নস্ত্রাদামুস ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন তাঁর আশ্চর্য ভবিষ্যৎবাণীর জন্য। ২০১৭ সালের আশপাশের সময়ে কী ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে কী বলে গিয়েছিলেন তিনি? আসুন জেনে নিই—
পশুরূপী মানুষ— এই কি মানুষের ভবিষ্যৎ! ছবি: ইগোর মরস্কিন
১৬শ শতকের ফরাসি পদার্থবিদ ও জ্যোতির্বিদ মাইকেল দে নোতর দাম, ওরফে নস্ত্রাদামুস, ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে রয়েছেন তাঁর আশ্চর্য ভবিষ্যৎবাণীর জন্য।
‘দি প্রফেসিস’— এই ইংরেজি নামে পরিচিত তাঁর বইটিতে লেখা রহস্যে ঘেরা ভবিষ্যৎবার্তাগুলির অনেকগুলিই কালক্রমে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
১৯৩০-এর দশকে হিটলারের উত্থান, আমেরিকার কেনেডি-ভাইদের নিহত হওয়ার ঘটনা, নেপোলিয়নের পরাজয়, এমনকী ৯/১১-এ
আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা— সবটাই তিনি রহস্যময় ভাষায় বলে গিয়েছিলেন ৫০০ বছর আগেই। ২০১৭ সালের আশপাশের
সময়ে কী ঘটতে চলেছে, সে সম্পর্কে কী বলে গিয়েছিলেন তিনি? আসুন জেনে নিই—
১. তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ:
নস্ত্রাদামুসের গণনা অনুসারে, ২০১৭ সালেই পৃথিবীর বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলির মধ্যে এক ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হবে। যা দীর্ঘ ২৭ বছর স্থায়ী হবে, এবং বিপুল প্রাণহানির কারণ হবে।
নস্ত্রাদামুসের গণনা অনুসারে, ২০১৭ সালেই পৃথিবীর বৃহৎ রাষ্ট্রশক্তিগুলির মধ্যে এক ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হবে। যা দীর্ঘ ২৭ বছর স্থায়ী হবে, এবং বিপুল প্রাণহানির কারণ হবে।
অনেকেই মনে করেন, নস্ত্রাদামুস ইঙ্গিতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাই বলে গিয়েছিলেন।
২. ভিস্যুভিয়াস থেকে অগ্ন্যুৎপাৎ:
আগ্নেয়গিরি ভিস্যুভিয়াস থেকে এক ব্যাপক অগ্নুৎপাৎ ঘটবে, এবং তার ঠিক পরে-পরেই প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে পৃথিবী, যে
আগ্নেয়গিরি ভিস্যুভিয়াস থেকে এক ব্যাপক অগ্নুৎপাৎ ঘটবে, এবং তার ঠিক পরে-পরেই প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে পৃথিবী, যে
ভূমিকম্পে ৬ হাজার থেকে ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হবে।
৩. ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্প:
ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্পটি দেখা দেবে ২০১৭ সালেই। এটির উৎপত্তিস্থল হবে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল, কিন্তু এর ব্যাপকতা গোটা পৃথিবীকেই কাঁপিয়ে দেবে।
ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম ভূমিকম্পটি দেখা দেবে ২০১৭ সালেই। এটির উৎপত্তিস্থল হবে আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চল, কিন্তু এর ব্যাপকতা গোটা পৃথিবীকেই কাঁপিয়ে দেবে।
৪. সন্তান ধারণের অনুমতি:
নস্ত্রাদামুসের গণনা অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বছরেই এমন আইন চালু হবে, যে আইন অনুসারে সন্তানের পিতা-মাতা
