Subscribe:

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে কেন উধাও হয়ে যায় জাহাজ ও প্লেন? ফাঁস হল রহস্য


আটলান্টিক মহাসাগরে প্রায় ৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় অঞ্চলগুলির একটি। বলা হয়, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৫টি এরোপ্লেন এবং একশোর বেশি জাহাজ এই অঞ্চল পার হতে গিয়ে রহস্যময়ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে। সেই থেকে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে নানা কল্পনা দানা বেঁধেছে। কেউ বলেছেন, ওই অঞ্চলে আসলে বাসা বেঁধে রয়েছে ভিনগ্রহের প্রাণীরা, কেউ আবার মনে করেছেন, আটলান্টিকের গভীরে রয়ে গিয়েছে কোনও লুপ্ত সাম্রাজ্য। বলা বাহুল্য, এই সমস্ত তত্ত্বের কোনওটিই খুব বিজ্ঞানসম্মত নয়। কিন্তু এবার খোদ বিজ্ঞানীরাই এই রহস্য ভেদ করার লক্ষ্যে এক নতুন তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন।

একদল বিজ্ঞানী মনে করছেন, এই অঞ্চলে স্থায়ী হয়ে থাকা একটি ষড়ভুজাকার মেঘস্তরই জাহাজ ও এরোপ্লেন লোপাট হয়ে যাওয়ার নেপথ্যে ক্রিয়াশীল। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই ষড়ভুজাকার মেঘস্তর ‘এয়ার বম্ব’ তৈরি করে। যার ফলে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের আবহাওয়া সর্বদাই অত্যন্ত খারাপ হয়ে থাকে। আর এই খারাপ আবহাওয়ার শিকার হয়েই পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে জাহাজ ও এরোপ্লেন, এবং শেষমেষ ভেঙে পড়ে তলিয়ে যায় সমুদ্রের গর্ভে।

বিজ্ঞানীদলের অন্তর্গত আবহবিদ র‌্যান্ডি সারভেনি সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, এই ধরনের এয়ার বম্ব আসলে মাইক্রোবার্স্ট নামের উপাদান নিয়ে গড়ে ওঠে। এর প্রভাবে মেঘ থেকে প্রবল বেগে নীচের দিকে হাওয়া নেমে আসে। এই হাওয়ার বেগ ১৭০ মাইল প্রতি ঘন্টার কাছাকাছি হতে পারে। এই তীব্র গতিসম্পন্ন হাওয়া নীচে নেমে এসে সমুদ্রপৃষ্ঠে ধাক্কা খেয়ে চতুর্দিকে ছিটকে পড়ে। এর ফলে তীব্র গতির হাওয়ার একটি আবর্ত তৈরি হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। এই আবর্তেরই শিকার হয় জাহাজ ও এরোপ্লেনগুলি। নাসার উপগ্রহ চিত্রে নাকি এই ছ’কোণা মেঘস্তরের ছবি ধরা পড়েছে বলে দাবি সারভেনির।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অবশ্য আগেও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই বছরের মার্চ মাসেই একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে দেড়শো ফুট সমুদ্রগর্ভে নিহিত এবং প্রায় দেড় মাইল বিস্তৃত একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ক্রমাগত যে বিস্ফোরণ ঘটে তার প্রভাবেই এরোপ্লেন ও জাহাজ এই অঞ্চল পার হতে গিয়ে একেবারে ধ্বংসের সম্মুখীন হয়। এবারে সারভেনি ও তাঁর সঙ্গীরা অন্য রকম তত্ত্ব খাড়া করলেন। এই তত্ত্ব কতটা যৌক্তিক ভিত্তি পায়, সেটাই এখন দেখার।

এ দেশের মানুষ আমাকে ভোলেনি : রাজ্জাক




আমরা যখন কথা বলছি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান এই তারকার সঙ্গে, তখন ঘুরেফিরে সব কথাই এসে পৌঁছে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের ভালো-মন্দের প্রসঙ্গে। রাজ্জাক যে আপাদমস্তক একজন চলচ্চিত্রের মানুষ, সেটাই বোঝা যাচ্ছে পরিষ্কার। কেমন লাগে এই বয়সে, কী ভাবেন এ সময়টাতে?—এমন একটা প্রশ্ন দিয়েই শুরু করি আলাপ। ‘ইচ্ছে ছিল আমরণ চলচ্চিত্রে কাজ করে যাব।’ বললেন রাজ্জাক। ‘আমার খুব চাওয়া, চলচ্চিত্রে কাজ করতে করতেই কোনো এক সময় আমার মৃত্যু হবে। কিন্তু আমি খুব কষ্ট পাই, বুঝলে! আমাদের কী জমজমাট ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিটা ছিল! এই ইন্ডাস্ট্রিতে আছি বলে গর্ব করতাম। আর আজ কী অবস্থা!’ ধরুন, আপনাকে যদি চলচ্চিত্র জগতের একজন মানুষের নাম বলতে বলা হয়, যাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি আপনাকে এ জগতের জন্য তৈরি করেছে, তবে কার নাম করবেন? বিন্দুমাত্র না ভেবে রাজ্জাক বললেন, ‘জহির রায়হান। তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। আমি তখন চলচ্চিত্র জগতে বারবার রিফিউজড হচ্ছি। কেউ আমাকে নিয়ে ভাবছে না। তখন তিনিই একমাত্র মানুষ, যিনি আমাকে বলেছিলেন, “আমি আপনাকে ব্রেক দেব।” তখন তিনি “বাহানা” ছবিটি করছিলেন। সেটা শেষ হলে “হাজার বছর ধরে” করবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু তা আর করা হয়নি। তবে আমাকে স্নেহ দিয়ে, উপদেশ দিয়ে এই জগতের উপযোগী করে তুলেছিলেন তিনি।’ ঘর থেকে তো আপনাকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি কখনো... হাসলেন রাজ্জাক। বললেন, ‘এ কথাটাও আমি বলতে চাইছিলাম। যখন একটু নাম হলো, যখন মন খুলে কাজ করার কথা, তখন পাশে পেয়েছি স্ত্রী লক্ষ্মীকে। তিনি আমাকে একটা নির্ঝঞ্ঝাট জীবন দিয়েছেন। তখন তো বুঝতেই পারছ, নাম হলে নারীমহলে সাড়া পড়ে যায়। সেগুলো সামলে নিতে পারতাম না, যদি না লক্ষ্মী থাকতেন পাশে। আমার এত দূর আসার পেছনে জহির রায়হান আর লক্ষ্মীর সাহায্য রয়েছে অনেকখানি।’ আপনি জনপ্রিয় মানুষ, রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে জড়ানোর কথা ভাবেননি কখনো? ‘আমার জগৎ, ধ্যানজ্ঞান সবই ছিল চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয়কে কেন্দ্র করে। অভিনয়টাই ছিল রক্তের ভেতর। হ্যাঁ, হয়তো রাজনীতি করতে পারতাম, এমপি-মিনিস্টার হতে পারতাম। কিন্তু ওটা তো আমার স্বপ্ন বা পেশা নয়। আমি স্বপ্ন দেখেছি নায়ক হব, ভালো অভিনেতা হব। নিজের অন্তরে যা বসাতে পারব না, সেটা পেশা হিসেবে গ্রহণ করব কেন? আমার তো পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। আমি কেন রাজনীতি করব?’ চলচ্চিত্রের তো এখন দৈন্যদশা। বাঁচার উপায় কিছু দেখছেন? ‘যখন আমরা চলচ্চিত্রে অভিনয় করা শুরু করেছি, তখন কেউ টাকার দিকে তাকাইনি। ছবি হিট করলেও পয়সা চাইনি। দুবেলা ডাল-ভাত খেতে পারলেই মনে হতো শান্তিতে আছি। একসময় বাঙালি পরিচালকেরা বাংলা ছবি ফ্লপ হয় বলে উর্দু ছবি বানাতে শুরু করলেন। আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম, বাংলা চলচ্চিত্রশিল্পটাকে বাঁচাব। পরিচালক-অভিনয়শিল্পী-গায়ক-সংগীত পরিচালক—সবাই মিলে আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে গেছি। তখন প্রযোজকের সঙ্গে প্রযোজকের ছিল ভালো সম্পর্ক। এখন তো প্রযোজক-প্রযোজক দূরের কথা, শিল্পীর সঙ্গে শিল্পীরই সুসম্পর্ক নেই। সে সময় কী অসাধারণ সব ছবি তৈরি হয়েছে! ‘আগুন নিয়ে খেলা’র পর অনেকেই বাংলা ছবির দিকে ঝুঁকলেন। নির্মাণ করা হলো নীল আকাশের নিচে। বাংলা চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সে কী সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা!’ এখন তা নেই কেন? ‘কী করে থাকবে? কারও সঙ্গে কারও সুসম্পর্ক নেই। সবাই টাকার পেছনে দৌড়াচ্ছে। শিল্প নির্মাণ করার সময় কোথায়? অবস্থা কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, জানো? সিনেমা হলের মেশিনের ভাড়াটাও এখন দিতে হচ্ছে প্রযোজককে। অবস্থা এমন হলে চলচ্চিত্রশিল্প বাঁচবে কী করে? এফডিসির কী দৈন্যদশা! সমিতি তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন, তারা চা খাচ্ছে, পিকনিক করছে। কিন্তু চলচ্চিত্রটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, সে খোঁজ রাখছে না কেউ!’ পঁচাত্তরের দিকে হাঁটা শুরু করার আগমুহূর্তে নিজের ভাবনার কথা বলুন। ‘এত সব কষ্টের মধ্যেও আনন্দে আছি। আমি যখন “রাজ্জাক” হিসেবে দর্শকের মনে জন্মগ্রহণ করলাম, তখন এ দেশের মানুষ ছিল সাড়ে সাত কোটি। এখন প্রায় ১৭ কোটি। এখন আমি ১৭ কোটি মানুষের দোয়া-আশীর্বাদ পাচ্ছি। আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে এই ভেবে যে এ দেশের মানুষ আমাকে ভোলেনি।’

