সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল।
করোষ্ঠী বিচার বা হস্তরেখা বিচার শাস্ত্র মনে করে, মানুষের ভাগ্য এবং ব্যক্তিত্ব তার হাতের রেখাতেই মুদ্রিত থাকে। সেই শাস্ত্র আরও মনে করে, হাতের তালুতে রেখার দ্বারা গঠিত কয়েকটি বিশেষ চিহ্ন বিরল সৌভাগ্যের ইঙ্গিত দেয়। তেমনই একটি সৌভাগ্যসূচক চিহ্ন হল ‘এক্স’ চিহ্ন।
কী এই ‘এক্স’ চিহ্ন? আসলে হাতের বিভিন্ন রেখার মধ্যে এক একটি রেখার এক একটি নাম রয়েছে। নিজের হাতের তালুর দিকে তাকান। দেখবেন, আড়াআড়ি তিনটি রেখা অত্যন্ত স্পষ্ট এবং প্রকট হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে আঙুলের দিক থেকে প্রথম রেখাটির নাম হৃদয় রেখা, দ্বিতীয় রেখাটির নাম মস্তিস্ক রেখা, তৃতীয় রেখাটির নাম জীবন রেখা। আর উপরে-নীচে বিস্তৃত যে রেখাটি এই তিনটি (কিংবা দু’টি) রেখাকে ছেদ করছে, সেটির নাম ভাগ্য রেখা (ছবি দেখুন)।
এ বার ভাল করে তাকান নিজের হাতের তালুর দিকে। বিশেষ মনোযোগ দিন উপর থেকে দ্বিতীয় রেখা অর্থাৎ মস্তিস্ক রেখার দিকে। দেখুন তো, ভাগ্য রেখা (লম্বালম্বি রেখাটি) কি এমন ভাবে ছেদ করছে হৃদয় রেখাকে, যাতে এই দুই রেখার সংযোগ স্থলে ইংরেজি এক্স (X)-এর মতো একটি চিহ্ন তৈরি হয়? হয়েছে? বেশ। এ বার তাকান, অন্য হাতের তালুর দিকে। সেখানেও কি একই ভাবে মস্তিস্ক রেখা এবং ভাগ্য রেখার সংযোগস্থলে একটি ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে? যদি থাকে, তা হলেই কেল্লাফতে।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দু’ হাতেই এই জাতীয় চিহ্নের উপস্থিতি বিশেষ সৌভাগ্যকে সূচিত করে। যাঁদের হাতে এই ধরনের চিহ্ন থাকে, তাঁরা শুধু যে শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিরোগ দেহের অধিকারী হন, তা-ই নয়, পাশাপাশি তাঁদের মানসিক দৃঢ়তাও হয় অতুলনীয়। তাঁদের ভাগ্য তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী আকার ধারণ করে। ফলে সর্ব ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন তাঁরা। এতটাই খ্যাতি এবং যশ তাঁরা অর্জন করেন যে, তাঁদের মৃত্যুর পরেও বিশ্ববাসী তাঁদের মনে রাখে।
মস্কোর এসটিআই ইউনিভার্সিটি-র গবেষকদের প্রকাশিত ‘এক্স পাম মিস্ট্রি অ্যান্ড স্পিরিট সায়েন্স ফর্মুলা’ নামের গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, পৃথিবীর মাত্র ৩ শতাংশ মানুষের দুই হাতেই এই চিহ্ন থাকে। গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা দেখিয়েছেন, সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল। কাজেই আপনিও যদি এই ৩ শতাংশ মানুষের অন্তর্ভুক্ত হন, তা হলে আপনিও নিজের ভাগ্য নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
এ ছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র মনে করে,
১. যাঁদের হাতের তর্জনীর নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন থাকে, তাঁদের মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে, পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ি থেকে অর্থলাভের যোগও তাঁদের রয়েছে।
২. যাঁদের মধ্যমার নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে, দুর্ভাগ্য এবং অসুস্থতা তাঁদের তাড়া করে বেড়াবে সারা জীবন।
৩. যাঁদের হাতে ‘এক্স’ চিহ্নের অবস্থান অনামিকার নীচে, বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ব্যর্থতা, অর্থহানি, এবং অবসাদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।
