Subscribe:

বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বাড়ছে দুর্ভোগ!


সারা দেশে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে দুর্ভোগ। বানভাসী পরিবারের মাঝে খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র আকার ধারণ করছে।

যুগান্তরের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

রংপুর ব্যুরো
রংপুরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা, ঘাঘট ও যমুনেশাবরীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। পানিবন্দি কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য, বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানির অভাব ও কর্ম সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।

লালমনিরহাট ও গঙ্গাচড়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দুর্গমচরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় ত্রাণ সামগ্রী অপ্রতুল হওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারি, কোলকোন্দ, নোহালী, গজঘন্টা ও মর্নেয়া ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত মনুষের সংখ্যা বেশি। এসব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, গজঘন্টা স্কুল এন্ড কলেজ, নোহালীর কেএনবি উচচ বিদ্যালয়, কোলকোন্দ আব্দুস সামাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্র এখনও মানুষ অবস্থান করছে।

স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গত রাত থেকে প্রায় আট শতাধিক পরিবারের মাঝে চার হাজার কেজি মুড়ি ও চিড়া ও সাড়ে ৩শ’কেজি গুড় বিতরণ করা হয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চল থেকে বন্যার পানিবন্দি হয়ে পরিবারগুলোকে সেনা ও স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কাউনিয়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে বন্যার কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্গত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। কোনো কোনো বাড়িতে হাটু থেকে কোমার পর্যন্ত পানি রয়েছে। চার ইউনিয়নের চরাঞ্চলসহ ১৭টি গ্রামে চলছে খাদ্য সংকট।

উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নে ছয় মেট্রিকটন চাউল বরাদ্দ হলেও অপর দুইটি হরাগাছ ও শহীদবাগ ইউনিয়নে কোনো বরাদ্দ পায়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপঙ্কর রায় জানান, বন্যা কবলিত ইউনিয়ন গুলোতে ১০টন জিআর  চাল ও বানভাসী মানুষের জন্য ৪৪৭প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পীরগাছা উপজেলায় বন্যার পানি কমলেও সেখানে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পানিবন্দি হয়ে ২৫ হাজার পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়েছে। তাম্বলপুর ও ছাওলা ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ এখনও পানিবন্দি।

অধিকাংশ পরিবার বাঁধের উঁচু স্থানে ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাদ্য দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর বোল্ডারের মাথা নামক স্থানে ক্রস বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় চরজীবীকায়ন প্রকল্পের প্রায় ছয় শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ সব এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি।

তবে ত্রাণ তৎপরতার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে চাহিদা দেয়া হয়েছে বলে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন।

রংপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তিনি দুর্গতদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।

লালমনিরহাট
জেলার নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ জেলার ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে বানভাসীরা আশ্রয় নিয়েছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৮লাখ টাকা, ২৪২ মেট্রিকটন চাল ও ২হাজার কেজি শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোর।

পাটগ্রাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুর কূতুবুল আলম জানান, বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অনেকে বাড়িতে ফিরতে শুরু করছে।

সিরাজগঞ্জ
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৩১সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এতে জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশীদ মোল্লা বলেন, এ ইউনিয়নের কমপক্ষে দেড় হাজার বাড়িঘর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। চারটি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও দূরত্বের কারণে কেউ সেখানে যেতে চান না।

মঙ্গলবার পাঁচ টন চাউল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে দুর্গতদের মধ্যে এসব চার বিতরণ করা হবে বলে তিনি জানান।

বগুড়া ব্যুরো
বগুড়ার সারিয়াকান্দির যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে কালিতলা হার্ড পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

বিকালে কালিতলার উত্তরপাশে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৫০ মিটার অংশের ব্লক ২-৩ ইঞ্চি দেবে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, কালিতলা হার্ড পয়েন্ট এলাকায় মঙ্গলবার বিকালে যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার ১২১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্ব পাশে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত দুই হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি। অনেক পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভুতবাড়ি ৩টি, রঘুনাথপুরে ১টি, বানিয়াজানে ২টি ও চুনিয়াপাড়ায় ২টিসহ মোট ১০ পয়েন্ট ফাঁটল দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড পশ্চিম পাশে বালুর বস্তা ফেলছে।

জামালপুর
জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যায় জেলার অন্তত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণের জন্য হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে একজন মারা গেছে।