সুত্র :প্রথম আলো

বাবার জন্য আপনারা দোয়া করেন: সম্রাট


কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ছেলে খালিদ হোসেইন সম্রাট। সোমবার সন্ধ্যায় বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনারা বাবার জন্য দোয়া করবেন। এখন দোয়া ছাড়া কিছু করার নেই। ভাই (বাপ্পারাজ) দেশের বাইরে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে দাফন ও অন্যান্য বিষয়ে রাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী নায়করাজ রাজ্জাক ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

সুত্র :প্রথম আলো

নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই!!



চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী নায়করাজ রাজ্জাক আর নেই। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে হার্ট অ্যাটাক হওয়া অবস্থায় নায়ক রাজ্জাককে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ৬টা ১৩ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে নায়করাজ স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ২০১৪ সালে মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পাওয়া এ অভিনেতার মৃত্যুসংবাদ শুনে তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেছেন দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা।

১৯৬৬ সালে ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ঢাকাই ছবিতে দর্শকনন্দিত হন কিংবদন্তি এ অভিনেতা।

নায়করাজ রাজ্জাক প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন ‘কি যে করি’ ছবিতে অভিনয় করে। পাঁচবার তিনি জাতীয় সম্মাননা পান। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কার পেয়েছেন অসংখ্যবার।

বর্তমান সময়ে চলচ্চিত্রে খুব কমই অভিনয় করছেন নায়করাজ রাজ্জাক। শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, পরিচালক হিসেবেও বেশ সফল। ‘আয়না কাহিনী’ ছবিটি নির্মাণ করেন রাজ্জাক। নায়ক হিসেবে নায়করাজ প্রথম অভিনয় করেন জহির রায়হান পরিচালিত ‘বেহুলা’ ছবিতে। এতে তাঁর বিপরীতে ছিলেন সুচন্দা।

‘অবুঝ মন’, ‘আলোর মিছিল’ ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘রংবাজ’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেওয়া’ ‘পিচঢালা পথ’, ‘অশিক্ষিত’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’সহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করা রাজ্জাক সর্বশেষ অভিনয় করেছেন ছেলে বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’ ছবিতে।

ষাটের দশকের মাঝের দিকে রাজ্জাক চলচ্চিত্র অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। সত্তরের দশকেও বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের প্রধান অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।

চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ ডাকলে তাতে সাড়া দিতেন ‘বেহুলা’, ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ‘এতটুকু আশা’, ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’, ‘ওরা ১১ জন’, ‘অবুঝ মন’-এ অভিনয় করা রাজ্জাক। আমৃত্যু এই শিল্পের সঙ্গেই থাকতে চাওয়ার কথা জানিয়ে একসময় বলছিলেন, ‘আমি রাজ্জাক হয়তো অন্য কোনো চাকরি করতাম অথবা ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু ছোটবেলার অভিনয় প্রচেষ্টাকে আমি হারাতে দিইনি। আমি নাটক থেকে চলচ্চিত্রে এসেছি। সবাই আমাকে চিনেছে। পেয়েছি সাফল্যও। বাংলার মানুষজন আমাকে একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবেই দেখেন ও আমাকে ভালোবাসেন। আজকে আমার যা কিছু হয়েছে, সবই এই চলচ্চিত্রশিল্পের কল্যাণে।

রাজ্জাক এ-ও বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের ছোট একটি দেশ হতে পারে, তারপরও এই দেশের একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। যাঁদের জন্য আমি রাজ্জাক হয়েছি, আমি সব সময় তাঁদের কাছাকাছি থাকতে চাই।

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি নায়ক রাজ্জাক। সেখানেই ছোটবেলা কাটে। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের হাতে খড়িও সেখানে।

নায়করাজের দুই ছেলে বাপ্পারাজ ও সম্রাটও চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী।

রাষ্ট্রপতির শোক:
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয়তা অর্জনে নায়করাজ রাজ্জাকের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম স্মরণ করবে। 
রাষ্ট্রপতি রাজ্জাকের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর শোক:
ঢাকাই ছবির কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে রাজ্জাকের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র।’

শেখ হাসিনা নায়করাজের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

এ ছাড়া শোক জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

সুত্র :প্রথম আলো

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবার, ব্যায়াম ও শরীর চর্চার বিকল্প নেই


শরীরের ইম্যিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবার ও ব্যায়াম বা শরীর চর্চার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন ওষুধ ছাড়াই আপনি বাড়াতে পারেন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর যাতে শরীরের ইম্যিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় তার মধ্যে রয়েছে, মনখুলে হাসুন ও বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান, গান শুনুন অথবা নিজেই দু’লাইন গাইতে চেষ্টা করুন, অধিক চর্বিযুক্ত খাবার ও অধিক চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন, বেশি করে মাছ খেতে চেষ্টা করুন, মাসরুম সমৃদ্ধ খাবার খেতে চেষ্টা করুন, অধিক পরিমাণ সাইট্রাস ফুড বা লেবু জাতীয় ফল আহার করুন, প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন, শরীরের যত্ন ও বিশ্রাম নিন, অ্যালমন্ড জাতীয় ফল বেশি খান, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি পান ও ব্যবহার পরিহার করুন, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ ভেজ ডায়েট বা শাক-সবজি আহার করুন।
বিশেষজ্ঞগণ গবেষণায় দেখেছেন, আপনি যদি ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে খানিকটা সময় কাটান, দুষ্টুমি করেন, হাসি-ঠাট্টা করেন তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য দরকারি এন্টিবডি ও শ্বেত কণিকা বৃদ্ধি পায় যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ করে। অধিক চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার এবং ফ্রেন্ডলি ফ্যাট যেমন: ফিসফ্যাট, ওমেগা-৩ ইত্যাদি আহারে প্রস্ট্যাগ্লান্ডিন হরমোন বাড়ায়। ফলে শক্তিশালী হয় ইম্যিউন সিস্টেম। অধিক পরিমাণ সাইট্রাস ফুড আহারে রক্তের ফ্যাগোসাইট নামক উপাদানের বৃদ্ধি ঘটে যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। সাইট্রাস ফুডের মধ্যে রয়েছে, কমলা, লেবু, আঙ্গুর ইত্যাদি। মার্কিন গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য ঠাণ্ডা পানি কম ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। যাদের কমন কোল্ড বা ঠাণ্ডা সমস্যা বেশি থাকে তাদের শরীরের ইম্যিউন সিস্টেম দুর্বল থাকে। তাই যাতে সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা কম লাগে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
.
লেখক : ডা. মোড়ল নজরুল ইসলাম, চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ

বুদ্ধিমান’ সন্তানের মা হতে গেলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা


সকলেই চান তাঁর সন্তান যেন সুস্থ ও বুদ্ধিমান হয়। কিন্ত, একটি শিশুর ‘ইনটেলিজেন্ট’ হওয়া বা না-হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে তার জিন-এর উপর।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রত্নাবলী ঘোষের কথা অনুসারে— একটি শিশু যে জিন নিয়ে জন্মায়, সেটাই তার বুদ্ধিমত্তা ও চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের মূল কারণ হয়। কিন্তু, নতুন গবেষণা বলছে, একটি শিশুর ‘আইকিউ লেভেল’ মাত্র ৫০% নির্ভর করে তার জিনের উপর। বাকিটার জন্য দায়ি থাকে তার পারিপার্শ্বিক।
কোন কোন কারণে আপনার শিশুটি বুদ্ধিমান হয়ে জন্মাবে, গবেষণায় উঠে আসা সেই কারণগুলি জেনে নিন—
১। পুষ্টিকর খাবার— শিশুর ‘ব্রেন ডেভলপমেন্ট’-এর জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই জরুরি। তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মাছ, সোয়াবিন, পালং শাক খাওয়া প্রয়োজনীয়। অন্যান্য শাক যাতে আয়রন রয়েছে, এমন শাকও শিশুর ব্রেনে অক্সিজেন সাপ্লাই করতে সাহায্য করে। আমন্ড ও ওয়ালনাটও খুবই প্রয়োজনীয়।
২। ফিট ও অ্যাক্টিভ— একসরসাইজ করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ ভাল হয়, যা শিশুর বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে। রিসার্চ বলছে, মা শারীরিক কসরত করলে, গর্ভের সন্তানের ব্রেনে নিউরনের মাত্রা বেড়ে যায় প্রায় ৪০%। এটি মানুষের মনে রাখার শক্তি বহন করে।
৩। কথা বলুন গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে— অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একই গান বা কবিতা যদি বারবার শোনা যায়, রিসার্চ বলছে, জন্মের পরে সেই গান বা কবিতা শুনলে শিশুটি চিনতে পারে। রত্নাবলী ঘোষ বলছেন গর্ভস্থ সন্তানের সঙ্গে কথাও বলতে।
৪। হাল্কা মাসাজ— রিসার্চ বলছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহ থেকেই মায়ের পেটের উপর হাত রাখলে, শিশুটি তা বুঝতে পারে। রিসার্চে এমনও তথ্য বলা হয়েছে যে, শিশুটি বাবা বা মায়ের স্পর্শও বুঝতে পারে। তাই পেটের উপর আমন্ড ওয়েলের মাসাজ খুবই উপকারি।
৫। গল্প সেশন— অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার তিন মাস পর থেকেই গর্ভের সন্তানটির আওয়াজ বা শব্দ মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, জানাচ্ছেন প্যারেন্টিং এক্সপার্ট পলি সেনগুপ্ত। তাঁর মতে, মা বা বাবা যদি লাগাতার ছোটদের কোনও গল্প জোরে জোরে পড়ে, সে ক্ষেত্রে শিশুটির ব্রেন সেই শব্দগুলি মনে রাখে।

বাঁচতে চাইলে মেনু থেকে এখনই বাদ দিন তেলাপিয়া মাছ – দেখে নিন কেন ?


কাঁচা লঙ্কা, সর্ষে দিয়ে তেলাপিয়ার ঝাল, কিংবা স্রেফ ঝোল। মাসে অন্তত কয়েকবার পাতে পড়ে না, এমন বাঙালি মেলা ভার। ডায়েটিশিয়ানরাও বলেন, শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডের চাহিদা মেটাতে ছোট মাছের বিকল্প নেই। কিন্তু তেলাপিয়া মাছ থেকে সাবধান।
পারলে এখনই খাওয়া বন্ধ করুন। তা না হলে অ্যাস্থমা, করোনারি ডিজিজ, হাড় ক্ষয়ের মতো নানা রোগ এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগও অচিরেই বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। ত্যালাপিয়া রান্না করা সহজ, কাঁটা বেশি থাকে না, খেতে সুস্বাদু। আপাত সস্তাও। সবই ঠিক আছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি গবেষণায় তেলাপিয়া সম্পর্কে মারাত্মক তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন। দেখা গিয়েছে, তেলাপিয়া মাছের থাকা উপাদান শরীরকে ধীরে ধীরে শেষ করে।
এক কথায়, স্লো পয়জন(Slow Poison)। কেন তেলাপিয়া বিপজ্জনক? তেলাপিয়া মাছ বড় হয় সাধারণ অবস্থাতেই। কিন্তু চাষ করা হয় ফার্মে। আমরা বাজার থেকে যে তেলাপিয়া কিনি, সেগুলি সবই নির্দিষ্ট কারখানায় চাষ করা হয়। আর এখানেই বিষ হয়ে যায় তেলাপিয়া। ফার্মে তেলাপিয়ার স্বাদ বাড়ানোর ও সংখ্যায় বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় নানা রকম রাসায়নিক সার। সঙ্গে বিষাক্ত কীটনাশক। দেখা গিয়েছে, ফার্মে তেলাপিয়া চাষে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা থেকে ক্যান্সার হয়। তাই চিকিৎ‌সকদের পরামর্শ, সুস্থ ভাবে বাঁচতে অবশ্যই মাছ খান।

নাপাক অবস্থায় খাবার গ্রহণ করা জায়েজ আছে কী?


প্রশ্ন:
নাপাক অবস্থায় খাবার গ্রহণ ও পড়াশোনা করা জায়েজ আছে কী? এই ব্যাপারে ইসলামী বিধি-বিধান কী?
উত্তর:
নাপাক অবস্থায় শুধু কোরআন পড়া, স্পর্শ করা, মসজিদে প্রবেশ ও নামাজ পড়া যাবে না। এ ছাড়া, খাওয়া দাওয়া, লেখাপড়া ও অন্যান্য কাজ করা যাবে।
তবে নাপাক অবস্থায় বেশিক্ষণ থাকা ঠিক নয়। মেয়েরা পিরিয়ডকালীন রোজাও রাখতে পারবেন না।
তবে স্বামী-স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নাপাক হয়েছে এই অবস্থায় সেহেরি খেয়ে রোজা রাখতে পারবে।
এতে রোজার কোনো সমস্যা হবে না। এক্ষেত্রে ফজর নামাজের আগে তাদেরকে গোসলের মাধ্যমে পাক হতে হবে।
আবার রোজা অবস্থায় ঘুমের মধ্যে কারো স্বপ্নদোষের মাধ্যমে নাপাকি ঘটলে রোজা নষ্ট হবে না। ফরজ গোসল করে পবিত্র হয়ে নিতে হবে।

মোবাইল ফোন হারালে বা চুরি হলে কি করবেন? জেনে নিন সহকারী পুলিশ সুপার মাসরুফ হোসেনের পরামর্শ ।


