Subscribe:

আমার তো কোনো বোন নেই, এই পিচ্চি তুই আমার ছোট বোন’


১৯৯৪ সালে ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে সালমান শাহ-এর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাবনুর। প্রথম ছবিতেই ব্যাপক সফলতা পায় এই জুটি। সালমান-শাবনুর জুটির সফলতার দিকে তাকিয়ে পরিচালক প্রযোজকরা একের পর এক ছবিতে নিতে থাকেন তাদের। সালমান অভিনীত ২৭টি ছবির ভেতরে ১৪টি ছবিতেই সালমানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…
এভাবেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে সবচেয়ে সফল জুটি হিসেবে পরিচিতি পায় সালমান-শাবনুর। এ বিষয়ে জানতে চাইতেই সালমান বন্দনায় মেতে উঠলেন তিনি। বললেন, ‌’সালমান শাহ অনেক ভাল মানুষ ছিলো।অনেক বড় মনের মানুষ ছিলো। ভালÂ একজন কো আর্টিস্ট ছিলো।সালমান শাহ আজ বেঁচে থাকলে আমাদের জুটিটা আরো অনেক জনপ্রিয়তা পেত।হয় তো উত্তম-সুচিত্রা জুটির মতোই হতো।’
কেমন ছিলো সালমানের সঙ্গে প্রথম ছবিতে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা। প্রশ্ন শুনে অনেকটা স্মৃতিকাতর
হয়ে পড়লেন তিনি। বললেন, ‘সালমানের সাথে আমার প্রথম ছবি তুমি আমার।তখন তো সালমান মৌসুমী আপুর সাথে অভিনয় করতো। শুটিংয়ের সময় মাঝে মাঝে দেখতাম।
আমি তো তখন অনেক ছোট ছিলাম।এতকিছু বুঝতাম না।তাই প্রথম অভিনয় করার অনুভূতি বলাটা মুশকিল। পরিচালক আমাকে শুটিং করতে বলেছে জাস্ট শুটিং করেছি। এতকিছু ভাবি নি। এরপর একের পর এক ছবিতে ওর সঙ্গে অভিনয় করলাম।
অনেকগুলো ছবি করার পর আমি বুঝতে শুরু করলাম, মানে ম্যাচিউরড হলাম। নিজেদের বোঝাপড়াটাও বাড়লো।ও কোন বিষয়টা কীভাবে ডেলিভারি দিচ্ছে আর আমি কোনটা কীভাবে ডেলিভারি দিচ্ছি সেটা নিয়ে ভাবতাম।নিজেকে ঝালাই করে নিতাম। সালমানের ব্যাপারে আমি একটা কথায় বলবো, ন্যাচারাল অ্যাক্টিং যেটা বলে সেটা সালমানের ভেতর ছিলো।
নিজেদের ভেতরকার সম্পর্ক নিয়ে শাবনুর বলেন, ‘সালমান শাহ আমার খুবই প্রিয় ছিলো। সে আমাকে পিচ্চি বলে ডাকতো।আমি তো তখন অনেক ছোট ছিলাম। সালমান বলতো এই পিচ্চি এদিক আয়, আমার তো কোনো বোন নেই। এই পিচ্চি তুই আমার ছোট বোন।এগুলো এখন খুব মিস করি।’
শুটিংয়ের ফাঁকে সালমানের সঙ্গে দুষ্টুমীও কম করতেন না শাবনুর। স্মরণ করলেন সেসব মধুর স্মৃতিও- ‘আমি ও সালমান দুজনেই শুটিং করার সময় দুষ্টুমী করতাম। শুধু আমার সঙ্গেই নয়, সবার সঙ্গেই ও খুব বন্ধুভাবাপন্ন ছিলো, অনেক নম্র ছিলো, আর্টিস্ট ডিরেক্টরদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হবে তা বুঝতো, তাদের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে পারতো। ও অনেক মজার মানুষ ছিলো।
দেখা গেছে যে, মজা করতে করতে কখন যে শুটিং শেষ হয়ে গেছে তা বুঝতেই পারতাম না।ও যেমন হাস্যোজ্বল ছিলো, তেমনি অনেক চঞ্চলও ছিলো। চটপটে ছিলো বলে খুব দ্রুত কাজ করতে পারতো। আমি ওর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারতাম না। ও আমাকে মাঝে মাঝেই তাড়া করতো।’

0 comments:

Post a Comment