৪. আবার কড়ে আঙুলের নীচে অবস্থিত ‘এক্স’, সেই ব্যক্তির চারিত্রিক অসততার লক্ষণ।
এ বার ভাল করে তাকান নিজের হাতের তালুর দিকে। বিশেষ মনোযোগ দিন উপর থেকে দ্বিতীয় রেখা অর্থাৎ মস্তিস্ক রেখার দিকে। দেখুন তো, ভাগ্য রেখা (লম্বালম্বি রেখাটি) কি এমন ভাবে ছেদ করছে হৃদয় রেখাকে, যাতে এই দুই রেখার সংযোগ স্থলে ইংরেজি এক্স (X)-এর মতো একটি চিহ্ন তৈরি হয়? হয়েছে? বেশ। এ বার তাকান, অন্য হাতের তালুর দিকে। সেখানেও কি একই ভাবে মস্তিস্ক রেখা এবং ভাগ্য রেখার সংযোগস্থলে একটি ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে? যদি থাকে, তা হলেই কেল্লাফতে।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দু’ হাতেই এই জাতীয় চিহ্নের উপস্থিতি বিশেষ সৌভাগ্যকে সূচিত করে। যাঁদের হাতে এই ধরনের চিহ্ন থাকে, তাঁরা শুধু যে শারীরিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং নিরোগ দেহের অধিকারী হন, তা-ই নয়, পাশাপাশি তাঁদের মানসিক দৃঢ়তাও হয় অতুলনীয়। তাঁদের ভাগ্য তাঁদের ক্ষমতা অনুযায়ী আকার ধারণ করে। ফলে সর্ব ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন তাঁরা। এতটাই খ্যাতি এবং যশ তাঁরা অর্জন করেন যে, তাঁদের মৃত্যুর পরেও বিশ্ববাসী তাঁদের মনে রাখে।
মস্কোর এসটিআই ইউনিভার্সিটি-র গবেষকদের প্রকাশিত ‘এক্স পাম মিস্ট্রি অ্যান্ড স্পিরিট সায়েন্স ফর্মুলা’ নামের গবেষণাপত্র জানাচ্ছে, পৃথিবীর মাত্র ৩ শতাংশ মানুষের দুই হাতেই এই চিহ্ন থাকে। গবেষণার মাধ্যমে তাঁরা দেখিয়েছেন, সম্রাট আলেকজান্দার, আব্রাহাম লিঙ্কন এবং ভ্লাদিমির পুতিন-এর মতো মানুষের হাতে এই চিহ্ন ছিল কিংবা রয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল। কাজেই আপনিও যদি এই ৩ শতাংশ মানুষের অন্তর্ভুক্ত হন, তা হলে আপনিও নিজের ভাগ্য নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।
এ ছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্র মনে করে,
১. যাঁদের হাতের তর্জনীর নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন থাকে, তাঁদের মাথায় আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে, পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ি থেকে অর্থলাভের যোগও তাঁদের রয়েছে।
২. যাঁদের মধ্যমার নীচে ‘এক্স’ চিহ্ন রয়েছে, দুর্ভাগ্য এবং অসুস্থতা তাঁদের তাড়া করে বেড়াবে সারা জীবন।
৩. যাঁদের হাতে ‘এক্স’ চিহ্নের অবস্থান অনামিকার নীচে, বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ব্যর্থতা, অর্থহানি, এবং অবসাদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।
৪. আবার কড়ে আঙুলের নীচে অবস্থিত ‘এক্স’, সেই ব্যক্তির চারিত্রিক অসততার লক্ষণ।
হাতের লেখা দেখে মানুষ চেনার উপায়:
হাতের লেখার বৈশিষ্ট্য দেখে ব্যক্তিত্ব বোঝার বিজ্ঞানকে বলে গ্রাফোলজি। এই বিজ্ঞানের চর্চা চলছে সেই অ্যারিস্টটলের সময় থেকে। বর্তমানে অসংখ্য প্রয়োজনে এর প্রয়োগ ঘটে। অপরাধী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মানুষের স্বাস্থ্যগত তথ্য পেতেও এর ব্যবহার রয়েছে। গ্রাফোলজিস্ট ক্যাথি ম্যাকনাইট জানান, কেবল হাতের লেখা বিশ্লেষণ করেই মানুষের ৫ হাজার রকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বের করা সম্ভব। এখানে বিভিন্ন ধরনের হাতের লেখার সঙ্গে মানুষের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা নিন। এখানে ছবিতে বিভিন্ন ধরনের লেখা ও তার সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিন।