বর্তমান সময়ে মোবাইল বা স্মার্টফোন চুরি হয়ে গেলে বা হারিয়ে গেলে বেশি দুশ্চিন্তা থাকে ফোনটির অপব্যবহার নিয়ে। যে কারণেই এ দুশ্চিন্তা। সাধের মোবাইল ফোন হারানোর দুঃখ কী, তা অনেকেই জানে৷ চুরি হলে মনে জাগে আশঙ্কা – চোর বুঝি সব তথ্য পড়ে ফেললো !
চোর ভাবে, চোরাই ফোন বিক্রি করে যদি দু-পয়সা কামানো যায়৷ তাহলে উপায়? মোবাইল ফোন চালু রাখা ও বন্ধ রাখার প্রযুক্তি রয়েছে। কিন্তু দূর থেকে মোবাইল ফোন অকেজো করে ফেলার কার্যকর কোনো পদ্ধতি নেই। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন বসে নেই চুরি ঠেকাতে নিত্য নতুন প্রযুক্তি বা সফটওয়্যার তৈরিতে তেমন চোরেরাও বের করছে নানান ফন্দি ফিকির। এই আর্টিকেলটিতে মূলত প্রযুক্তি বিষয়ের চেয়ে আইনগত দিক এবং সচেতনতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাহলে জেনে নিন সহকারী পুলিশ সুপার জনাব মাসরুফ হোসেনের পরামর্শ।
প্রিয় সদস্যবৃন্দ,
সুদূর জাপান থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। শুরুতেই বলে নিই, আমার এই পোস্টটি কোন যাদুমন্ত্রমূলক পোস্ট নয়-কাজেই আশাহত হবার আগেই সতর্ক করে দিই।এখানে আমি শুধু পুলিশি পরামর্শ দিচ্ছি,যেটি হয়ত আপনার কাজে লাগতে পারে। হাতে ৫ মিনিট সময় থাকলে পড়ে দেখুন
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় “আইজেক” ক্লাবের উদ্যেগে বাংলালিংক-এর তৎকালীন সিইও আমাদের একটি সেমিনারে এসেছিলেন। সুইজারল্যান্ডে বাড়ী, তুখোড় স্মার্ট ওই ভদ্রলোক অনেক মজার মজার কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে যেটি এখনো মনে আছে সেটি হচ্ছেঃ
“The closest thing to your body after your underwear is your mobile phone”
আমাদের শরীরের ( এবং মনের) এত কাছাকাছি থাকা সত্বেও মোবাইল ফোন চুরি যাওয়াটা আমাদের প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। এই চুরি ঠেকাতে আদি এবং অকৃত্রিম একটাই পরামর্শঃ সতর্ক থাকুন।
আমি নিজে খুব “মেসি”(ফুটবলার Leo Messi না, অগোছালো Messy) টাইপের মানুষ, প্রায়ই এটা ওটা হারিয়ে ফেলি। এই সেদিনই মাথা ঢাকার ক্যাপটা সুন্দর করে মেট্রো রেলে ফেলে রেখে চলে এসেছি।খেয়াল করে লাভ হয়নি, আমার চোখের সামনে ট্রেন ছেড়ে দিলো, আমি শুধুই “চেয়ে চেয়ে দেখলাম”।আপনার অবস্থাও এরকম যদি হয়, সবচেয়ে ভালো বেল্ট টাইপ কিছু ব্যবহার করা। বাসে ওঠার সময় পকেটে এক-হাত দিয়ে উঠুন, মোবাইল-মানিব্যাগ যে পকেটে রেখেছেন ওটা ধরে রাখুন।
আজ একটা মেসেজ পেলাম, এক ভদ্রমহিলা লিখেছেন, গত ৫ মাসে উনার ৩ টা মোবাইল হারিয়েছে, সব কটাই আইফোন আর গ্যালাক্সী নোট।
৫ মাসে যদি ৩ টা আইফোন আর গ্যালাক্সী নোট হারানর “সামর্থ্য” আপনার থাকে, সেক্ষেত্রে পুলিশি পরামর্শ খুব একটা খুব একটা প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সতর্ক হওয়া অথবা অতিরিক্ত টাকা এতিমখানায়(কিংবা দুঃস্থ পুলিশ কল্যান সংস্থায়) দান করে দেয়া।
এবার কাজের কথায় আসি। যদি সতর্ক থাকার পরেও আপনার মোবাইল ফোন চুরি যায়, সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত তিনটি স্টেপ অনুসরণ করুনঃ
১) আইএমইআই নম্বর উল্লেখ পূর্বক থানায় জিডি করুন
২) জিডির এক কপি সহ র‍্যাবে অভিযোগ করুন। অনেকেই জানেন না, র‍্যাব পুলিশেরই একটি বিশেষায়িত ইউনিট।
৩) জিডির কপিতে উল্লেখ করা অফিসারের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং তার মাধ্যমে ডিবি এর ট্র্যাকিং টিমের সহায়তা নিন।
অনেক সময় দেখা যায় আইটিতে দক্ষ ইউজার নিজেই ট্র্যাক করে বের করে ফেলেছেন মোবাইলের অবস্থান। এরকম হলে ডিবির জন্যে বসে থেকে লাভ নেই, লোকেশন সহ জিডিতে উল্লেখিত অফিসারের সহায়তা নিয়ে চোর মশাইকে “খপ” করে ধরে ফেলুন।
জিডি করে বেশিরভাগ সময়েই ফোন ফেরত পাওয়া যায়না। এর কারণ হচ্ছে, আমাদের ট্র্যাকিং টিম মূলতঃ প্রায়োরিটি দেয় অতি গুরুত্বপূর্ন কেইসগুলোর মোবাইল ট্র্যাকিং-কে।খুন, সন্ত্রাস-ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট মোবাইল ট্র্যাক করাই এদের মূল কাজ, তাই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের সিরিয়াল বহু পরে আসে- ততদিনে আপনি নতুন মোবাইল কিনে ফেলেন!
তবুও জিডি করবেন কেনঃ
১) আপনার মোবাইল ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে ওটা যাতে আপনার ঘাড়ে না পড়ে সেজন্যে। আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে, জিডির কপি দেখিয়ে সেটার দায় থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।
২) হঠাৎ হঠাৎ জিডির দ্বারা ট্র্যাকিং করে মোবাইল পাওয়া গেলেও যেতে পারে।
এবার মেয়েদের জন্যে একটা পরামর্শ, জেন্ডার বায়াসড শোনালেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছিঃ
প্লিজ, মোবাইল ফোনে নিজেদের এমন কোন ছবি রাখবেন না যেটা প্রকাশ হওয়াটা আপনার জন্যে সামাজিক এবং অন্যান্য ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।আরো ভালো হয়, যদি এধরণের ছবি না তোলেন। অন্তরংগ মুহূর্তে কেউ ওরকম ছবি তুলতে চাইলে ওই ভদ্রলোকের(ক্ষেত্রবিশেষে ভদ্রমহিলার) উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে উঠুন, একবারের ভালবাসা সারাজীবনের ভালবাসা নয়! এটা পুলিশি অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া Strictly Professional একটা পরামর্শ দিলাম।

যে কারনে হোটেলে দেওয়া সাবান জীবনেও হাত দিবেননা! আর দিলে যা হবে জানলে আতকে উঠবেন


যে কারনে হোটেলে দেওয়া সাবান জীবনেও হাত দিবেননা – কোথাও ঘুরতে গেলে হোটেল থেকে কি সুগন্ধী সাবান কিংবা বাথরুমের অন্যান্য জিনিস নিয়ে আসার অভ্যেস আছে আপনার? তাহলে আজ থেকেই সেই অভ্যেসটা বদলে ফেলার চেষ্টা করুন৷
কারণ আপনি কি জানেন আপনার ব্যবহৃত সাবানই পৃথিবীর একাধিক মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করছে! অবাক লাগছে? কিন্তু একটি বিশেষ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই একটি তথ্য৷ ’ক্লিন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই বিষয়টি নিয়েই কাজ করে৷
WHO-র সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, সারা বিশ্বে ২.৫বিলিয়ন মানুষ পরিষ্কার শৌচালয় ব্যবহার করতে পারেনা৷ প্রতি বছর প্রায় ৫লাখ ২৫হাজার শিশু মারা যায় এই কারণে৷ যাদের প্রত্যেকের বয়সই পাঁচ বছরের নীচে৷ ’ক্লিন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামক এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি ব্যবহৃত সে সমস্ত সাবান গুলিকে পুনর্ব্যবহার যোগ্য করে আবার নতুন করে তৈরি করে৷
আর তা ১১৫টি দেশে সেই নতুন সাবান ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ আর সাবানের সেই সংখ্যাটি প্রায় ৪০মিলিয়ন৷ তবে শুধু সাবান নয়৷ কন্ডিশনার, শ্যাম্পু সমস্ত কিছুই রয়েছে এই তালিকায়৷
দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-র তরফে জানানো হয়েছে, ডায়রিয়ার ফলে প্রতি বছর যে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়৷ সেই সংখ্যাটি অতি সহজেই ৫০শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সিডিসি৷
এরফলে মৃত্যুহারও কমবে অনেকাংশে৷হিলটন, ডিজনির মতন বিশ্বখ্যাত হোটেলগুলি এই বিশাল কর্মসূচিতে যোগদান করেছে৷ আজ থেকে আপনিও তৈরি হয়ে যান এই উদ্যোগে সামিল হওয়ার জন্য৷ আপনার ছোট প্রয়াস যদি লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারে তাহলে মন্দ কি?

