Subscribe:

প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষিকার পরকীয়া…


বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকার সাথে প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকসহ ঐ শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষকের নাম গোলাম রব্বানী, সহকারী শিক্ষিকার নাম সুমিত্রা রানী।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার হাজরানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, এ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুমিতা রানীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর। বেশ কিছু দিন বিদ্যালয়ের বাথ রুমে ওই দুই শিক্ষককে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। শুধু তাই নয় একাধিক ছাত্রী প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর হাতে ইভটিজিং এর শিকার হয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
গত ১৮ জুলাই ওই দুই শিক্ষককে অনৈক কাজের সময় হাতে নাতে ধরে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি প্রধান শিক্ষক।
বুধবার (২৬ জুলাই) প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। বিষয়টি জানতে পেয়ে বিদ্যালয়টির সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ওই দুই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছে বিস্তারিত শুনে তাৎক্ষনিক অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী ও সহকারী শিক্ষিকা সুমিত্রা রানীকে এ ঘটনায় সাময়িক ভাবে বরখাস্থ করা হয়। সেই সাথে ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্তের জন্য উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার জাকিরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে উপস্থিত জনতার হাত থেকে মুক্তি পান প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী।
অভিভাবক আব্দুল মান্নান ও লেবু খা জানান, ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে নিরাপদ নয়। তাই মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। তারাও প্রধান শিক্ষকের শাস্তিসহ অপসারন দাবি করেন।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ধরিত্রী রানী বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রায় সময় শিক্ষিকাসহ অনেক ছাত্রীকে উত্ত্যাক্ত করেছেন। বিদ্যালয়ের বার্থ রুমে বেশ কিছু দিন আপত্তিকর অবস্থায় আটক হয়েছেন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা সুমিত্রা রানী। তার আচরণে ছাত্রী শিক্ষিকা কেউ নিরাপদ নন। তিনি প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবি করেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক ভাবে তদন্তে সন্দেহাতীত ভাবে সত্য প্রমানিত হওয়ায় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্থ করা হয়েছে। ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

0 comments:

Post a Comment