Subscribe:

চেক লিখতে এ ভুল করলে ফাঁকা হয়ে যাবে অ্যাকাউন্ট!


টাকা পয়সার বড় বড় সব লেনদেন হয় চেকের মাধ্যমে। সরাসরি লেনদেনের ক্ষেত্রে এটাই নিরাপদ পন্থা হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু প্রযুক্তি এমনভাবে উন্নতি হচ্ছে, তাতে চেকের মাধ্যমেও ফাঁকা হয়ে যেতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট।

টাকার লেনদেনের জন্য যে জিনিসটি সবথেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য এবং নিরাপদ বলে মনে করা হয়, সেটি হল চেক। যতই নিরাপদ হোক, চেক সই করে কাউকে দেওয়ার সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। না হলে সেই চেক বাতিল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।

• যাঁকে টাকা দেবেন তাঁর নাম চেক-এ লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সাবধানতা বজায় রাখা উচিত। ধরুন অমিত রায় নামক কারোর নাম লিখলেন। নাম ও পদবীর মধ্যে বুঝে ফাঁকা জায়গা রাখুন। না হলে অমিত-কে অমিতা বানিয়ে ফেলতে খুব একটা সমস্যা হবে না। এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচতে, যাঁকে টাকা দিচ্ছেন তাঁর নামের পাশে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করে দিন।

• পেয়ি-র বা যাঁকে টাকা দেবেন তাঁর নাম লেখা হলে, তাঁর নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।

• ‘বেয়ারার চেক’ কাউকে দিলে অবশ্যই ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক দিয়ে দিন। ধরুন আপনি কারোকে ‘বেয়ারার চেক’ দিচ্ছেন, যদি সেই চেক-এ যদি ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক না দেন তা হলে ওই চেক থেকে যে কেউ টাকা তুলে নিতে পারবেন।

• চেক-এর অ্যামাউন্ট বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-’ এই চিহ্ন দেবেন। তাতে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবেন না। প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোনও ফাঁকা জায়গা না থাকে।

• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করছেন, সেই স্বাক্ষরটিই চেক দেওয়ার সময়ে করবেন। আপনি যদি কোনও কোম্পানির হয়ে টাকা দেন, তা হলে কোম্পানির সিলের ছাপ দিয়ে দিন।

• চেক-এ যদি ভুল কিছু লিখে থাকেন, তা হলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নীচে স্বাক্ষর করে দিন।

• রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, একটি চেক তিন মাসের জন্য বৈধ থাকে। তাই অবশ্যই চেক-এ তারিখ লিখুন। না হলে কেউ অনায়াসে তারিখ বসিয়ে সেই চেক ব্যবহার করতে পারবেন।

• অনেক সময়েই অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। আর না হলে চেকটিতে ‘ক্যানসেলড’ লিখে দিন।

0 comments:

Post a Comment