২০১৭ সালে আরও কী কী ঘটতে চলেছে? নস্ত্রাদামুসের এই ১০টি ভবিষ্যৎবাণী আপনার ‌বুক কাঁপিয়ে দেবে


নস্ত্রাদামুস ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন‌ তাঁর আশ্চর্য ভবিষ্যৎবাণীর জন্য। ২০১৭ সালের আশপাশের সময়ে কী ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে কী বলে গিয়েছিলেন তিনি? আসুন জেনে নিই—
পশুরূপী মানুষ— এই কি মানুষের ভবিষ্যৎ! ছবি: ইগোর মরস্কিন
১৬শ শতকের ফরাসি পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিদ মাইকেল দে নোতর দাম, ওরফে নস্ত্রাদামুস, ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন‌ তাঁর আশ্চর্য ভবিষ্যৎবাণীর জন্য।
‘দি প্রফেসিস’— এই ইংরেজি নামে পরিচিত তাঁর বইটিতে লেখা রহস্যে ঘেরা ভবিষ্যৎবার্তাগুলির অনেকগুলিই কালক্রমে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১৯৩০-এর দশকে হিটলারের উত্থান, আমেরিকার কেনেডি-ভাইদের নিহত হওয়ার ঘটনা, নেপোলিয়নের পরাজয়, এমনকী ৯/১১-এ
আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা— সবটাই তিনি রহস্যময় ভাষায় বলে গিয়েছিলেন ৫০০ বছর আগেই। ২০১৭ সালের আশপাশের
সময়ে কী ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে কী বলে গিয়েছিলেন তিনি? আসুন জেনে নিই—
১. তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ:
নস্ত্রাদামুসের গণনা অনুসারে, ২০১৭ সালেই পৃথিবীর বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলির মধ্যে এক ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হবে। যা দীর্ঘ ২৭ বছর স্থায়ী হবে, এবং বিপুল প্রাণহানির কারণ হবে।
অনেকেই মনে করেন, নস্ত্রাদামুস ইঙ্গিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাই বলে গিয়েছিলেন।
২. ভিস্যুভিয়াস থেকে অগ্ন্যুৎপাৎ:
আগ্নেয়গিরি ভিস্যুভিয়াস থেকে এক ব্যাপক অগ্নুৎপাৎ ঘটবে, এবং তার ঠিক পরে-পরেই প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে পৃথিবী, যে
ভূমিকম্পে ৬ হাজার থেকে ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু‌ হবে।
৩. ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্প:
ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্পটি দেখা দেবে ২০১৭ সালেই। এটির উৎপত্তিস্থল হবে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল, কিন্তু এর ব্যাপকতা গোটা পৃথিবীকেই কাঁপিয়ে দেবে।
৪. সন্তান ধারণের অনুমতি:
নস্ত্রাদামুসের গণনা অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বছরেই এমন আইন চালু হবে, যে আইন অনুসারে সন্তানের পিতা-মাতা
হওয়ার আগে সরকারি অনুমতি নিতে হবে দম্পতিদের।
নস্ত্রাদামুস
৫. বিশ্ব-অর্থনীতির বিপর্যয়:
বিশ্ব-অর্থনীতি এই বছর নাগাদই ভেঙে পড়বে। নস্ত্রাদামুস রহস্যময় ভাষায় এই ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ধনীরা তাদের জীবদ্দশায় বহুবার মৃত্যুর সম্মুখীন হবে।’’
৬. মানুষের দৈহিক বয়স কমে যাবে:
নস্ত্রাদামুসের মতে, এই সময় চিকিৎসাবিদ্যার এমন উন্নতি হবে যে, ৮০ বছর বয়স্ক মানুষকে দেখতে লাগবে ৫০ বছর বয়সির মতো। সেইসঙ্গে মানুষের আয়ু ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
৭. প্রকৃতির সর্বনাশ:
নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন, ২০১৭ সাল নাগাদ ‘‘রাজারা অরণ্যকে হরণ করবে, আকাশ ফেটে যাবে, উত্তাপে দগ্ধ হবে মাটি।’’ যার সহজ
অর্থ— বসতির প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অরণ্যকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রের মাথারা, বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে ছিদ্র দেখা দেবে, এবং যার ফলে সূর্যের অতিবেগুণি রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে জীবকুলের।
৮. করদান থেকে মুক্তি:
নস্ত্রাদামুস লিখেছেন, ‘‘মানুষ রাজাকে কর দান করতে অস্বীকার করবে।’’ অর্থাৎ কোনও এক ব্যাপক গণবিপ্লবের পরিণামে কর ব্যবস্থারই অবলোপন ঘটবে।
৯. পশুপাখির সঙ্গে মানুষের সখ্য:
নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন, ‘‘শুয়োরেরা মানুষের ভাই হয়ে উঠবে।’’ এর অর্থ কী, মানুষ পশুসুলভ বর্বর হয়ে উঠবে, নাকি পশুকুলের
সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ্যের সম্পর্ক স্থাপিত হবে মানুষের? বর্তমান পৃথিবীতে প্রথম ঘটনাটিই যেন বেশি সম্ভব বলে মনে হয়।
১০. ভাষার ব্যবধান দূরীভূত হবে:
নস্ত্রাদামুস বলে গিয়েছেন, কোনও এক বিশেষ যন্ত্রের কল্যাণে ভাষায়-ভাষায় দূরত্ব ঘুচে যাবে। অনেকেই মনে করেন, এই বিশেষ যন্ত্রটি আসলে কম্পিউটার।

এক ফোন থেকে অন্য ফোনে এমবি পাঠাবেন যেভাবে!


আলাদাভাবে এমবি না কিনে আপনি এক সিম থেকেই বিভিন্ন সিমে সহজে এমবি শেয়ার করতে পারেন। কিভাবে করবেন?? নিচের পদ্ধতি অনুসরন করুন।
এক ফোন থেকে অন্য ফোনে MB পাঠেতে নিচের পধতি অনুসরণ করুনঃ
১০ এম.বি পার করতে হলে ডায়াল করুন
*১৪১&৭২১*১১* যার কাছে পাঠাবেন তার মোবাইল নাম্বার #
২৫ এম.বি পার করতে হলে ডায়াল করুন
*১৪১&৭২১*৯* যার কাছে পাঠাবেন তার মোবাইল নাম্বার #
৬০ এম.বি পার করতে হলে ডায়াল করুন
*১৪১&৭২১*৪* যার কাছে পাঠাবেন তার মোবাইল নাম্বার #
না জিপি থেকে জিপি মেগাবাইট ট্রান্সফার করা যায় না তবে বিভিন্ন এমবির প্যাকেজ উপহার দিতেন পারেন, জিপি সিমে ব্যলেন্স ট্রান্সফার এর মত এমবি ও ট্রান্সফার করতে পারবেন ।
জিপি টু জিপি নাম্বার এ যে ভাবে এমবি ট্রান্সফার করবেন তা নিচে দেওয়া হলঃ
৭৫ এমবি = igift 75mb
receiver’s no senders name
২৫০ এমবি= igift 250mb
receiver’s no senders name পাঠিয়ে দিবেন ৫০০০ এ।

যেন অবিকল বঙ্গবন্ধু! ভুল হতে পারে আপনারও!!


শিরোনাম পড়ে আঁতকে উঠতে পাড়েন যে কেউ। তবে ঘটনা কিন্তু মিথ্যা নয়। ফেসবুক দুনিয়ায় এক ব্যক্তির ছবি পাওয়া গিয়েছে যিনি দেখতে হুবহু বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমানের মতো। যেন অবিকল কপি টু পেস্ট। যে কেউ প্রথম দেখায় ছবিটাকে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত ছবি বলে মেনে নিতে পারেন। তবে একটু খেয়াল করলেই ভুলটা বুঝতে পারবেন।

ফেসবুকে এই বঙ্গবন্ধু রূপি ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‌বলেন তো উনি কে? তিনি অভিনয় করছেন বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে। সরকারি অনুদানের ছবিটা শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

কিন্তু চলচ্চিত্রটি কে নির্মাণ করছেন, কিংবা অভিনেতা অভিনেত্রী কারা, এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি পোস্টটিতে। অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে এমন কোনো চলচ্চিত্রকে সরকারি অনুদান এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তাহলে কী ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ ছবিটা বানাচ্ছেন? সে তথ্যও পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।

প্রিয় ফেসবুক মেসেঞ্জারে যুক্ত হচ্ছে নতুন সুবিধা, যা জানলে আপনি বেশ খুশি হবেন!