নস্ত্রাদামুসের গণনা অনুযায়ী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বছরেই এমন আইন চালু হবে, যে আইন অনুসারে সন্তানের পিতা-মাতা
হওয়ার আগে সরকারি অনুমতি নিতে হবে দম্পতিদের।
নস্ত্রাদামুস
৫. বিশ্ব-অর্থনীতির বিপর্যয়:
বিশ্ব-অর্থনীতি এই বছর নাগাদই ভেঙে পড়বে। নস্ত্রাদামুস রহস্যময় ভাষায় এই ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ধনীরা তাদের জীবদ্দশায় বহুবার মৃত্যুর সম্মুখীন হবে।’’
বিশ্ব-অর্থনীতি এই বছর নাগাদই ভেঙে পড়বে। নস্ত্রাদামুস রহস্যময় ভাষায় এই ইঙ্গিত দিয়ে লিখেছেন, ‘‘ধনীরা তাদের জীবদ্দশায় বহুবার মৃত্যুর সম্মুখীন হবে।’’
৬. মানুষের দৈহিক বয়স কমে যাবে:
নস্ত্রাদামুসের মতে, এই সময় চিকিৎসাবিদ্যার এমন উন্নতি হবে যে, ৮০ বছর বয়স্ক মানুষকে দেখতে লাগবে ৫০ বছর বয়সির মতো। সেইসঙ্গে মানুষের আয়ু ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
নস্ত্রাদামুসের মতে, এই সময় চিকিৎসাবিদ্যার এমন উন্নতি হবে যে, ৮০ বছর বয়স্ক মানুষকে দেখতে লাগবে ৫০ বছর বয়সির মতো। সেইসঙ্গে মানুষের আয়ু ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
৭. প্রকৃতির সর্বনাশ:
নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন, ২০১৭ সাল নাগাদ ‘‘রাজারা অরণ্যকে হরণ করবে, আকাশ ফেটে যাবে, উত্তাপে দগ্ধ হবে মাটি।’’ যার সহজ
নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন, ২০১৭ সাল নাগাদ ‘‘রাজারা অরণ্যকে হরণ করবে, আকাশ ফেটে যাবে, উত্তাপে দগ্ধ হবে মাটি।’’ যার সহজ
অর্থ— বসতির প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অরণ্যকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেবেন রাষ্ট্রের মাথারা, বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে ছিদ্র দেখা দেবে, এবং যার ফলে সূর্যের অতিবেগুণি রশ্মি পৃথিবীতে প্রবেশ করে ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে জীবকুলের।
৮. করদান থেকে মুক্তি:
নস্ত্রাদামুস লিখেছেন, ‘‘মানুষ রাজাকে কর দান করতে অস্বীকার করবে।’’ অর্থাৎ কোনও এক ব্যাপক গণবিপ্লবের পরিণামে কর ব্যবস্থারই অবলোপন ঘটবে।
নস্ত্রাদামুস লিখেছেন, ‘‘মানুষ রাজাকে কর দান করতে অস্বীকার করবে।’’ অর্থাৎ কোনও এক ব্যাপক গণবিপ্লবের পরিণামে কর ব্যবস্থারই অবলোপন ঘটবে।
৯. পশুপাখির সঙ্গে মানুষের সখ্য:
নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন, ‘‘শুয়োরেরা মানুষের ভাই হয়ে উঠবে।’’ এর অর্থ কী, মানুষ পশুসুলভ বর্বর হয়ে উঠবে, নাকি পশুকুলের
নস্ত্রাদামুস লিখে গিয়েছেন, ‘‘শুয়োরেরা মানুষের ভাই হয়ে উঠবে।’’ এর অর্থ কী, মানুষ পশুসুলভ বর্বর হয়ে উঠবে, নাকি পশুকুলের
সঙ্গে অত্যন্ত সৌহার্দ্যের সম্পর্ক স্থাপিত হবে মানুষের? বর্তমান পৃথিবীতে প্রথম ঘটনাটিই যেন বেশি সম্ভব বলে মনে হয়।
১০. ভাষার ব্যবধান দূরীভূত হবে:
নস্ত্রাদামুস বলে গিয়েছেন, কোনও এক বিশেষ যন্ত্রের কল্যাণে ভাষায়-ভাষায় দূরত্ব ঘুচে যাবে। অনেকেই মনে করেন, এই বিশেষ যন্ত্রটি আসলে কম্পিউটার।
নস্ত্রাদামুস বলে গিয়েছেন, কোনও এক বিশেষ যন্ত্রের কল্যাণে ভাষায়-ভাষায় দূরত্ব ঘুচে যাবে। অনেকেই মনে করেন, এই বিশেষ যন্ত্রটি আসলে কম্পিউটার।
0 comments:
Post a Comment