গুজরাটি, বেলুচি, পশতু, পারসিয়ান, আরবি, মালয়, নেপালি, জাপানি, স্পেনিশ, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান ও ইংরেজি ভাষাসহ মোট ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন। পাকিস্তানে তার গান দমাদম মাস্ত কালান্দার অত্যন্ত জনপ্রিয়। আজ ১৭ নভেম্বর এ খ্যাতনামা গায়িকার জন্মদিন।
রুনা লায়লা সিলেটে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলী ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা এবং মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলী হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সুত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে।
রুনা লায়লা চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শিল্পী নামক চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক আলমগীরের বিপরীতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পী চলচ্চিত্রটি ইংরেজি চলচ্চিত্র the Bodyguard-এর ছায়া অবলম্বনে চিত্রিত হয়েছে।
ব্যক্তিগত জীবনে রুনা লায়লা ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশী চিত্রনায়ক আলমগীরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার মেয়ে তানি লায়লা ও দুই নাতি জাইন এবং অ্যারন।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – দি রেইন (১৯৭৬)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – যাদুর বাঁশি (১৯৭৭)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – অ্যাক্সিডেন্ট (১৯৮৯)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – অন্তরে অন্তরে (১৯৯৪)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – তুমি আসবে বলে (২০১২)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – দেবদাস (২০১৩)
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী – প্রিয়া তুমি সুখী হও (২০১৪)
জয়া আলকিত নারী সম্মাননা – ২০১৬
ভারত থেকে তিনি যেসব পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন:
সায়গল পুরস্কার
সঙ্গীত মহাসম্মান পুরস্কার – ২০১৩
তুমি অনন্যা সম্মাননা – ২০১৩
দাদা সাহেব ফালকে সম্মাননা – ২০১৬
পাকিস্তান থেকে তিনি যেসব পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন:
নিগার পুরস্কার (১৯৬৮, ১৯৭০)
ক্রিটিক্স পুরস্কার
গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার (২ বার)
জাতীয় সঙ্গীত পরিষদ স্বর্ণপদক