‘প্রাইভেট মেসেজিং’ ফিচার যুক্ত করতে যাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জারে। এ ব্যবস্থা প্রেরকের ডিভাইস থেকে বার্তা এনক্রিপ্টেড অবস্থায় পাঠানোর পর তা শুধু মাত্র প্রাপকের ডিভাইসেই ডিক্রিপ্ট করা যায়। মাঝপথে তৃতীয় কোনো পক্ষ বার্তাটি হাতে পেলেও; তা তার পক্ষে পড়া সম্ভব হয়না।
এবছর জুনেই ফেসবুক মেসেঞ্জারে এ ফিচারটি যোগ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এপ্রিলের শুরুতে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং সেবা হোয়াটসঅ্যাপ সর্বপ্রথম এ সেবাটি চালু করে।
হোয়াটসঅ্যাপকে টিক্কা দিতে এপ্রিলের শেষদিকে ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ ফিচারটি যোগ করে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ভাইবার। এবার এ সেবার আওতায় আসছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।
ফেসবুকের মেসেজিং সেবার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিট মারকাস এক বার্তায় জানিয়েছেন: মেসেজিং এর জন্য আপনার প্রথম পছন্দ হতে চাইছে ফেসবুক মেসেঞ্জার। আবার দিন দিন বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের মেসেজিং সেবার নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। এই বাস্তবতায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতেই ফেসবুকের মেসেঞ্জারে যোগ হল এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন বা প্রাইভেট মেসেজিং ফিচার। -চ্যানেল আই

রাতে ঘুমের আগে যে মারাত্নক ভূল করে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন !


ঘুম শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুম না হলে ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি আমরা। ঘুমের মধ্যে শরীরের সব অঙ্গ নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে। ভালো ঘুম না হলে অনেক ধরনের রোগ তৈরি হয়, মানসিক চাপও বাড়ে। কাজেই ঘুম নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আর নির্ঝঞ্ঝাট ঘুমের জন্য রয়েছে কিছু টিপস। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে ঘুমের আগে কিছু জিনিস করবেন না, তাহলে দুই চোখজুড়ে ঘুম আসবে আপনার।
তর্ক-বিতর্ক
ঘুমানোর আগে যদি কারো সাথে যুক্তিতর্কে লিপ্ত হন তখন আপনার মন নানা চিন্তায় পূর্ণ হয়ে যায়। যুক্তির পিঠে পাল্টা যুক্তি আপনার ভাবনায় আসতেই থাকবে। এটি আপনার ঘুমকে ব্যাহত করবে। গবেষকরা বলেন, ঘুমের আগে কারো সঙ্গে ঝগড়া করলে, এর রেশ রয়ে যায় পরেরদিন ভোর পর্যন্ত। পুরো রাত নিশ্চিন্ত ঘুমকে নিশ্চিত করতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে কোনো তর্কবিতর্ক নয়, কেমন?
আগ্রহ জাগায় এমন বই
ঘুমানোর আগে বই বা উপন্যাস পড়লে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে। তবে এ সময় কোনো উৎসুক বা জানার আগ্রহ হয় এমন গল্পের বই পড়তে যাবেন না। এর ফলে আপনি বইটি পড়তেই থাকবেন আর এতে আপনার ঘুমের সময় চলে যাবে। তখন ঘুম সহজে ধরা দেবে না চোখে।
ব্যায়াম করবেন না
ব্যায়াম শরীরকে স্বাস্থ্যকর ও সুঠাম রাখে। তবে ঘুমের আগে ব্যায়াম করলে ঘুম ব্যাহত হবে। ব্যায়ামের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং এটা ঘুমের অসুবিধা করে। তাই ঘুমের আগে শরীরচর্চা নয়।
ইন্টারনেট ব্রাউজ করা
ঘুমের আগে ল্যাপটপ চালানো বা টিভি দেখা ঘুমের আবেশকে নষ্ট করে দেয়। টিভির স্ক্রিন থেকে যে আলো আসে সেটা ঘুম তৈরির হরমোন মেলাটোনিনের নিঃসরণকে কমিয়ে দেয়। সব ধরনের স্ক্রিনের আলো এমনকি মোবাইল ফোনের আলোও এড়িয়ে চলুন।
বিছানায় বসেও কাজ নয়
ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোনো ধরনের অফিসের কাজ মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এটা মানসিক চাপ তৈরি করে এবং ঘুমকে ব্যাহত করে। কাজেই বিছানায় যাবেন ঘুমোতেই, কাজ করে ঘুমাবেন এমন চিন্তা করবেন না।
শিশুদের সঙ্গে খেলা
ঘুমানোর আগে শিশুর সঙ্গে খেলতে যাবেন না। এটা শিশু এবং আপনার উভয়ের ঘুমই নষ্ট করবে। মস্তিষ্ককে শেখাতে হবে খেলার সময় খেলা, ঘুমের সময় ঘুম।
চা-কফি খাবেন না
চা-কফি বা যে কোনো ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলুন। এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
গরম পানির গোসল
গরম পানির গোসল শরীরের তাপমাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। এটি ঘুম তাড়িয়ে দেয়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘুমের আগে গরম পানি দিয়ে গোসল করতে যাবেন না।
বেশি খাবেন না
রাতের খাবারে বেশি খাওয়া অনেক সময় ভীতিকর স্বপ্নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এটি ঘুমকে ব্যাহত করবে। আবার অস্বাস্থ্যকর খাবার আপনাকে দুঃস্বপ্নও দেখাতে পারে। পেটে গণ্ডগোল থাকলে ঘুম তো নষ্ট হবেই। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘুম ভালো হওয়ার জন্য রাতে স্বাস্থ্যকর হালকা খাবার খান।
দুশ্চিন্তা বাদ দিন
যেকোনো ধরনের দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ বাড়ায়। সারা দিন কী করলেন, না করলেন এগুলো চিন্তা করতে যাবেন না। যদি কোনো চিন্তার কারণ থাকে সেগুলো একটি নোট প্যাডে লিখে রাখুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই পদ্ধতি চিন্তা থেকে কিছুটা অব্যাহতি দেয় এবং ঘুমাতে সাহায্য করে।

গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাচ্ছেন?? থামুন…! প্লীজ এড়িয়ে যাবেন না! বাঁচতে চাইলে, এখনই পড়ুন!


গলা জ্বালাপোড়া বা পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক ধরনের ওষুধ সেবনে আমাদের কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করলেন গবেষকরা।
গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআইএস) জাতীয় ওষুধ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ তৈরি করে।
নিউইয়র্কের স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক প্রদীপ আরোরা ও তার গবেষক দল ৭১ হাজার ৫১৬ রোগীর পরীক্ষা করেন,
যাদের মধ্যে ২৪ হাজার ১৪৯ জন দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত। এসব রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পিপিআইএস জাতীয় ওষুধ সেবন করেছেন।
পিপিআই জাতীয় ওষুধ ব্যবহারকারী মধ্যে ১০ শতাংশের কিডনি রোগীর ঝুঁকি বাড়ায় এবং ৭৬ শতাংশের ক্ষেত্রে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
প্রদীপ অরোরা বলেন, রোগীদের বৃহৎ একটা অংশ পিপিআইএস জাতীয় ওষুধ সেবন করেন। যারা স্বাস্থ্য সেবা দেন তাদের এই জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা উচিৎ।

মেয়ে পটানোর সহজ উপায়। (একটি গবেষণাধর্মী পোস্ট) (১৮- দের প্রবেশ নিষেধ)