হাতের লেখার বৈশিষ্ট্য দেখে ব্যক্তিত্ব বোঝার বিজ্ঞানকে বলে গ্রাফোলজি। এই বিজ্ঞানের চর্চা চলছে সেই অ্যারিস্টটলের সময় থেকে। বর্তমানে অসংখ্য প্রয়োজনে এর প্রয়োগ ঘটে। অপরাধী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে মানুষের স্বাস্থ্যগত তথ্য পেতেও এর ব্যবহার রয়েছে। গ্রাফোলজিস্ট ক্যাথি ম্যাকনাইট জানান, কেবল হাতের লেখা বিশ্লেষণ করেই মানুষের ৫ হাজার রকমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বের করা সম্ভব। এখানে বিভিন্ন ধরনের হাতের লেখার সঙ্গে মানুষের ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা নিন। এখানে ছবিতে বিভিন্ন ধরনের লেখা ও তার সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নিন।
১. অক্ষর ও শব্দের আকার : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বুঝতে ও খেয়াল করতে চান। আর দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার মনোযোগ অতি সূক্ষ্ম। আর আপনি অন্তর্মুখী।
২. হেলানো : ওপরের লেখার বোঝা যায়, আপনি হৃদয়কেন্দ্রিক, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বন্ধু ও পরিবারের মূল্যায়ন করে।
মাঝখানের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যুক্তি দিয়ে চলেন, আবেগ দিয়ে নয়। আর নিচের লেখায়া প্রকাশ পায়, বিভিন্ন জিনিস নিয়ে মানুষের ওপর কাজ করতে চান আপনি। বার বার দেখে নেন সবকিছু।
৩. চাপ প্রয়োগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আবেগ অনেক গভীর এবং সবকিছু চরমভাবে অনুভব করেন। খুব বেশি প্রতিক্রিয়াশীল। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি বিভিন্ন স্থানে আপনি সহজ ও স্বাবলীল থাকেন। আবেগ দিয়ে পরিচালিত হন না।
৪. ওপরের অংশ : প্রথম লেখায় স্পষ্ট হয় যে, আপনি আশাবাদী এবং ভবিষ্যত নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনি আপনার আশা ও স্বপ্ন চাপা দিতে পারেন। তৃতীয় লেখায় বোঝা যায়, সমালোচনায় স্পর্শকাতর আপনি। চতুর্থ লেখায় বোঝা যায়, আপনি কর্মী হিসাবে ভালো। গোছালো এবং আত্মনিয়ন্ত্রণ রয়েছে আপনার মাঝে।
৫. নিচের অংশ : প্রথম লেখা বলে, আপনি সত্যিকার বন্ধু বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান। দ্বিতীয় লেখায় বোঝা যায়, আপনার বন্ধুমহল অনেক বড়। তৃতীয় লেখা বলছে, আপনি ভ্রমণপিয়াসী। আর চতুর্থ লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি নিজ বাসায় থাকতে পছন্দ করেন।
৬. অক্ষরের সংযোগ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনি যৌক্তিক, পদ্ধতি অনুযায়ী চলে এবং সাবধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। নিচের লেখায় স্পষ্ট হয়, আপনি বুদ্ধিমান ও স্বজ্ঞাত।
৭. ডটেড ‘আই’ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, আপনার আচরণ শিশুসুলভ। আপনি শৈল্পিক। নিচের লেখায় বোঝা যায়, আপনি এলোমেলো অবস্থা পছন্দ করেন না। বিস্তারিত দেখতে ভালো লাগে।
৮. ‘টি’ এর ক্রস : ওপরে অক্ষরে বোঝা যায়, আপনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং আত্মবিশ্বাসী। নিচের অক্ষর স্পষ্ট করে যে, আপনার লক্ষ্য শক্ত নয় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন।
৯. লাইনের মাঝের ফাঁকা অংশ : ওপরের লেখায় বোঝা যায়, সময়মতো কাজ করতে আপনি অদক্ষ। নিচের লেখা দেখে বোঝা যায়, সীমাবদ্ধতা নিয়ে আপনি সাবধান।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
0 comments:
Post a Comment