জামালপুর জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি, জামালপুর সদর ও বকশিগঞ্জ উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার অধিকাংশ এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে।

মঙ্গলবার মেলান্দহের কুলিয় সুইস গেটে পানিতে ডুবে মো. কমল (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্র মারা গেছে। কমল মেলান্দহের টনকী গ্রামের টাবু শেখের পুত্র।

জামালপুর জেলা ত্রাণশাখা সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের ৫৫টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভা বন্যা কবলিত হয়েছে। সরকারি হিসেবে এসব এলাকার সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।

জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর জানান, জেলার বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য ১২৮ মেট্রিক টন চাল, দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি জানান, পর্যাপ্ত পরিমানে ত্রাণ আছে। জেলা প্রশাসন বন্যার্তদের পাশে থেকে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে।

নওগাঁ
নওগাঁয় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। আত্রাই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১৪টি স্থান ভেঙে গেছে। এরমধ্যে মান্দায় ৬টি, রানীনগর ৫টি, আত্রাইয়ে ২টি ও পত্নীতলায় ১টি বাঁধ ভেঙে গেছে। এসব এলাকা এখন পানির নিচে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁর ছোট যমুনা নদীতে পানি বিপদ সীমার ৮৮ সেন্টিমিটার, ধামইরহাট উপজেলার শিমুলতলী আত্রাই নদী ১৭০ সেন্টিমিটার, মান্দায় আত্রাই নদী জোতবাজার ১১১ সেন্টিমিটার এবং আত্রাই উপজেলার আত্রাই নদীতে ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন উপজেলায় নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ৪০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এ দিকে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা শুরু হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় তুলনায় ত্রান খুবই অপ্রতুল বলে জানা গেছে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রান বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

মাদারগঞ্জ (জামালপুর)
সোমবার রাতে জামালপুরের মাদারগঞ্জ পৌর সভার চাঁদপুর-ভোলারচর চার কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। এসময় স্রোতে ভেসে গেছে আটটি বাড়ি। আরো শতাধিক বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার হুমকি রয়েছে।

বাঁধের পূর্ব পাশের সুখনগরী, খিলকাটি, ফুলজোড়, বন্ধচতল, জামদহ গ্রামসহ অন্তত ১৪টি গ্রামের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য চার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা)
মঙ্গলবার সকাল ৮টায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামে পানির প্রবল চাপে চেরেঙ্গা বাঁধের ৩০ ফিট ধসে যায়। এতে নতুন করে চেরেঙ্গা, কিশামত চেরেঙ্গা, করিয়াটাসহ একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

এর আগে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপির টোংরারদহ এলাকায় করতোয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬০ফিট অংশ ধসে বড় শিমুলতলা, তেকানী, প্রজাপাড়া, কেশবপুর, চকবালা, সগুনা, পশ্চিম মির্জাপুর, কাশিয়াবাড়ী, কিশোরগাড়ী, গনকপাড়া, হাসানখোর, জাফর, মুংলিশপুরসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, সহকারী ভূমি কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলামসহ একটি টিম ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন।

বিশ্বনাথ (সিলেট)
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার উত্তরাঞ্চল লামাকাজী ইউনিয়নের তিলকপুর, রসুলপুর, লামাকাজীবাজার, মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, শাহপুর,খোজারপাড়া, মাধবপুর, কেশবপুর, সাঙ্গিরাই ও মোল্লারগাঁও গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সোমবার বিকালে লামাকাজী ইউনিয়নের পানিবন্দি লোকজনের মধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়র  ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার তিনশ'পানিবন্দি মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।

ধামইরহাট (নওগাঁ)
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে বাড়িঘর ও ক্ষেতের ফসল। এখনও উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়নি।

ভারতের উজান থেকে পানি আসায় উপজেলার আত্রাই নদীর পশ্চিম পার্শের পাড়ের তালতলী নামকস্থানে বাঁধ ভেঙ্গে খেলনা ইউনিয়ন, আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন, ইসবপুর ইউনিয়ন ও আলমপুর ইউনিয়নের অনেক গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সফিউজ্জামান ভুইয়া জানান, ত্রাণের চাহিদা জেলা প্রশাসন জানানো হয়েছে।

0 comments:

Post a Comment