এই পোস্টটি লিখতে আমাকে রীতিমত গবেষণা করতে হয়েছে। সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে প্রায় ডজন খানেক রমনীর। এজন্য করেছি অনলাইনে গুতাগুতি এবং ব্যাপক হারে ফিল্ডওয়ার্ক। ফিল্ড ওয়ার্ক না বলে ক্যান্টিন ওয়ার্ক বললেই মনে হয় ভালো হয়। ব্যাপারটা একটু ব্যাক্ষা করি। হয়তো ক্যান্টিনে আমাদের ক্লাসের কোন মেয়ে বসে আছে। আমি হাসি মুখে মেয়েটাকে একটা প্রশ্নপত্র ধরিয়ে দিলাম। মেয়েটা প্রশ্নপত্র পড়ে আমার দিকে বিচিত্র ভংগিতে তাকালো। তাকানোর ভংগিটার সমার্থক বাক্য সম্ভবত এটা, “৬ ফুটি গাধা তো এর আগে কোন দিন দেখিনি”!!”
গাধা ভাবুক আর যাই ভাবুক, আমাকে অবাক করে দিয়ে সবাই আমার প্রশ্নপত্রটির নিচে বেশ সুন্দর করেই উত্তর লিখে দিয়েছে। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা সহ লাল সালাম।
গবেষনা করতে গিয়ে ফেসবুকেও অনেক খাটাখাটি করতে হয়েছে। এখানে আমাকে রেগুলার ঝাড়ি দিলেও নানান ভাবে সাহায্য করেছেন ব্লগার অগ্নিলা তানিয়া মুন ও জেরী । তাদেরকেও ঝাড়িসহ লাল সালাম।
প্রাক কথন শেষ, এবার মূল পোস্টে যাওয়া যাক।
গবেষনা পত্র
আগেই বলেছি যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি তাদেরকে একটি প্রশ্নপত্র ধরিয়ে দিয়েছিলাম। কি ছিলো সেই প্রশ্নপত্রে? আসুন দেখি,
১। ছেলেদের কোন গুন গুলো আপনাকে মুগ্ধ করে?
২। ছেলেদের কোন কোন ব্যাপারগুলো আপনাকে বিরক্ত করে?
৩। কিভাবে অফার করলে আপনি পটে যাবেন বলে আপনার ধারণা?
এবার আসুন উত্তর গুলো দেখা যাক।
প্রথম প্রশ্ন ছিলো, ছেলেদের কোন গুন গুলো আপনাকে মুগ্ধ করে? উত্তরে পাওয়া গেছে বেশ কিছু ব্যাপার।
১। সততা
২। দায়ীত্ববোধ।
৩। ব্যাক্তিত্ব
৩। চমৎকার হাসি।
৪। রিক্সা খোজে দেওয়া।
৫। যে মেয়ে ও ছেলের মধ্যে পার্থক্য না করা।
৬। ইভ টিজিং-এ বাধা দেওয়া।
৭। সাবলীলতা।
৮। স্মার্টনেস।
৯। একাগ্র চিত্তে মনযোগের সাথে গল্প শোনার ক্ষমতা।
১০। কেয়ার করা।
১১। ভালো যত্ন নেয়া।
১২। সহজে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা।
১৩। অনেক কথা বলা(!)।
১৪। প্রানবন্ততা।
১৫। বুদ্ধিদিপ্ততা
১৬। প্রগতিশিল মানষিকতা।
১৭। পরোপকারী মনোভাব।
১৮। অন্যের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ার মানষিকতা।
১৯। আশেপাশের মানুষদের সাথে সম্পর্কের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া।
২০। কথায় কাজে মিল থাকা।
২১। মন গলানোর জন্য পাগলামো করা।
২২। দায়িত্বশীলতা
২৩। বুদ্ধিমত্তা
২৪। পরিমিতবোধ
এর মাঝে কিছু আজব টাইপের ব্যাপারও পাওয়া গেছে। যেমনঃ
-মোটরসাইকেল কিনে দিতে হবে।
-নিয়মিত মাইর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। :))
-মশারী টাঙ্গানোর ব্যাপারে পারদর্শী হতে হবে।
(কথাগুলো যিনি বলেছেন তার বয়ফ্রেন্ডের ভাগ্য নিয়ে আমি শংকিত)
দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো, ছেলেদের কোন কোন ব্যাপারগুলো আপনাকে বিরক্ত করে? । এর উত্তরেও পাওয়া গেছে বেশ কিছু ব্যাপার।
১। মিথ্যা বলার প্রবণতা।
২। অসততা।
৩। ক্রমাগত বিরক্ত করা।
৪। সিরিয়াস ব্যাপারে সিরিয়াস না থাকা।
৫। আতলামী
৬। চাপা স্বভাব।
৭। অকারণে বসিং।
৮। নারি বিদ্ধেষী মনোভাব।
৯। নিজেকে হালকা ভাবে প্রেজেন্ট করা।
১০। নাভির নিচে প্যান্ট পরে কিছক্ষন পর পর উঠানোর চেস্টা করলে। 🙂
১১। বেশী কথা বলা। ছেলেরা বুঝেনা বেশী কথা বলে নিজেরাই নিজেদের ওয়েট টা কমিয়ে ফেলে
১২। সামনে বসে হাই কাটা,নাক খুচানো,একটু পর পর চুলে হাত দেওয়া ।(অনেক ছেলেরে দেখি কোমরে হাত দিয়ে আঁকা-বাঁকা হয়ে স্প্রিং এর মত দাড়িয়ে থাকে)
আমার শেষ প্রশ্ন ছিলো কিভাবে অফার করলে আপনি পটে যাবেন বলে আপনার ধারণা???
এর উত্তরে পাওয়া গেছে বেশ কিছু ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। মোটামোটি যাদেরকেই জিজ্ঞাস করেছি সবাই আলাদা আলাদা উত্তর দিয়েছেন। কেউ কেউ উত্তর দিতে চান নি। যাই হোক, নিচে সেগুলো তাদের জবানীতে দেয়ার চেস্টা করলামঃ
:“রেস্টুরেন্টে নিয়ে মধুর মধুর কথার সাথে বেশ ভালো কিছু খাওয়াতে হবে। এর ফাকে আস্তে করে হাতে গোলাপ ধরিয়ে দিতে হবে। তখন আমি যা বোঝার বুঝে নিবো”
:“কোন রকম ভনিতা না করে সহজভাবে বলতে হবে “I love you”
:”কোন বাংলা সিনেমার পোস্টার-এর লেখা দেখিয়ে বলতে হবে “মন দিয়েছি তোমাকে” কিংবা “প্রেমে পড়েছি””
:”মন গলানোর পর ভদ্রভাবে করুণ সূরে অফার করলে।”
:”প্রথমে বন্ধু হতে হবে, আমাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে, এরপরে ইন্টারেকশন খুব ভালো পর্যায়ে গেলে আমাকে তার ভালো লাগার কথা বলতে পারে, ঝামেলা করবোনা খুব একটা।”
:“অনেকদিন আমরা একা হেঠেছি, অনেকটা পথ, এসো এবার বাকিটা পথ হাত ধরে হাঠি বললে”
:“পটে যাবো মনে হয়খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলে, নিজেকে বড় প্রমান করতে গিয়ে অন্যকে ছোট না করে, সহজভাবে আমাকে বললে”
:”পটানোর মানসিকতা চাইনা। কিছু বলার ও দরকার নাই ভালো আন্ডারস্ট্যাডিং থাকলে (হয়তো) বুঝতে পারবো কি বলতে চায়।”
:“ওরে শয়তান!! এইটা তরে বলব কেনো!!!!”
:“ওই ফাজিল!!!! এটা বলা যাবে না”
রসায়নিক ভালোবাসাঃ
দুইজন ভালোবাসার দুটা সমীকরণ দিয়েছেন, সেগুলো তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছিনা।
:শ্রদ্ধা+বিশ্বাস+অনুভূতি=ভালোবাসা।
: ঝগড়া+মিটমাট+অনুভূতি=ভালোবাসা।

বাজ পড়লে টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করে দিলেই নিরাপদ? জেনে নিন সত্যটি…



কী ভাবছেন? টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটারের সুইচ বন্ধ করে দিলেই নিরাপদ?
চার্জড ক্লাউড বা বিদ্যুৎযুক্ত মেঘের মধ্যে পোটেনশিয়াল ডিফারেন্স থেকে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তা-ই আমরা বিদ্যুৎ নামে চিনি। এই বিদ্যুৎ তীব্র গতিতে ধেয়ে আসে পৃথিবীর দিকে। ফলে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে এর সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে। তার বেয়ে এই বিদ্যুৎ ধেয়ে আসতে পারে টিভি, ফ্রিজে।
আকাশ থেকে যে বিদ্যুৎ নেমে আসে, তার স্থায়িত্ব তেমন নয়। কিন্তু ওই অল্পসময়েই টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটারের সার্কিটের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। যে গতিতে এই বিদ্যুৎ আসে, তাতে সুইচ বন্ধ করে রাখলেও ক্ষতি হতে পারে অনায়াসে।
ফলে বাজ পড়লে টিভি, ফ্রিজ বা কম্পিউটারের সুইচ তো বন্ধ করবেনই, সঙ্গে প্লাগটিও খুলে দিন।

ফেসবুকের নতুম নিয়মঃ না মানলে ব্লক হয়ে যেতে পারে আপনার আইডি!জানুন বিস্তারিত।


যে সব কারণে সাধারণত ফেসবুক আইডি ব্লক হয় তার কয়েকটি তা থেকে উত্তরণের উপায়সহ উল্লেখ করলামঃ
১. ফেসবুক স্ট্যাটাসে বা ম্যাসেজে আক্রমাত্মক এমন কিছু লিখবেন না যেটা পড়ে মনে হয় আপনি কাউকে হুমকি দিচ্ছেন এমনটা যদি করেন তাহলে সেই বাক্তি যদি আপনার অ্যাকাউন্টে রিপোর্ট করে তাহলে আপনি কিন্তু ব্লক হতেই পারেন,
ফেসবুক এই অভিযোগটিকে খুবই গুরুত্ব সহ বিচার করে। তাই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট টি থেকে কাউকে হুমকি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২. আমারা যারা নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট করি তারা ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্ট বন্ধু বাড়ানোর জন্য এক দিনে একাধিক জনকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে দিই যা মোটেও ঠিক নয়। এই ভাবে সীমা অতিক্রম করলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক হওয়া থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।
৩. একই দিনে যদি ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে একই ম্যাসেজ লিখে একাধিক বার ম্যাসেজ করা হয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্লক হয়ে যেটে পারে । এ ক্ষেত্রে আপনি সেই সব ম্যাসেজ করার সময় কিছুটা পরিবর্তন করে করে ম্যাসেজ করুন ।
৪. আপনি যদি আপনার নিজের ফেসবুক ওয়ালেও একই পোস্ট একাধিক বার দেন তাহলে সেটাকে ফেসবুক স্প্যাম ভেবে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে তাই এটা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
৫. আপনি যদি প্রতিদিন একাধিক ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক করেন তাহলে আপনাকে প্রথমে সতর্কবার্তা দেবে। আপনি যদি তাও একি ভাবে কাজটি চালিয়ে যান তাহলে অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারে।
*****আপনাদের অনুরোধক্রমে আরো কিছু বিষয় আমি এই লেখার সাথে যোগ করে দিলাম,আমি বলেছিলাম বাংলাদেশী সাব্বিরের আছে 82000 ফেসবুক আইডি, হয়তো আপনার কিংবা অনেকের আইডি আছে তার কাছে,আপনি নিজেও সেটা জানেন না.
এবার নিচের লেখাটি আবারো পড়ুন.
প্রতিদিন আমাদের আইটি বিভাগে অসংখ্য কল আসে, অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের ফেসবুক আইডি তে লগইন করতে পারেন না,আবার অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের ফেসবুক আইডি থেকে অনেক সময় আজেবাজে কিছু ছবি শেয়ার করা হয় কিন্তু তারা সেটা নিজেরা করেন না,
এখন আমার প্রশ্ন তাহলে এগুলো কি ভুতে করে,না এগুলো মনুস্যবাহি কিছু জানোয়ার এর কাজ যারা হ্যাকিং করে অন্যের ফেসবুক আইডি তে প্রবেশ করে,
আপনার ফেসবুক আইডি নিরাপদে রাখতে হলে ফেসবুকের প্রাইভেসি এবং সেটিংস ঠিকমতো রাখার পাশাপাশি এই কাজগুলো কখনো করবেন না
কোন পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করেন কিংবা বিভিন্ন গ্রুপ এ স্টাটাস দেন এভাবে ব্রেকিং নিউজ এইমাত্র ফাস হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর গোপণ সেক্স ভিডিও,ভিডিও টি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন.
অনেকেই আবার এভাবে দেন,নায়িকা পুর্নিমা যে এত খারাপ নিচের সেক্স ভিডিও টি না দেখলে বুজতে পারতাম না,
আবার অনেক সময় টাকার লোভ দেখিয়ে এভাবে দেওয়া হয়,নিচের সহজ প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে বুজে নিন দুইশো টাকা বিকাশ,
অনেকেই আবার অন্যভাবে লিংক গুলো ছাড়েন,এই ধরুন এভাবে আপনি কি আপনার ফেসবুকে অটো ফলোয়ার বাড়াতে চান,অটো লাইক চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করো.
এই সব লিংক গুলোতে থাকে অটো জেনারেটেড পাওয়ার,আপনি ক্লিক করার সাথে সাথেই আপনার ফেসবুক আইডি এবং পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে.
অনেক সময় হ্যাকাররা এগুলো হ্যাকিং করে অনেকের কাছে টাকা দাবি করে আবার কারও আইডি একটু পপুলার দেখলে সেগুলো পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ব্যাবহার করে, নিজের আইডি নিরাপদে রাখতে হলে কখনো এইসব লিংকে ক্লিক করে আপনার মুল্যবান সম্পদটি নস্ট করবেন না.
এগুলো হলো হ্যাকিং এর সহজ সিস্টেম এছাড়াও অনেক কঠিন পন্থা প্রয়োগ করতে পারে সেগুলো হলো এমন,যদি আপনার ফেসবুকের মোবাইল নাম্বার কিংবা ইমেল আইডি জানা থাকে তাহলে কিছু অটোরান সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বার বার সার্চ করে পাসওয়ার্ড খুজেঁ বের করা হয়.
তাই যথাসম্ভব ফেসবুকের ইমেল এবং মোবাইল নাম্বার গোপন রাখা সবচাইতে ভালো

আজীবন ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিয়ে বাজারে মোবাইল ‘WE’



আর চিন্তা নেই। মোবাইল কিনলেই পাচ্ছেন আজীবন ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা। সাথে রয়েছে ১০০ জিবি পর্যন্ত ডাটা স্টোরেজের সুযোগ।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিনদিনব্যাপী স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপোতে গিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ দেশীয়। এরা দেশের বাজারে আসার আগেই বিদেশে রফতানি শুরু করেছে। বর্তমানে চায়না থেকেই এরা তাদের মোবাইল এসেমব্লিঙ করছে। তবে, অদূর ভবিষ্যতে কালিয়াকৈর এবং যশোরের হাইটেক পার্কে উৎপাদনে যাবে।
WE বাজারে বিভিন্ন মডেলের ৩ হাজার টাকা থেকে ১২ হাজার টাকা মূল্যের ফোন এনেছে। আর প্রত্যেক মোবাইলের সাথেই রয়েছে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা। এজন্য তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৮শ’টি ওয়াইফাই জোন স্থাপন করেছে। আর এদের মোবাইলে দেওয়া হয়েছে একটি অ্যাপ। যেটাতে ক্লিক করলেই ইন্টারনেট সংযোগ হয়ে যাবে।
এক্সপোতে দু’টি মডেলের ওপর ব্যাপক ছাড় দিচ্ছে। এক্ষেত্রে X2 এবং B2 মডেলের ওপর একটি কিনলে একটি ফ্রি মোবাইল সেট দিচ্ছে। দাম জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে যেতে হবে এক্সপোতে।
এদিকে, মোবাইল কেনার পর র‌্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে ক্রেতার জন্য এরা ফ্রি মালয়েশিয়া ভ্রমণের সুযোগও দিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশনস) এএম এহসান-উল হক বাংলানিউজকে বলেন, মোবাইল কেনার পর অনেকেই ডাটা ম্যানেজমেন্ট নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে ফোন হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে সমস্যাটা বেশি হয়। এক্ষেত্রে আমরাই ক্লাউড সুবিধা দিচ্ছি।
এক্ষেত্রে গ্রাহক তার মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো ডাটা স্টোরেজ করতে পারেন। তার জন্য ১০০ জিবি (গিগাবাইট) পর্যন্ত ক্লাউড স্পেস রাখা আছে। এতে ফোন হারিয়ে গেলেও ক্লাউডে সংরক্ষিত ডাটা রক্ষিত থাকবে। যা নতুন ফোন নিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন।
জোন রয়েছে দেশের ৮শ’টি স্থানে। সব জেলা সদরসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন ওপেন করা হচ্ছে ১১টি ওয়াইফাই জোন। ফলে, শিক্ষার্থীরা কোনো সিম কার্ড ব্যবহার ছাড়াই এই ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
এক্সপো মেকার আয়োজিত স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিকিকিনি চলে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে মেলার পর্দা নামবে।